ক্রাইমবার্তা ডেক্স রিপোর্টঃ
গাজীপুরে পাওনা টাকা আদায় করাকে কেন্দ্র করে এক ব্যবসায়ীকে খুনের দায়ে ৭ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে জেলা জজ আদালত। সোমবার সকালে গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক একেএম এনামুল হক এ আদেশ দেন।
নিহত ব্যবসায়ীর নাম মিলন ভূইয়া। তিনি মহানগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো-গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার গজারিয়াপাড়া এলাকার জলিল মেম্বারের ছেলে রাজীব হোসেন ওরফে রাজু (২৯), গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার গজারিয়াপাড়া এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে মো. কাইয়ুম (৩২), কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার বুরুদিয়া এলাকার এমদাদুল হকের ছেলে মো. রাজীব হোসেন (২৯), গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার ধরপাড়া এলাকার আফছার উদ্দিনের ছেলে মো. ফারুক হোসেন (৩২), গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার নলগাঁও বুরুজপাড়া এলাকার মোন্তাজ উদ্দিনের ছেলে মো. সফিকুল ইসলাম ওরফে পারভেজ (৩৩), জামালপুরের ইসলামপুর থানার পূর্ব বালিয়াদহ গ্রামের শহিদুজ্জামানের ছেলে মো. আলী হোসেন ওরফে হোসেন আলী (৩৪) ও কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর সুকানদীঘি এলাকার সৈয়দ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী ওরফে ছোট আলী (২৭)। তাদের প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অপর একটি ধারায় তাদের প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন একই আদালত।
রায়ে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থানার শাহেদল গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মাসুদ ওরফে মামা মাসুদকে (৩৯) ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেয়া হয়।
এছাড়া দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি ময়মনসিংহের ত্রিশালের বকশিপাড়া এলাকার রমজান আলীর ছেলে এনামুল হক (৩৫) ও কিশোরগঞ্জের কটিয়াদির থানার আছমিতা এলাকার আব্দুল জাব্বারের ছেলে সামসুল হককে (৫২) খালাস দেয়া হয়।
গাজীপুর আদালতের পিপি মো. হারেছ উদ্দিন আহমেদ জানান, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে মোটর সাইকেলযোগে নিজ বাড়ি গাজীপুরের পূর্ব চান্দনা এলাকার ফেরার পথে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের ৪নং গেইটের ২০০ গজ উত্তর-পশ্চিমে পৌঁছালে ১০-১২ ডাকাত সদস্যরা মিলনকে কুপিয়ে খুন করে।
এ ঘটনায় পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি নিহত মিলনের মামা আক্তার হোসেন বাদি হয়ে জয়দেবপুর থানায় ৮-১০জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। অন্যরা পলাতক রয়েছে।
মামলার ১০ আসামির মধ্যে মো: রাজীব হোসেন, মো: ফারুক হোসেন এবং মো: আলী হোসেন ওরফে হোসেন আলী পলাতক রয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি রাজীব হোসেন, মো: কাইয়ুম, মো: সফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী ওরফে ছোট আলী আদালতে উপস্থিত ছিল।
রাষ্ট্রপক্ষে পিপি হারিছ উদ্দিন আহমেদ এবং আসামি পক্ষে মো: খালেদ হোসেন, খালেদ মাহমুদ রাব্বি, মো: হাফিজ উল্লাহ দরজি, মো: জহিরুল ইসলাম ও ওয়াহিদুজ্জামান আকন্দ মামলাটি পরিচালনা করেন।