ক্রাইমবার্তা র্রিপোট:বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে সংবিধানের দোহাই দিয়ে কোনো গড়িমসি চলবে না। জনগণের ভোট নিশ্চিত করতে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের শত্রু পক্ষ। তার অধীনে নির্বাচনের অর্থই হচ্ছে ভোটারদের ভোটাধিকার হরণ।
রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, নির্বাচন নিয়ে সংবিধানের দোহাই দিচ্ছেন আওয়ামী মন্ত্রীরা, সংবিধান তো পরিবর্তন করেছেন আপনারা; আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য ত্রয়োদশ সংশোধনী আইন বাতিলের মাধ্যমে আপনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছেন।
‘সুতরাং ওবায়দুল কাদের সাহেবের বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য ও সত্যের অপলাপ। সংবিধান সংশোধন করা যায়- যেমনটি ক্ষমতাসীনরা করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আপনারা কিভাবে বাদ দিয়েছেন, আপনারা যেভাবে বাদ দিয়েছেন, ঠিক সেভাবেই আবার তা সংবিধানের সংযোজন করা সম্ভব।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, যতই ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টা ও অপলাপ করুন না কেন, আপনাদের এবার বিদায় নিতেই হবে। অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করতে হবে।
বিএনপির জনসভার বক্তব্য নিয়ে গতকাল রাতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি আওয়ামী লীগ নয়, নির্ভর করছে আদালতের ওপর। আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া তার মুক্তি সম্ভব নয়, এ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করবে না সরকার।
একই সঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে বিএনপি সরকারের যে পদত্যাগের দাবি করেছে, তা নাকচ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।
এ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। জনগণ আওয়ামী লীগের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে। গতকালের জনসভায় বিপুল মানুষের সমাগমেই প্রমাণিত হয়েছে জনগণ এ সরকারকে আর চায় না।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জামিন বারবার বাধাগ্রস্ত করছে সরকার। তিনি একের পর এক মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও আবার তা নানা কায়দায় আটকে দিচ্ছে সরকার। সরকারের নির্দেশেই তিনি কারাগারে আটকে আছেন।