বায়জিদ হোসেন: যশোর :স্বস্তি ফিরেছে খুলনা বিভাগের সবচেয়ে বড় এবং দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম যশোরের রাজারহাট চামড়ার বাজারে। সরকারের নির্ধারিত দামের থেকে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি দরে বেচা-কেনা হয়েছে প্রতি বর্গফুট চামড়া। ব্যবসায়ীরা বলছেন ট্যানারি সিন্ডিকেটের মনোপলি দাম নির্ধারণ রুখতে পারলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা টিকে থাকতে পারবেন। এদিকে ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, বর্ধিত এ দাম আরো কয়েক হাট অব্যাহত থাকবে। ফলে লোকসানের শংকা কেটে যাবে।
ঈদ পরবর্তী প্রথম হাটে চামড়ার দর নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ থাকলেও তৃতীয় হাটে তা অনেকটা কেটে গেছে। শনিবার দক্ষিণ-পশ্চিমা লের বৃহত্তর চামড়ার হাটে যশোর ছাড়াও খুলনা, সাতক্ষীরা, নড়াইল, মাগুরা, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, ঢাকা, রাজশাহী, পাবনা, ঈশ্বরদী এবং নাটোরের বড় বড় ব্যবসায়ীরা চামড়া বেচা-কেনা করতে আসনে। বাইরের ব্যবসায়ীদের সরব উপস্থিতির কারণে নির্ধারিত দামের থেকেও ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি দরে বেচা-কেনা হয়েছে প্রতি বর্গফুট চামড়া। তবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লাভের আশায় আরো দু’একটা হাট পর্যবেক্ষণ করতে চান। তাদের ধারণা চামড়ার দাম আরো বাড়বে এবং তাদের লোকসানের শংকা কেটে যাবে। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বলছেন গত তিনটি বাজার চামড়া বিক্রয় করতে পারিনি, আজ নগদ টাকায় চাড়াম বিক্রয় করতে পেরে কিছুটা ক্ষতি পোশালেও আগের মত যদি চামড়ার দাম পাওয়া যেত তাহলে লাভবান হতো বলে মনে করেন এই ব্যবসায়ীরা।
আড়টদাররা বলেন,চামড়ার দাম এমন বৃদ্ধি পেলে ভারতে পাচার হওয়ার আশংকা কেটে যাবে। বাজারে প্রতি বর্গফুট চামড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রয় হচ্ছে চামড়ার আমদানি যেমন চাহিদাও তেমন, বাজারের সব চামড়া বিক্রয় হয়ে গেছে।
আলাউদ্দিন মুকুল, সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর যশোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির এই নেতা বলেন, প্রতি বছর ঈদের আগে চামড়ার টাকা পরিশোধ করার কথা থাকলেও একটি মহল তা করছে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানায় তিনি যেন একটি কমিটি করে চামড়া শিল্পকে রক্ষা করে।
মিজানুর রহমান খাঁন, সাবেক সভাপতি, যশোর চেম্বার অব কমার্সের এই নেতা বলেন,
ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে বকেয়া পাওনা পরিশোধ এবং এই ব্যবসার সাথে যারা জড়িত তাদের ব্যাংক লোনের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের এই নেতা।
চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির তথ্য মতে শনিবারের হাটে প্রায় ৪ প্রায় কোটি টাকার চামড়া বেচাকেনা হয়েছে।