ক্রাইমবার্তা র্রিপোট:চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শোকসভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে যুবলীগ কর্মী দুই ভাই দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হয়েছেন। সোমবার রাতে উপজেলার বারৈয়াঢালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের মহালঙ্গা গ্রামের মৃত নুরুল আবচারের পুত্র রমজান আলী (২৭) ও তার আপন ভাই সৃজান আলী।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত রমজান আলী এলাকার একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার ছোটদারোগারহাট বাজারে বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সোমবার বঙ্গবন্ধুর স্মরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই শোকসভা শেষে সবাই যার যার মত করে নিজ গন্তব্যে ফিরে যায়। রমজান ও তার ভাই সৃজানও বাড়ি ফিরছিলো। কিন্তু বারৈয়াঢালা এলাকায় তাদেরকে রাস্তার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া গেলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন রেহান পুলিশকে খবর দেন। এরপর পুলিশ গুরুতর অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে চমেকে প্রেরণ করে।
এদিকে চমেক পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলাব্রত বড়ুয়া জানান, রমজান ও সৃজান নামক ওই দুই ব্যক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় চমেকে নিয়ে আসার পর রাত ৯টার দিকে রমজান ও ১১টার দিকে তার ভাই সৃজান আলী মারা যায়।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি মোঃ ইফতেখার হাসান বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে মহাসড়কের পাশের একটি ডোবার পাশে রমজান ও তার ভাই সৃজানকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে আমরা তাদেরকে উদ্ধার করে চমেকে পাঠাই। তবে ঘটনার সময় আশপাশে কাউকে পাওয়া যায়নি এবং ঘটনাটি কেউ দেখেনি। প্রকৃতপক্ষে সেখানে কী হয়েছিলো তা জানতে আমরা তদন্ত করছি।
ওসি মো. ইফতেখার হাসান বলেন, একথা সত্যি যে রমজান একজন চিহ্নিত কুখ্যাত সন্ত্রাসী। ২০০৭ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সেনা সদস্যরা ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি করার সময় বাছের নামক এক সেনাসদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছিল সে।
গত পৌরসভা নির্বাচনে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে হামলার সময় বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের সঙ্গে রমজানও বোমা হামলায় অংশ নেয়। এরপর গত ইউপি নির্বাচনের সময় বারৈয়াঢালার ছাত্রলীগ কর্মী নয়নকে কুপিয়ে হত্যা করে সে ও তার দলবল। কিছুদিন পূর্বে সীতাকুণ্ডে মহালঙ্গা এলাকায় আসামি গ্রেফতার করতে গেলে সীতাকুণ্ড থানার এসআই সুজয়সহ পুলিশ সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যেও হামলা চালিয়ে আহত করে সে। এক কথায় রমজান দুর্ধর্ষ চিহ্নিত সন্ত্রাসী।
কে বা কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তা খতিয়ে বের করা হবে বলে জানান ওসি।