ক্রাইসবার্তা ডেস্করির্পোটঃ রাজশাহীর পুঠিয়ায় হেলমেট না থাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মোটরসাইকেলে তেল দেয়নি পাম্প। এ ঘটনায় ওই আওয়ামী লীগ নেতা ক্ষিপ্ত হয়ে তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা সদরের পশ্চিম পাশে পুঠিয়া ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
তেল পাম্প ম্যানেজার অলক কুমার সরকার বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পালোপাড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক মোটরসাইকেলে তেল নিতে আসেন। সে সময় তার কাছে কোনো হেলমেট ছিল না। তাই পাম্পের একজন বিক্রয়কর্মী তেল দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যান।
তিনি বলেন, কিছুক্ষণ পর আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মালেক আবার এসে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এখানকার কর্মচারীদের দিয়ে পাম্পের সামনে দড়ি বেঁধে অবরোধ করে চলে যান। যাওয়ার আগে তিনি আমাদের হুমকি দিয়ে যান কারো কাছে তেল বিক্রি করলে পাম্প জ্বালিয়ে দেয়া হবে। এরপর থেকে পাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। বিষয়টি পাম্প মালিক, থানা ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পুলিশ প্রশাসন হেলমেটবিহীন কোনো মোটরসাইকেলে তেল দেয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ বিষয়ে পাম্পের সামনে একটি ব্যানারও ঝুলানো আছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আবুল হোসেন ও আরিফুল হক বলেন, বেলা প্রায় ১১টার দিকে হেলমেটবিহীন তেল না দেয়াকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেকের সঙ্গে পাম্প কর্মচারীদের কথা-কাটাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তেল বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে।
কিছুক্ষণ পরপর ওই নেতার লোকজন পাম্পের সামনে থেকে দেখে যাচ্ছে তেল বিক্রি হচ্ছে কিনা। হঠাৎ করে পাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ থাকায় শত শত যানবাহন চালকরা তেল নিতে এসে হয়রানির শিকার হচ্ছে।
তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পালোপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মালেকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পুঠিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল হাসান বলেন, হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেলে তেল না দেয়ার বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাম্পে তেল দেয়া বন্ধ রয়েছে এটা আমি শুনেছি। সন্ধ্যার পর উভয়পক্ষের লোকজন নিয়ে বিষয়টি সুরাহা করা হবে।