ক্রাইমবার্তা রির্পোটঃসমাজকল্যাণমন্ত্রী ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে যুক্তফ্রণ্ট গঠন নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কিছুই নাই। কানা ছেলের নাম কখনই পদ্মলোচন হয় না।
সিদ্ধেশ্বরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের হল রুমে বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেনন একথা বলেন।
মেনন আরো বলেন, ড. কামাল হোসেন সাহেব এর আগেও বহুবার জোট করেছেন,ভেঙেও ফেলেছেন। তার জোটে কখনই জন সমর্থন জোটেনি। নির্বাচনের আগ মুহুর্তে তাদের নতুন জোট গঠনের কারন ও লক্ষ্য দেশের মানুষের বুঝতে আর বাকি নেই।প্রতি নির্বাচনেই তারা এরকম জোট গঠন করে তাদের নির্বাচনী মূল্য বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে থাকে।এবারও তাই করছে। এতে তাদের খুশি হবার কোন সুযোগ আছে বলে আমি মনে করিনা।
মেনন বলেন ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার করেছে ঠিকই কিন্তু এই হত্যাকান্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রের নীল নকশা আমরা আজো দেখতে পাইনি। জিয়া-মোশতাকই যে এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা একথা প্রকাশ করা ও বলবার সময় এখন চলে এসেছে। জিয়া-মোশতাক ৭৫ এ ষড়যন্ত্রের বীজ রোপন করেছিল, সেই বীজের ডালপালা সহ বৃক্ষ হচ্ছে বর্তমানের বিএনপি-জামায়াত।
কাজেই জিয়া-মোশতাকের পুতে যাওয়া বীজের ফসল বিএনপি-জামাত যে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিদের উৎখাতে মরিয়া হয়ে কাজ করবে এতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন এদেশের মাটিতে আর কখনই পুরণ হবে না। কারণ দেশের জনগণ এখন তাদের আর চায় না। কোটা ও শিশুদের সড়ক আন্দোলনে ভর দিয়ে কোন ফায়দা না পেয়ে এখন তারা জনবিচ্ছিন্ন কিছু নিরীহ মানুষের সাথে ঐক্যের চেষ্টা করছে। এখন তাদের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রেরই নতুন নাম হচ্ছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নতুন ঐক্য গঠন। এই ঐক্য গঠন নিয়ে বিচলিত হবার কিছুই নাই। কারণ তারা আগেও যেমন জনবিচ্ছিন্ন ছিল, এখনও ঠিক তাই আছে।
সিদ্ধেশ্বরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ্য প্রফেসর শেখ জুলহাস হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধেশ্বরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষ সায়রা বেগম, সিদ্ধেশ্বরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল আজাদ সরকার ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।