প্রেমিককে খুঁজতে এসে চেয়ারম্যানের হাতে বন্দী প্রেমিকা
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুরে এ ঘটনা ঘটে। প্রেমিকা সালমা খাতুনের বাড়ি গাইবান্ধার সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মুসলিম পরিচয়ে চার বছর আগে সালমা খাতুনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুরের মনি শাহ রায়ের ছেলে গাইবান্ধার পল্লব রায় ওরফে পলাশ।
প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে স্থানীয় ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেনের বাড়িতে একটি রুম ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সালমাকে নিয়ে থাকা শুরু করে পলাশ। সালমা বিয়ের দাবি জানালে বোনের বিয়ে দেয়ার পর তাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয় পলাশ। এরপর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও বিয়ে না করে টালবাহানা করতে থাকে পলাশ।
কিছুদিন আগে পলাশের সঙ্গে তার গ্রামের বাড়ি দেখতে আসে প্রেমিকা সালমা। সেখানে এসে সালমা জানতে পারে পলাশ সনাতন ধর্মাবলম্বী। পরে ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সালমাকে তার বাড়িতে রেখে নিজ বাড়িতে এসে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় পলাশ।
গতকাল শনিবার বিকেলে বিয়ের দাবি নিয়ে পলাশের বাড়িতে এসে অনশনে বসে প্রেমিকা সালমা। এ সময় প্রেমিক পলাশ পালিয়ে যায়। পরে সালমাকে বেধড়ক মারধর করে পলাশের মা অনিতা রানী ও বাবা মনি শাহ রায়। বিষয়টি জানতে পেরে দূর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালেকুজ্জামান প্রামাণিক সালমাকে পলাশের বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখেন।
প্রেমিকা সালমা বলেন, পলাশকে খুঁজতে এসে আজ আমি বন্দী হলাম। চেয়ারম্যান-মেম্বার এসে আমাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে জেলে দেয়ার ভয় দেখিয়েছেন। পলাশ আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে তার কোনো বিচার নাই উল্টো আমাকে শাস্তি পেতে হচ্ছে। আমাকে মারপিট করে মোবাইল ও টাকা-পয়সা কেড়ে নিয়েছে তারা। আমি ন্যায় বিচার চাই।
এদিকে, সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাশের বাড়িতে লুকিয়ে থাকা পলাশের মা অনিতা রানী এসে বলেন, ওই মেয়েটিকে চেয়ারম্যান তালাবদ্ধ করে চাবি নিয়ে গেছেন। মেয়েটির মোবাইল আমার কাছে আছে। আমরা যা করেছি চেয়ারম্যান-মেম্বারের কথায় করেছি। আমাদের কোনো দোষ নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান সালেকুজ্জামান প্রামাণিক বলেন, ওসির নির্দেশে মেয়েটিকে বন্দী রাখা হয়েছে। তবে মেয়েটিকে মারধরের বিষয়টি আমার জানা নেই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আদিতমারীর থানা পুলিশের ওসি মাসুদ রানা বলেন, চেয়ারম্যানের মুখে ঘটনাটি শুনেছি। কিন্তু কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে
৬ বছরের ছোট প্রেমিকের সঙ্গে ধরা দুই সন্তানের জননী
অবৈধকাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় শুক্রবার রাতে তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে গ্রামবাসীর সিদ্ধান্তে শনিবার সকালে তাদের বিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোকেয়ার স্বামী শরিফুল ইসলাম শাহীন কাজের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। এ সুযোগে রোকেয়া ও মহব্বত দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে মেলামেশা করে আসছিল। মহব্বত বয়সে রোকেয়ার চেয়ে ছোট হলেও তাদের পরকীয়া থেমে থাকেনি। রোকেয়া-শরিফুল দম্পতির সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। বড় ছেলের বয়স ১০ বছর, মেয়ের বয়স ৫ বছর।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মহব্বত রোকেয়ার ঘরে প্রবেশ করে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হলে বিষয়টি গ্রামবাসী জানতে পারে। এরপর স্থানীয় লোকজন তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে গ্রাম্য মাতব্বর ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শনিবার সকালে ৫ লাখ টাকা কাবিননামায় তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
এ ঘটনার পর মহব্বত হোসেন বলেন, এক বছর ধরে রোকেয়ার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক। অবশেষে আমাদের সম্মতিতে বিয়ে হয়েছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
স্থানীয় মাতব্বর আজিজুর রহমান বলেন, অবৈধকাজে লিপ্ত থাকার সময় মহব্বত ও রোকেয়াকে এলাকাবাসী হাতেনাতে আটক করে। পরে সবার সিদ্ধান্তে তাদের বিয়ে দেয়া হয়। বিয়েতে ওই যুগলের সম্মতি ছিল। এর আগে একই বৈঠকে রোকেয়া ও শরিফুলের তালাকনামা করা হয়।
এ বিষয়ে শাহজাহানপুর থানা পুলিশের ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জানার পর শনিবার জাহাঙ্গীর আলম নামের একজন এসআইকে পাঠানো হয়েছিল। গ্রামবাসীর সিদ্ধান্তে বিয়ে হওয়ায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে মধ্য রাতে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেছেন স্বামী বাদল মিয়া। পরে স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিককে একসঙ্গে গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন তিনি। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এসে তাদের মুক্ত করেন। উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের সাহিলী গ্রামে শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ওই গৃহবধূর স্বামী রিকশাচালক বাদল মিয়া জানান, তার স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশী আরান মিয়ার পরকীয়া প্রেম চলছিল। শুক্রবার মধ্য রাতে রিকশা চালিয়ে বাড়ি ফিরে তিনি স্ত্রী ও আরানকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকাবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তাদের দুইজনকে পায়ে শিকল পরিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সকালে গ্রামবাসী বাদলের বাড়িতে ভিড় জমায়। ঘটনা জানার পর সাংবাদিকরা খোঁজ খবর নেয়া শুরু করলে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় ইউপি মেম্বার জিয়াউর রহমান জিয়া ওই গৃহবধূ ও যুবকের পায়ের শিকল খুলে দেন। বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা চালান।
মহাদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহামুদুল আমিন ডিউক জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। ওই গৃহবধূ দুই সন্তানের জননী হওয়ায় ভবিষৎতের কথা মাথায় রেখে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসা করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
শিবালয় থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, যুবকসহ এক গৃহবধূকে আটকে রাখার ঘটনা তিনি লোকমুখে শুনেছেন। তবে এ ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।