ক্রাইমবার্তা ডেস্ক :
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে আগেই পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সূচিতে। চলতি বছরের অক্টোবরের পরিবর্তে বিপিএলের ষষ্ঠ আসর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। সময়ের পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগেও এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন।
১ সেপ্টেম্বর, শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এমনটাই জানান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। একই সঙ্গে বিপিএলের ষষ্ঠ আসর আয়োজনের সম্ভাব্য তারিখ ও প্লেয়ার ড্রাফটের তারিখও ঘোষণা করেছেন তিনি।
ফ্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘আজকে আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নিয়ে বসেছিলাম। ৫ জানুয়ারি থেকে বিপিএল শুরু করব। পাঁচ জানুয়ারির তারিখ বড়জোর একদিন এগোতে পারে। প্লেয়ার ড্রাফট হবে ২৫ অক্টোবর। এ কারণে আমরা কিছু সিদ্ধান্তও চূড়ান্ত করলাম। বিপিএল পরিচালনা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সোহেল ভাই (শেখ সোহেল)।’
চলতি বছরের এপ্রিলে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছিলেন, বিপিএলের আগামী আসরেই যুক্ত হচ্ছে এলইডি স্টাম্প ও স্পাইডার ক্যাম। ইসমাইল হায়দার জানালেন, এলইডি স্টাম্প ও স্পাইডার ক্যামের পাশাপাশি ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমও (ডিআরএস) যুক্ত হচ্ছে বিপিএলে।
ষষ্ঠ আসরেই সেটা যুক্ত হচ্ছে জানিয়ে ইসমাইল বলেন, ‘বিপিএলে এবার রিভিউ থাকবে। প্রত্যেক ইনিংসে প্রতিটি দল একটি করে রিভিউ পাবে। প্রতি ম্যাচে একজন করে বিদেশি আম্পায়ার থাকবে। প্রতিটি দল চারজন করে খেলোয়াড় রেখে দিতে পারবে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে দলগুলোকে রেখে দেওয়া খেলোয়াড়দের নাম দিতে হবে।
ড্রাফটের বাইরে থেকে প্রতিটি দল দুজন করে খেলোয়াড় নিতে পারবে। বাকিদের ড্রাফট থেকে কিনতে হবে। গেল আসরে বিপিএল খেলেছেন এমন বিদেশিদের এবারের ড্রাফটে থাকতে হবে। যারা গেলবার ড্রাফটে ছিলেন না, তাদের মধ্য থেকে দুজন করে খেলোয়াড় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো দলে নিতে পারবে। এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে।’
ড্রাফটের বাইরেও দুজন বিদেশি ক্রিকেটার দলে নিতে পারার ব্যাখ্যায় বিসিবির এই পরিচালক বলেন, ‘এ রকম অনেক ভালো মানের প্লেয়ার আছে। এ বছর যেহেতু জাতীয় নির্বাচন, তাই আমাদের খেলার তারিখ পিছিয়ে জানুয়ারিতে নেওয়া হয়েছে; যে সময়ে অন্যান্য লিগ শুরু হবে। প্রতিটি দলের যে পরিমাণ খেলোয়াড়ের প্রয়োজন হবে, সেটা পূরণের জন্যই আনরেজিস্ট্রার্ড দুজন করে খেলোয়াড় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
৫ অক্টোবর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বিপিএলের সম্ভাব্য সূচি নির্ধারণ করেছিল বিসিবি। কিন্তু ডিসেম্বরে দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের দুই মাস আগে দেশের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে চলতি বছর বিপিএল করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বিসিবির পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, নির্বাচনের পর ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ টুর্নামেন্ট। ওই বছরের অক্টোবরে বসবে বিপিএলের সপ্তম আসর। অর্থাৎ, এক বছরেই অনুষ্ঠিত হবে বিপিএলের দুটি আসর।