ক্রাইমর্বাতা র্রিপোট: যশোর: যশোরে সেফালী খাতুন (৩০) নামে এক গৃহবধূকে যৌতুকের টাকার জন্যে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি সদর উপজেলার নারাঙ্গালী গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর স্ত্রী। তবে, পিতৃপক্ষের অভিযোগ যৌতুকের টাকার জন্যে তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে স্বামীর দাবি, সংসারিক বিরোধের জেরধরে তার স্ত্রী কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছে।
মৃতের ছোট ভাই মকলেছুর রহমান জানিয়েছেন, ১৪ বছর আগে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী টাওরা গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে সেফালী খাতুনের সাথে সদর উপজেলার নারাঙ্গালী গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর বিয়ে হয়। সাংসারিক জীবনে তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের সময় কোনো দাবি না থাকলেও বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকার জন্যে প্রায় সময় বাবু স্ত্রী সেফালীকে নির্যাতন করে আসছিলো। মেয়ের সুখের কথা ভেবে সেফালীর পরিবার স্বামীর পরিবারকে কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছেন। সর্বশেষ ছয়মাস আগে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুকে ব্যবসার জন্যে স্ত্রীর পরিবার পঞ্চাশ হাজার টাকা যৌতুক দিয়েছেন। শুক্রবার সকালে মোস্তাফিজুর রহমান বাবু আবার ও স্ত্রী সেফালীর বাপের বাড়ি থেকে ত্রিশ হাজার টাকা যৌতুক আনতে বলে। স্ত্রী টাকা আনতে অস্বীকার করলে স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে শ্বাসরোধে হত্যা চেষ্টা করে মুখে কীটনাশক ঢেলে হত্যা চেষ্টা করে। এ সময় তারা মোস্তাফিজুর রহমান বাবু গ্রামে প্রচার করে তার স্ত্রী কীটনাশক পান করেছে। স্থানীয়রা দুপুর তিন টায় তাকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল পাঁচ টায় তার মৃত্যু হয়।
মৃতের ছোট ভাই মকলেছুর রহমানের অভিযোগ, তার বোন সেফালী কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেনি। স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মুখে কীটনাশক ঢেলে দিয়েছে। তিনি এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেছেন।
কোতয়ালী মডেল থানার এসআই কাইয়ুম জানিয়েছেন, মৃতুতে রহস্য আছে। মৃতের পরিবার হত্যার জোর অভিযোগ তুলেছে। মৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারন জানতে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। হত্যার সত্যতা মিললে এটি নিয়োমিত মামলা হিসাবে রেকর্ড গ্রহন করা হবে।