নাটোরের অাজকের সারা দিনের ঘটে যাওয়া সব খবর জানাচ্ছেন অামাদের নাটোর প্রতিনিধি মোঃ রিয়াজুল ইসলাম
নাটোরে তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরে আরমান হত্যা মামলায় আব্দুল আলিম (৩০) ও সুমন (৩২) আলী নামে দুই যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়ছে আদালত। বুধবার দুপুরে নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ রেজাউল করিম এ রায় দেন। রায়ে অপর ৩ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। ১০ হাজার টাকা জরিমনা ধরা হয়। নাটোর কোর্টের পিপি সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বাবুলের ছেলে আরমান আলীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এর পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। একদিন পর তার লাশ একই উপজেলার রামনগর এলাকার একটি বাঁশ ঝাড় থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদি হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে প্রয়োজনিয় আইনী প্রক্রিয়া সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক এ রায় দেন। এদিকে সদর উপজেলার জংলী এলাকায় আলাল হোসেন (২৮) কে ইতি নামের একটি মেয়েকে ধর্ষনের অভিযোগে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন ২০০৮ সালে ২ সেপ্টেম্বর বাদী ইতি পিতা সাইবুল্লাহ। যুক্তিতর্ক শেষে বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু টাইব্রনাল আদালতের বিচারক মাইনুল হক কে যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা জরিমনা করেন। নাটোর কোর্টের এপিপি সাজাহান কবির বিষয় টি নিশ্চিত করেন।
নাটোরে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেফতার
নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুরে নবম (১৪) শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী জোড় পুর্বক ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষক রাশিদুল ইসলামকে হাতে-নাতে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের ঝাউপাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ওই ছাত্রীর বাড়ীতে না থাকার সুযোগে নারায়নপুর গ্রামের মোঃ খাদেম আলীর ছেলে রাশিদুল ইসলাম তার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে জোড়পুর্বক ধর্ষণ করে। ওই সময় স্কুল ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে যায়। স্থানীয়দের অবস্থান টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে রাশিদুলকে হাতে-নাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। রাতেই ওই ছাত্রীর বাবা মোঃ আবু বক্কার সিদ্দিক রাদী হয়ে ধর্ষক রাশিদুলের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছে। গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সেলিম রেজা জানান, প্রাথমিক ভাবে ওই ছাত্রীর শরীরে ধর্ষনের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষন মামলা নিয়ে ধর্ষককে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আর ওই ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মেডিকলে পাঠানো হয়েছে।
নাটোরে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা
নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুরে পপি পারভীন নামে খুবজীপুর দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বুধবার ভোর রাতে গুরুদাসপুর মহল্লায় তার ফুফাতো দুলাভাই মেডিসিন ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের ভাড়া বাসায় ওই ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার পপি তার ওই দুলাভাইয়ের বাসায় আসে। রাতে দুলাভাই বাসায় না থাকায় একই কক্ষে ঘুমায়। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঘুম থেকে উঠে পাশের কক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় ফুফাতো বোন। গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সেলিম রেজা জানান, ইউডি মামলা নেওয়া হয়েছে। আত্মহত্যার কোন কারন জানা যায়নি। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নাটোরে ভূতুড়ে বিলে অতিষ্ট গ্রাহকরা ॥ মিটার রিডারকে সাময়িক বরখাস্ত
নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর পল্লীবিদ্য্ৎু সমিতি-১ এর ভূতুড়ে বিলে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে নাটোরের বাগাতিপাড়ার কয়েকশ’ গ্রাহক। সম্প্রতি উপজেলার কয়েকটি এলাকায় এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ গ্রাহকদের তোপের মুখে পড়েন মিটাররিডার কাম ম্যাসেঞ্জার। পরে কর্তৃপক্ষ সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সর্বশেষ মঙ্গলবার এ ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন উপজেলার গালিমপুর এলাকার শতাধিক গ্রাহক। এর আগে মাড়িয়া গ্রামে একই ঘটনায় মিটার রিডার আব্দুল জলিলকে অবরুদ্ধ করে। তাছাড়াও সাতসৈল গ্রামেও তোপের মুখে পড়েন মিটার রিডার। এদিকে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মিটার রিডারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, নাটোর পল্লীবিদ্য্ৎু সমিতি-১ এর মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার আব্দুল জলিল উপজেলার গালিমপুর গ্রামে গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গত মাসের বিদ্যুৎ বিল পৌঁছে দিতে যান। কিন্তু ওই বিলের টাকার পরিমান দেখে গ্রাহকদের চোখ কপালে ওঠে। তারা ওই বিল দেখে বিস্মিত ও হতভম্ব হয়ে যায়। তারা দেখে প্রত্যেকের বিদ্যুৎ বিল বিগত মাসের চেয়ে কয়েকগুন বেশী। এসময় ওই গ্রামে গ্রাহকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে বিল সরবরাহকারী মিটার রিডার আব্দুল জলিলের কাছে বিল বেশী হওয়ার কারন জানতে চায়। কিন্তু মিটার রিডার সদুত্তর দিতে না পারায় গ্রাহকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকে। পরে কর্তৃপক্ষ বিলগুলি প্রত্যাহার করে সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দিলে গ্রাহকরা শান্ত হয়। গ্রাহকরা জানান, এই ভুতুড়ে বিল পরিশোধ করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এক মাসের বিল পরিশোধ করতে না পারলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। গ্রাহকদের পুনরায় সংযোগ নিতে নাটোর অফিসে গিয়ে ১২শ টাকা জরিমানা গুনতে হয়। ওই ভুতুড়ে বিল হাতে পেয়ে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েন। গালিমপুর গ্রামের সেলিম রেজা বলেন, গত জুলাই মাসে তার বিদ্য্ৎু বিল আসে এক হাজার ১শ’২৩ টাকা। আগষ্ট মাসে একই সরঞ্জামাদী ব্যবহার করেছেন। অথচ তার বিদ্যুৎ বিল করা হয়েছে দুই হাজার ৮শ’ ৫৩ টাকা। গ্রাহক শহিদ জানান, গত জুলাই মাসে তিনি বিদ্যুৎ বিল দিয়েছেন ৪শ’ ৪৭ টাকা। এবার আগষ্ট মাসে বিল এসেছে ১হাজার একশ’ ৫৩টাকা। এমন অভিযোগ গালিমপুর গ্রামের প্রায় সকল গ্রাহকের। এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর উপজেলার মাড়িয়া গ্রামেও একই ঘটনায় প্রায় ৫ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে মিটার রিডার আব্দুল জলিলকে। পরে কর্তৃপক্ষের সংশোধনের আশ্বাসে বিলগুলি প্রত্যাহার করে নিলে গ্রামবাসী অবরুদ্ধ ওই মিটার রিডারকে ছেড়ে দেয়। সাতসৈল গ্রামেও সম্প্রতি ভুতুড়ে বিলে তোপের মুখে পড়েন মিটার রিডার। এদিকে গালিমপুর গ্রামে ভুতুড়ে বিলে গ্রাহকদের বিক্ষোভের ঘটনায় বুধবার দুপুরে নাটোর পল্লী বিদু্যুৎ সমিতির কয়েকজন কর্মকর্তা গ্রাহকদের সঙ্গে গালিমপুর মোড়ে এক বৈঠক করেন। বৈঠকে গ্রাহকদের দাবির মুখে পুনরায় মিটার রিডিং নিয়ে বিল সংশোধনের আশ্বাস দেন। কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন এজিএম (সেবা) নূরে আলম, এজিএম (অর্থ) সরওয়ার আলম হাওলাদার, এজিএম (পরিচালন ও রক্ষণা-বেক্ষণ) কনক হোসেন প্রমূখ। ওই বৈঠকে এজিএম (সেবা) নূরে আলম বলেন, সংশ্লিষ্ট মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার আব্দুল জলিলকে এ ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার সোহরাব হোসেন বলেন,বাগাতিপাড়ায় গ্রাহকদের বিলিংয়ের কিছুটা সমস্যা হয়। বিষয়টি নিয়ে গ্রাহকদের সাথে মতবিনিময় করতে কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট মিটার রিডার আব্দুল জলিলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
নাটোরে বিএনপির প্রতিকী অনশন পালিত
নাটোর প্রতিনিধি
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সু-চিকিৎসা ও মুক্তির দাবীতে নাটেরে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন প্রতিকী অনশন পালন করেছন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নাটোর জেলা বিএনপি অফিসে দলীয় ও অঙ্গ সংগঠনের নেতামকর্মীরা সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রতিকী অনশন পালন করে। এসময় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, নাটোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিনুল হক, থানা বিএনপির সভাপতি রহিম নেওয়াজ, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ডাঃ সুফিয়া হক, সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী, জেলা স্বোচ্চাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ফয়সাল আলম আবুল ব্যাপারী, জেলা যুবদলের সভাপতি এহাই তালুকদার ডালিম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ কামরুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ সৃজান আলী। বক্তরা অবিলম্বে গুরুত্বর অসুস্থ্য দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা সু-চিকিৎসা ও দ্রুত নিঃম্বর্ত মুক্তির দাবী জানান। পরে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।