অভিযোগে স্বাক্ষরকারী ১২জন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থেকে বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট এই অভিযোগ তুলে দেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লেখা ‘‘সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশকারী সাধারণ সম্পাদকের অব্যহতি প্রসঙ্গে’’ শিরোনামে এক অভিযোগে এ সকল নেতৃবৃন্দ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিককে বহিস্কার করা না হলে তারা সকলে গণপদত্যাগ করবেন বলে উল্লেখ করেছেন।
পাঠকের সুবিধার্থে পত্রটি হুবুহু উল্লেখ করা হলো-
‘‘আমার বিভিন্ন উপজেলা ও কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি। সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিকের অসদাচরণ তথা অশ্লীল ভাষা, গালিগালাজ ও আমাদের উপজেলা এবং কলেজ কমিটি ভেঙে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অর্থ দাবি ও তার বিভিন্ন দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকা-ের কারণে আমার বিব্রত।
এমত অবস্থায় সাধারণ নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীরা জেলা ছাত্রলীগের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে এবং সাংগঠনিক স্থবিরতা দেখা দিচ্ছে। যা আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয়ে সাতক্ষীরার সকল উপজেলা ও সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষে যথাযথ ভূমিকা রাখতে কোন অবস্থাতেই সম্ভব না। তাই এখনই যদি সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিককে অব্যহতি প্রদান করা না হয় তাহলে আমরা গণপদত্যাগ করবো।
অতএব জননেত্রী শেখ হাসিনার ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে এই অনুপ্রবেশকারী সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের বিতর্কিত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ব্যবস্থা (বহিস্কার) নিতে বিনয়ের সাথে আবেদন করছি।’’
লিখিত এই অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন- সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী শাহেদ পারভেজ ইমন, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিন আলম সাদ্দাম, কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক শাকিল খান জজ, তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাদী ও সাধারণ সম্পাদক মশিউল আলম সুমন, সাতক্ষীরা সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মহিদুল ইসলাম, আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসমাউল হোসাইন, কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ, শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হাকিম সবুজ, দেবহাটার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ, সাধারণ সম্পাদক মো. হাফিজুল ইসলাম হাফিজ।