ক্রাইমবার্তা ডেস্ক রির্পোটঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছাত্রলীগ দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। দেশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে প্রতিটি অর্জনে ছাত্রলীগের অবদান বেশি।
শুক্রবার গণভবনে ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত শোক দিবসে এ কথা বলেন।
রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো কিছু পাওয়ার আশা করা রাজনীতির আদর্শ নয়। কী পেলাম, কতটুকু পেলাম এসব হিসেব করে রাজনীতি করলে রাজনীতির আদর্শ নষ্ট হয়ে যায়। জনগণকে কী দিলাম কতটুক উপকার করতে পারলাম এটাই রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলতুন্নেসার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার মা মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ছিলেন। অথচ তার মধ্যে কোনো অহংকার ছিল না। তিনি কখনো রাষ্ট্রীয় ভবনে বাস করেননি। তিনি শান-শওকত চাননি।
আমার মা সব সময় আমার বাবাকে পরামর্শ দিতেন। কী করলে দেশের মঙ্গল হবে, সেসব পরামর্শ আমার মা আমার বাবাকে দিতেন।
ছাত্রলীগকে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, একটি আদর্শিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে ছাত্রলীগকে। আদর্শের পতাকা ধারণের মাধ্যমেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
নীতির প্রশ্নে আপসহীন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইয়ুব খানের বিষয়ে স্কুলজীবনে আমাদের ২০ নম্বর ছিল। পরীক্ষায় আমি সেই ২০ নম্বর বাদ দিয়ে পরীক্ষা দিয়ে এসেছি। ওই ২০ নম্বরের জন্য আমি ফেলও করতে পারতাম। কিন্তু আমি আমার নীতিকে বিসর্জন দেইনি।
শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক সড়ক আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোট ছোট ছাত্রদের ঘাড়ে পা রেখে অনেকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছিল, এদের অনেকে নাকি আবার আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। কিন্তু দেশের স্বার্থে কোনো ছাড় নেই। আমার বাবা, আমার মায়ের কাছ থেকে শিখেছি, নীতির প্রশ্নে আপস নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। সেই ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানারকম উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিল। ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে ভিন্নপথে চালনার চেষ্টা করেছিল। এগুলোর মাধ্যমে তারা ঘৃণ্য মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে।