ক্রাইমবার্তা ডেস্ক রির্পোটঃসিলেট নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে এস এম আবদুল আহাদ নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা খুন হয়েছেন।শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে সিলেট সিটি সেন্টারের সামনে জিন্দাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এস এম আবদুল আহাদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কুয়েত শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সিলেট বিভাগীয় লেখক ফোরাম কুয়েত শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার করিমপুর মেদিনী মহলের নুর মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা, শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে সিলেট সিটি সেন্টারের সামনে একদল যুবক হঠাৎ তাকে ছুরিকাঘাত করে। এতে আহাদের পেট ও শরীরের বিভিন্নস্থান আঘাতপ্রাপ্ত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মোশাররফ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার ওবায়দুল কাদেরের সভায় যোগ দিতে সিলেটে গিয়েছিলেন আহাদ। শুক্রবার রাতে তার বাড়িতে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আবদুল আহাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান ওসি।
—–0————
মাদক চোরাচালানে বাধা
টেকনাফে গুলি করে রোহিঙ্গা যুবককে হত্যা
টেকনাফের লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা বস্তিতে এর নৈশপ্রহরী রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার বেলা ৩টায় বস্তির এফ ব্লকের মসজিদের সামনে তাকে গুলি করে কয়েকজন। নিহত যুবকের নাম মো. আয়াছের (২০)। বস্তির ১৫৬নং কক্ষের বাসিন্দা মো. ইসলামের ছেলে তিনি।
স্থানীয়রা জানান, আয়াছের মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় আলীখালী গ্রামের কালাচাঁন্দের ছেলে ছৈয়দ আলম (৩৫) ও রিদুয়ানের (৩২) নেতৃত্বে একটি গ্রুপ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে তার বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে চলে যায়। উপস্থিত লোকজন আয়াছেরকে দ্রুত স্থানীয় ক্যাম্প হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বস্তির চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব জানান, আয়াছের বস্তির নৈশপ্রহরী ছিলেন। নিরাপত্তা বাহিনী ও আইওএমের সহায়তায় বস্তিতে অপরাধ দমনের জন্য ২ মাস আগে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করা হয়। এর ফলে মাদক চোরাচালান, সেবন ও বখাটেদের তৎপরতায় বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি রনজিত কুমার বড়–য়া। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
ডিমলায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮,
ডিমলায় শুক্রবার দুপুরে পারিবারিক কলহের জেরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাইয়ের হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছোট ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের মধ্যম সুন্দরখাতা গ্রামে খড়ের পালা ও জমির সীমানাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে শামিম ও শাহিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধে। একপর্যায় ছোট ভাই শাহিন বড়ভাই শামিমকে মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই বড় ভাই শামিমের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ডিমলা থানা পুলিশ শামিমের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ডিমলা থানার ওসি (তদন্ত) সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত শামিমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। বড় ভাইকে হত্যার অভিযোগে ছোটভাই শাহিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত শামিমের স্ত্রী শাহানাজ বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।
ভাতিজার হাতে চাচা খুন
নরসিংদীতে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
নরসিংদী প্রতিনিধি ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নরসিংদীতে পৃথক দুটি স্থানে ভাতিজার হাতে চাচাসহ দুটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে শিবপুর উপজেলার পূর্ব সৈয়দনগর গ্রামে ও মনোহরদীর হিন্দুপাড়ায় এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। নিহতরা হলেন মনির হোসেন ও জায়েদা আক্তার।
পুলিশ জানায়, শিবপুর উপজেলার পূর্ব সৈয়দনগর গ্রামে সীমানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শাহাদাৎ হোসেনের সঙ্গে তার চাচার দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ নিয়ে শুক্রবার সকালে চাচা-ভাতিজার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় ভাতিজার এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষিতে চাচা মনির মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবপুর হাসপাতালে পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে ভোরে নরসিংদীর মনোহরদী হিন্দুপাড়ার উত্তরা ভবন থেকে জায়েদা আক্তার নামের এক গৃহবধূর অর্ধগলিত ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জায়েদা পার্শ্ববর্তী শিবপুর উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের চরনগরদী গ্রামের তাইজ উদ্দিনের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, বিয়ের পর মনোহরদীর উত্তরা ভবনে এক বছর আগে থেকে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকতেন স্বামী-স্ত্রী। স্ত্রী জায়েদা বিভিন্ন বাসাবাড়িতে ঝিয়ের কাজ করলেও স্বামী তাইজ উদ্দিনের কোনো কাজকর্ম করতেন না। এ নিয়ে তাদের প্রায়ই ঝগড়া হতো।
মনোহরদী থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, নিহত জায়েদার বোনের সঙ্গে কয়েক দিন ধরে যোগাযোগ না থাকায় তার ভাড়াবাসায় খোঁজ নিতে যায় তার ভাই। বাসায় গিয়ে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পায় পেয়ে দরজার কাছে যেতেই তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে দুর্গন্ধ এবং বারান্দার মেঝেতে রক্ত দেখতে পায়। এরপর তিনি থানায় সংবাদ দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে।