বগুড়া ব্যুরো:বগুড়ায় কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ছুরিকাঘাত মামলায় বখাটে কাওসার অভিকে (২২) পুলিশে দিয়েছেন তার মা।
রোববার রাতে বগুড়া সদর থানায় গিয়ে ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দেন মা নাসরিন আলম। অভি বগুড়া শহর যুবলীগের সভাপতি মাহফুজুল আলমের ছেলে।
সোমবার বিকালে অভিকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শেখ ফরিদ।
তিনি জানান, ব্যাপক তৎপরতার মুখে অভিভাবকরা কাওসার অভিকে থানায় সোপর্দ করার সিদ্ধান্ত নেন।
অভির মা নাসরিন আলম রোববার রাতে সদর থানায় এসে তার ছেলেকে সোপর্দ করেন।
জানা গেছে, বগুড়া শহরতলির পালশা বিদ্যুৎনগর এলাকার জাহিদুর রহমানের মেয়ে বগুড়া সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষে পড়ে। লেখাপড়ার পাশাপাশি শহরের বাদুড়তলায় রূপছাড়া বিউটি পার্লারে বিউটিশিয়ানের কাজ শেখে।
বাড়ি থেকে কলেজ ও পার্লারে যাতায়াতের পথে অভি তাকে উত্ত্যক্ত ও প্রেমের প্রস্তাব দিত। এতে সাড়া না দেয়ায় কলেজছাত্রীর ওপর অভি ক্ষিপ্ত হয়। গত ৩০ আগস্ট বিকালে অভি ও তার তিন সঙ্গী বাদুড়তলায় ওই বিউটি পার্লারে যায়। সেখান থেকে ছাত্রীকে তুলে কাটনারপাড়ার একটি বাড়িতে নেয়া হয়।
আবারও প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে অভি ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীকে মারধর করার পর উরু ও হাতে ছুরিকাঘাত করে। এর পর হুমকি দিয়ে বের করে দেয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নামাজগড় এলাকার ক্লিনিকে ভর্তি করান। পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অভির মা ও অন্যরা হাসপাতালে গিয়ে মীমাংসার প্রস্তাব দিলে ভয়ে অভিভাবকরা ৩১ আগস্ট ছাড়পত্র ছাড়াই মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
এ ছাড়া ১ সেপ্টেম্বর বিকালে ছাত্রীর বাবা জাহিদুর রহমান সদর থানায় অভি ও তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখি হলে পুলিশ অভিকে গ্রেফতারে তৎপর হয়। বাধ্য হয়ে রোববার রাতে মা নাসরিন আলম তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন।