ক্রাইমবার্তা রির্পোটঃ গণফোরামকে নিয়ে যুক্তফ্রন্টের জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন। আজকে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এই জাতীয় ঐক্যের প্রক্রিয়া অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘তড়িঘড়ি করে আরপিও সংশোধনের উদ্যোগ এবং বিতর্কিত ইভিএম চাপিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রে নাগরিক শঙ্কা’ শীর্ষক সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।
সংগঠনটির সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমীন, নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, লেভেল প্ল্যায়িং ফিল্ড তৈরি, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠনের জন্য ২০ দলের বাইরেও যারা আজকে জাতীয় ঐক্যের সৃষ্টিতে কাজ করছেন তাদের আমরা অভিনন্দন জানাই।
তিনি বলেন, বিএনপি আগামী সবার অংশগ্রহণমূলক একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। সে জন্য জাতীয় ঐক্যের প্রক্রিয়ায় যেসব ইস্যুকে সামনে নিয়ে আনা হয়েছে তা আমরা যেসব ইস্যুতে আন্দোলন করছি তার সঙ্গে মিল রয়েছে। আমরা অত্যন্ত খুশি ও আনন্দিত যে আমাদের বাইরেও জাতীয় ঐক্যের প্রক্রিয়ায় অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরাম, মান্নার নেতৃত্বে নাগরিক ঐক্য, আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে জেএসডি রয়েছে সবাই মিলে একটি জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, এই জাতীয় ঐক্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের ভোটের অধিকার, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের সুশাসন, আইনের শাসন, বিচার বিভাগকে স্বাধীন করার ব্যাপারে সচেষ্ট হবে। এই ঐক্য স্বৈরাচারের হাত থেকে জনগণকে মুক্ত করার জন্য। যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে এককাতারে এক মঞ্চে এসে এই স্বৈরাচারী সরকারের হাত থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করবে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনসহ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন(ইভিএম) ব্যবহারের উদ্যোগ থেকে নির্বাচন কমিশনকে বিরত থাকার আহ্বানও জানান মোশাররফ হোসেন
তিনি বলেন, স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই একাদশ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার আমরা মানি না। যদি এই নিয়ে ইসি অগ্রসর হন তাহলে আগামী দিনে জনগণের আদালতে আপনাদের বিচার হবে।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার সরকারের আরেকটি কৌশল অভিহিত করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছে জনগণকে যদি কোনো সুযোগ দেয়া হয় নির্বাচনে ভোট দিতে তাহলে তাদের পক্ষে জেতা সম্ভব নয়। জনগণের জোয়ারে তাদের অস্তিত্ব সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। যদি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয় আওয়ামী লীগ ভালো করে জানে, তাদের গোয়েন্দা সংস্থাও রিপোর্ট দিচ্ছে তারা ৩০টি আসনের বেশি পাবে না। বেশির ভাগ মন্ত্রী-এমপিরা জামানত হারাবে।