ক্রাইমবার্তা রির্পোট: সাতক্ষীরা :
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে পিতার ভাড়াটিয়া বাহিনীর হামলায় পুত্র, কন্যা ও পুত্রবধুসহ ৭জনকে পিটিয়ে হাত, পা ভেঙে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আশাশুনির গোদাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেন গাজীর ছেলে মোমিন গাজী রবিবার দুপুরে এই সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্যে মোমিন গাজী বলেন, আমার পিতা বর্তমানে ২য় স্ত্রী ও তার
সন্তানদের সাথে বসবাস করেন। তিনি তার নামীয় কোন সম্পত্তি আমাদের কাউকে ভাগ দেননি উপরোক্ত তার প্রথম স্ত্রী (আমাদের মাতা) মোমেনা খাতুনের নামীয় সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। কোন ভাবে আমার মাতার নামীয় সম্পত্তি দখল নিতে না পেরে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের প্রকৃতির ব্যক্তিদের মোটা অংকের অর্থে বিনিময়ে ভাড়া করে আমাদের মাতা মোমেনার নামীয় সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। এর জের ধরে গত ২৮ আগস্ট’ ১৮ তারিখে আমাদের পিতা আলতাফ হোসেন গাজী তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী চম্পাফুল গ্রামের নজরুল খাঁর ছেলে মনি,বাবু, গোদাড়া গ্রামের মেহের গাজীর ছেলে হাফিজুল গাজী ও মজিজুল গাজীগংদের নিয়ে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে আমার মাতা মোমেনা খাতুন, বড় ভাই মুজিবর গাজী, বোন আমেনা খাতুন, ভাবী মর্জিনা খাতুন, সেঝ ভাই আহছান গাজী ও তার স্ত্রী নাজমা খাতুন, আমার স্ত্রী নাসিমা খাতুন, চাচা আশরাফ গাজীকে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট করতে থাকেন। এসময় তাদের মারপিটের হাত থেকে রক্ষা পেতে পাশ্ববর্তী বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিলেও ওই সন্ত্রাসীদের হাত থেকে তারা রক্ষা পায়নি। সেখান থেকে টেনে বের করে এনে তাদের পিটিয়ে মারাত্মক মারপিট করতে থাকে। একপর্যায়ে আমার মাতা মোমেনা খাতুনের মাথায় দা দিয়ে কোপ মেরে। এতে তার মাথায় ৮টি সেলাই দিতে হয়। ভাই আহছানের দুই হাটুর নিচের রড দিয়ে পিটিয়ে গুড়িয়ে দেয় এবং তার বাম হাতের ৪টি আঙ্গুল ভেঙে এবং বড় ভাবীর বাম হাতের ভেঙে দেয়। এঘটনা স্থানীয় সাংবাদিক ও ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক মোনায়েম হোসেন জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে ওই সন্ত্রাসীদের হাত থেকে তাদের উদ্ধার করেন। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
পিতা হয়ে জমির জন্য কিভাবে নিজের সন্তানদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করতে পারে। সেটা আমরা কোনভাবেই বুঝতে পারছি না। ওই ভূমিদখলকারী আলতাফ আমাদের জন্ম দিলেও পিতা হতে পারেননি। তিনি পিতা হতে পারলে এভাবে নিজের সন্তানদের হত্যার উদ্দেশ্যে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের মারপিট করতে পারে না। ওই আলতাফ পিতা নামের কলঙ্ক। এঘটনায় আমরা ওই পিতার নামক সন্ত্রাসী ও তার ভাড়াটিয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে আশাশুনি থানায় অভিযোগ দিলেও থানা পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেননি। পরবর্তীতে থানায় যোগাযোগ করলেও থানা মামলা রেকর্ড না করে তালবাহানা করতে থাকে। এদিকে ওই পিতার ও তার ভাড়াটিয়া বাহিনীর সদস্যরা আমাদের হত্যাসহ বিভিন্নভাবে ক্ষয়ক্ষতির হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। আমরা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমরা ওই পিতার নামের কলঙ্ক আলতাফ ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।