জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে গতকাল শনিবার রাতে পৌর এলাকার কোনাবাড়ী গ্রামের হাবুর মোড়ে পুলিশ মাদকের আসামি ধরতে গিয়ে স্থানীয় জনতার হাতে লাঞ্ছিত হয়েছে। পরে একটি ঘরে তাদেরকে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে জনতা।
সরেজমিন প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, শনিবার রাত্র সাড়ে নয়টার দিকে সোর্সের সংবাদে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ পৌর এলাকার কোনাবাড়ী গ্রামের হাবুর মোড়ে যায় মাদকের আসামি ধরতে। এ সময় স্থানীয় চাল ব্যবসায়ী মৃত রিয়াজ উদ্দিনের পুত্র বাবলু (৪০), সামছুল মিয়ার পুত্র মোস্তফা (২৫), মৃত মজিবর রহমানের পুত্র বাবলু (৩৫) ও চা-স্টলের কর্মচারী বেলাল হোসেনের পুত্র মামুনকে (১৪) মাদক ব্যবসায়ী সন্দেহে আটক করে তাদের হাতে হ্যান্ডক্যাপ পড়ায়।
এ ঘটনায় এলাকার লোকজন প্রতিবাদী হয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশ আটককৃতদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। পুলিশ অবশেষে আত্মরক্ষায় ওই মোড়ের বাবুলের দোকান ঘরে ঢুকলে বিক্ষোভকারীরা ওই ঘরে তালা লাগিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে শর্ত সাপেক্ষে প্রায় ৩০ মিনিট পর তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ওই রাতেই বিক্ষুদ্ধ জনতা রাস্তায় নেমে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
এ ব্যাপারে পৌর ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মহাম্মদ আলী জানান, ‘পুলিশের হাতে আটক ৪ ব্যক্তিই আমার নিজস্ব গ্রামের প্রতিবেশী। এরা অত্যন্ত ভালো মানুষ। পুলিশ আটক ব্যক্তিদের পকেটে ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকিয়ে দিয়ে তাদেরকে অন্যায়ভাবে আটক করেছে।’
৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছালাম বলেন, ‘পুলিশ প্রতিনিয়ত কোনাবাড়ী গ্রামে ডুকে লোকজনদের ধরে এনে থানায় আটকে রেখে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রতিবাদ করলেই তাদের বিরুদ্ধে দেয়া হয় মাদকের মামলা।’
কোনাবাড়ী বাইতুন নুর জামে মসজিদের সভাপতি আলহাজ সামছুল হক জানান, পুলিশের হাতে আটক বাবলু একজন স্থানীয় চাল ব্যবসায়ী। বাকী দু’জন কৃষক ও একজন চায়ের দোকানের কর্মচারী। আমার জানামতে এরা সবাই ভালো মানুষ।
হাবুর মোড়ের মনোহারী দোকানদার আল আমীন ও আমজাদ হোসেন জানান, ‘পুলিশ শনিবার রাতে চারজনকে অন্যায়ভাবে আটক করেছে। এলাকার লোকজন পুলিশের কাছে সুপারিশ করে কোনো কাজ না হওয়ায় তারা প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে।’
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মাজেদুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।