ক্রাইমবার্তা র্রিপোট :সাতক্ষীরা : মিছিল-মিটিং কিম্বা কোন ধরণের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন ছাড়ায় সাতক্ষীরাতে নতুন নতুন মামলা দায়ের সহ গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত এক সপ্তাহে জেলাতে অর্ধশতাধীক নতুম মামলা দায়ের করা হয়েছে। কলারোয়া,পাটকেলঘাটা,সাতক্ষীরা সদর আশাশুনি ও কালিগঞ্জে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় দুইশতাধীক রাজনৈতিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। সরকার পতনের ষড়যন্ত্র, নাশকতা কর্মকান্ড, বোমার সরাঞ্জম, জিহাদী বউ সহ সরকার পতনের বিভিন্ন উপকরণ উদ্ধারের দাবী করেছে পুলিশ। বিএনপি ও জামায়াতের প্রভাবশালী কোন নেতাকে প্রকাশ্যে দেখাতো দূরের কথা মোবাইলেও পাওয়া যাচ্ছে না। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিকুল হাসান জানান, প্রকাশ্যেতো দূরের কথা লুকিয়ে থাকাও দায় পড়ে গেছে। এমন অবস্থায় গোটা জেলাতে যেন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আটক ও মামলা দেয়া হচ্ছে রাজনৈতিক দলের মামলা পরিচালনাকারী আইনবীদের ও।
জামায়াতের মামলা পরিচালনার অভিযোগেএড.হাফিজুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের কামালনগরের বাসা থেকে ইটাগাছা পুলিশফাঁড়ির কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার তাকে আটক করে। পরে রাত ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর থানা হাজতে তাকে রাখা হয়। শুক্রুবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত তাকে আদালতে পাঠানো হয়নি বলে জানা যায়। সাতক্ষীরা জজ কোটে আইন পেশাষ নিয়োজিত বিএনপি এবং জামায়াতের বেশিরভাগ আইনজীবির নামে রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। এমন অবস্থায় নতুন করে গোটা জেলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ বলছে আতঙ্ক নয় অপরাধীদের ধরতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় নয়।
নতুন করে বিএনপি জামায়াতের ২০ নেতাকর্মীসহ ৯৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পযন্ত সাতক্ষীরা জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের বিরুদ্ধে ৪টি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে,সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ২২ জন,কলারোয়া থানা থেকে ৮ জন,তালা থানা থেকে ৮ জন,কালিগঞ্জ থানা থেকে ১১ জন,শ্যামনগর থানা থেকে ১৮ জন,আশাশুনি থানা থেকে ২০ জন,দেবহাটা থানা থেকে ৪ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
আশাশুনিতে সরকার পতনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিএনপি-জামায়াতের ৯ নেতাকর্মী আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের মধ্যম বেউলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার এর নীচতলায় সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রেরঅভিযোগে পুলিশ তাদেরকে আটক করে।
পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার দেবনাথ জানান, পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমানের নির্দেশনা মত বুধবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে তার (ওসি) নেতৃত্বে অভিযান চালান হয়। এসময় শে^তপুর গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিন ঢালীর পুত্র কবির আহমেদ, বুধহাটা গ্রামের আঃ কাদেরের পুত্র আব্দুল্লাহ আল-মামুন, কাপসন্ডা গ্রামের মৃত মোকছেদ সানার পুত্র মিজানুর রহমান সানা, বুধহাটা গ্রামের মৃত আঃ সাত্তারের পুত্র আবুল কালাম, কুল্যা গ্রামের রুহুল আমিন সরদারের পুত্র আমিরুল, শ্রীউলা গ্রামের মৃত ইমদাদ আলী সরদারের পুত্র আঃ রহমান, দক্ষিণ বাইনতলা গ্রামের ইসহাক মোল্যার পুত্র আঃ সালাম, নওয়াপাড়া গ্রামের জালাল উদ্দিন সরদারের পুত্র আলা উদ্দিন, আশাশুনি গ্রামের রুস্তম আলীর পুত্র জহুরুলকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ধৃতরাসহ পলাতক আসামীরা ককটেল বিস্ফোড়ন ঘটায়। আটক ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা ১৯(৮)১৮ নং মামলা রুজু করা হয়েছে।
এদিকে পাটকেলঘাটার খলিষখালিতে পর পর তিনটি রাজনৈতিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসসব মামলায় স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের বেশির ভাগ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে।
জামায়াত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এড.হাফিজুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের কামালনগরের বাসা থেকে ইটাগাছা পুলিশফাঁড়ির কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার তাকে আটক করে। পরে রাত ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর থানা হাজতে তাকে রাখা হয়।
এড.হাফিজুর রহমান সাতক্ষীরা কোটে ওকালতি করতেন । তার মুহরী সুলাইমান জানান, এড.হাফিজুর রহমানকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। কোন মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি ছিল না। তিনি দেবহাটা উপজেলার শীবনগর গ্রামের রাজব আলীর ছেলে।
শক্রুবার সকাল ৯টার দিকে সাতক্ষীরা সদর থানায় ডিউটিরত পুলিশ সদস্য জয়দেব আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মুস্তাফিজুর রহমান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে থানাতে মামলা রয়েছে।এড.হাফিজুর রহমান জামায়াতের মামলায় পরিচালনা করতেন।