ক্রাইমবার্তা র্রিপোট: সাতক্ষীরায় অভিযোগ ও মামলা মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় একনারীর বিরুদ্ধে তিন বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।মঙ্গলবার বিকেলে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় প্রদান করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটার এড. জহুরুল হায়দার বাবু বলেন- পুরাতন সাতক্ষীরার মৃত. আব্দুল গফুরের মেয়ে আনু অরফে নাজমা আক্তার ২০১১ সালের অগাস্ট সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ করেন একই এলাকার নুর আলী শেখের ছেলে, সিটি কলেজের শিক্ষক প্রভাষক কামরুল ইসলাম আনুকে ধর্ষণ করেছে। মামলাটি সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের নথিভুক্ত হয় একই বছরের ২৩ অগাস্ট তারিখে। আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এস আই মনোয়ারা এমামলায় আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর তারিখে।
চুড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে আপত্তি থাকায় ‘আনু’ না রাজি জানান আদালতে। তখন আদালত তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করে ফের প্রতিবেদন প্রদানের আদেশ দেন। তদন্ত কর্মকর্তা সাতক্ষীরার সদর থানার এস আই মনোয়ারাকে মামলার তদন্ত থেকে অব্যাহতি দেন।
পরিবর্তিত তদন্ত কর্মকর্তা সাতক্ষীরার সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলামও ২০১২ সালের ১৪ জুলাই চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে। মামলাটি ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি আদালতে খারিজ হয়ে যায়।
এর মধ্যে মামলার আসামী সিটি কলেজের শিক্ষক প্রভাষক কামরুল ইসলাম তার কলেজ কতৃপক্ষ তাকে সাময়িক বরখাস্ত হন। আনুর মামলা খারিজ হয়ে গেলে আনুর বিরুদ্ধে মামলার বিবাদী প্রভাষক কামরুল একই আদালতে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ তোলে এবং ১৭ ধারায় পাল্টা ক্ষতিপুরণ ও সম্মানহানির মামলা প্রদান করেন।
মামলাটি ২১ কার্যদিবস শেষ করে মঙ্গলবার বিকেলে জনাকীর্ণ আদালতে বিচারক হোসনে আরা আনুকে তিন বছরের কারাদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন বলে জানান কামরুলের আইনজীবী এডভোকেট আব্দুল রাজ্জাক।