তালায় জাতপুর বাজার বনিক সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ

রফিকুল ইসলাম, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ তালায় জাতপুর বাজার বনিক সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন, জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায় জাতপুর বাজার বনিক সমিতির নির্বাচন বিদায়ী কমিটি ২৫ শে আগষ্ট চিঠির মাধ্যমে “ত্রিবার্ষিক সাধারণ সভা” ডেকে কমিটি বিলুপ্তি ঘোষনা করেন। বিদায়ী সভাপতি এস.এম.কামাল উদ্দীন কে আহবায়ক করে মোট ১১ সদস্য নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নাম ঘোষনা দিলে তাৎক্ষনিকভাবে ভোটাররা সংঘাত সৃষ্টি হয়। পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া । সর্বশেষে পুলিশ লাঠি চার্জ করলে মিটিং প- হয়ে যায়। সাধারণ ভোটারদের দাবী চিঠিতে কোন আলোচ্য সূচি নাই-তাহলে আমরা কিভাবে জানবো ? কমিটি বিলুপ্ত হবে বা ১১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি হবে। এক পক্ষের একক সিদ্ধান্ত গনতন্ত্রের জন্য বড় বাঁধা, আমরা ইতি পূর্বে দেখেছি ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত হাত উচু করা কমিটি ছিল তারপর বাজারে পূর্ন গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য অত্র বাজারের ভোটারদের নিয়ে দূর্বার অন্দোলন গড়ে তোলেন সাবেক আ’লীগের ইউনিয়ন সেক্রেটার ও বাজার বনিক সমিতির সাবেক সভাপতি মোঃ মোসলেম উদ্দীন মোড়ল, মরহুম সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম সামছুদ্দীন, বি,এম অজেদ আলী মাষ্টার, মোঃ মনিরুজ্জামান (মনি) অধ্যক্ষ সাইফুল্লাহ, সাংবাদিক মাষ্টার রফিকুল ইসলাম সহ আরো অনেকে। যার ফলে ইতিপূর্বে ৭টি নির্বাচন দেখেছি। কমিটি বিলুপ্ত হলে সকল ভোটারদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্নভাবে উভয় পক্ষের ৪ জন করে ৮জন এবং বাজার মসজিদের ইমাম-কে প্রধান করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি করা হয় কিন্তু এবার হয়েছে তার ব্যাতিক্রম, যে কারনে যেকোন মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। প্রায় অধিকাংশ ভোটাররাই সংঘাত চাইনা শান্তিপূর্ন সমাধান চায় এই মর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আকুল আবেদনের দিকে চেয়ে আছে-ত্রুটি পূর্ন ভোটার তালিকা সংশোধন করবে নিরাপক্ষ নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। জাতপুর হাটবাজার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট এলাকার সচেতন মহলের দাবী যে বাজার থেকে সরকার রাজস্ব পায় বছরে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার উর্দ্ধে সেখানে একটিমাত্র টিউবওয়েল আছে বাকীগুলো দীর্ঘদিন ধরে অকেজো। ২টি বাথরুম অকেজো থাকলেও ব্যবস্থাপনার অভাবে দীর্ঘদিন তালা মারা রয়েছে। তাছাড়া বাজার কমিটি নৈশ প্রহরী খুব দূর্বল থাকার কারনে বিদায়ী কমিটির আমলে দোকান চুরি সংগঠিত হয়েছে যেমন তাজনূরের মোবাইল ঘর, মোক্তারের হার্ডওয়ার ঘর, রাশেদের কীটনাশকের দোকান, হাবলু চৌধুরীর হার্ডওয়ারের দোকান, আবুল মোড়লের মুদি দোকান, রাঙ্গা শেখের মুদি দোকান, বেল্লালের মোবাইল ঘর সহ আরও অনেকের আজও পর্যন্ত বিদায়ী বাজার কমিটি কোন সূত্র উদঘাটন করতে না পারায় অত্র কমিটি উপর দোকান মালিকরা আস্থা হারিয়ে ফেলছে। অত্র বাজারের তিনশ’র উর্দ্ধে দোকান থাকলেও বর্তমানে নৈশ প্রহরি আছে মাত্র তিন জন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ হেকমত। তাদের মাসিক ভাতা দেওয়া হয় ২৮০০/-টাকা করে। দোকান মালিকদের প্রশ্ন আমরা প্রত্যেকে মাসিক চাঁদা দেয় কিন্তু যে টাকা আয় আসে-ব্যায় তার থেকেও অনেক কম তাহলে বাকি টাকা গুলো গেল কোথায় ?

Check Also

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।