সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :শহরের পলাশপোল মধুমোল্লারডাঙ্গির আমিনুর রহমানের বাবা আবদুল বারী কসাই তার মার নামে এক কাঠা জমি ক্রয় করেন। বাবার মৃৃত্যুর পর আমিনুরের মা ওই জমি বিক্রি করে ফের দুই কাঠা জমি কেনেন। সেখানে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শান্তিতে ছিলেন।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন আমিনুর। তিনি বলেন তার বড় বোন ময়নার বিয়ে হলো। সেই বোন আর বোনাই তার মার জমিতে ঘর বেঁধে বাস করতে থাকে। এর পর থেকে পরিবারে শুরু হয় অশান্তি। তিনি বলেন তিন বছর আগে আদ দ্বীন সমিতি আমিনুরের প্রতিবন্ধী বোন মনোয়ারা ও তার মাকে টিনের ঘর তৈরি করে দেয়। এরই মধ্যে প্রতিবন্ধী বোন মনোয়ারা নিখোঁজ হয়ে যায়। আজ অবধি তার কোনো খোঁজ মেলেনি। এ নিয়ে কোর্ট মামলা করেন আমিনুর। এ মামলায় আসামি করা হয় তার মেজ বোন ও বোনাইকে। তারা জেলে থাকে। তারপর কেস বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে শুরু হয় আবারও গোলমাল। মেজ বোনের কেসের ব্যাপারে ও ঘরের ব্যাপারে কিছু বললে তারা বলে তোর মেজ বোনের মতো তোকেও গুম করে দেবো।
আমিনুর বলেন বড় বোন আর দুলা ভাইয়ের অত্যাচারে বাড়িতে টিকতে পারছি না। এ জন্য নাভারণে যেয়ে ভাড়া থাকি। কিছুদিন আগে মার জমিতে আবারও দুটি পাকা ঘর করি। কিন্তু সেখানেও উঠতে দেয়নি বোন ময়না ও বোনাই। তিনি বলেন আমি সাতক্ষীরার সার্কেল এসপির সাথে দেখা করে আমার পক্ষে গনস্বাক্ষরের তালিকা দেই। এবার এসপি অফিসে অভিযোগ দিলে একমাসের মধ্যে তাদের ঘর ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পর থেকে আমিনুরের ওপর নির্যাতন চলছে বারবার। গত ২৫ আগস্ট তারিখে রসুলপুরের একটি বাড়িতে থাকাকালে আমিনুরকে খুন করার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। তারা কেস তুলে নিতে বলে।
তিনি বলেন আজ সোমবার কোর্ট এলাকা থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা গ্রহনের একটি স্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর করানোর চেষ্টা করে ময়না ও তার স্বামী।
আমিনুর এর প্রতিকার দাবি করে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আমিনুরের মা রোমেছা বেগম ও ছোট বোন সুবিলা উপস্থিত ছিলেন।
Check Also
সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন এর আয়োজনে বিজয় দিবস পালন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা,পুরুষ্কার বিতারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। …