কালের পথপরিক্রমায় হিজরী ১৪৪০ সনের আগমনি প্রতীক পবিত্র মহররম শুরু

মিয়া হোসেন : কালের পথপরিক্রমায় হিজরী ১৪৪০ সনের আগমনি প্রতীক পবিত্র মহররমের চাঁদ ভূম-ল ও নভোম-লকে উদ্ভাসিত করে তুলেছে। দিগন্তের দিক চক্রবাল জুড়ে নব আলোর রেখায় একটি ইঙ্গিত সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, ইসলামী শক্তির পরিপূর্ণ বিকাশ অত্যাসন্ন। বেঈমানী নাফরমানী ও খোদাদ্রোহী শক্তির বলয় যতই বিস্তৃত ও শক্তিশালী হোক না কেন, তার সময় শেষ হয়ে গেছে এবং যাবতীয় অনাচার ও অবিচারের বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে। হিজরী নব বর্ষের এই আবাহনী ইঙ্গিত বিশ্ব মুসলিমের মনে যেমন আশার সঞ্চার করেছে তেমনি তাগুতি ও শয়তানী শক্তির ভিত্তিমূলে ধরেছে কাঁপন। শয়তান ও তার পদলেহী অনুচররা মুসলিম মিল্লাতের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। মুসলমানদের জাতীয় সম্পদকে কুক্ষিগত করার জন্য ষড়যন্ত্রের জাল সবর্ত্র বিস্তার করা হচ্ছে। তাই বলে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতন মুসলিম মিল্লাত একবারে বেখবর নয়। কেননা তাদের সামনে রয়েছে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর দিক নির্দেশণামূলক বাণী। আর মহররম মাস স্মরণ করিয়ে দেয় কারবালার ময়দানে ইমাম হুসাইনের শাহাদাতের কথা। ১০ মহররমের ঘটনা মুসলমানদেরকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রামের কথা শিক্ষা দেয়। হিজরী ৬১ সালের ১০ মহররম ফোরাত নদীর তীরবর্তী কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনী নির্দয়ভাবে ইমাম হুসাইন (রাঃ) ও তার শিশুপুত্রসহ ৭২ জন সাথীকে শহীদ করে। হযরত মুয়াবিয়ার পুত্র ইয়াজিদ ইসলামের ইতিহাসে রচনা করেছে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের। এর বিপরীতে ইমাম হুসাইন (রাঃ) সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করে ইসলামের ইতিহাসে গৌরবজনক অধ্যায়ের রচনা করে অমর হয়ে আছেন। বিশ্ব মুসলিমের জন্য রেখে গেছেন আত্মত্যাগের অনুপম শিক্ষা।

 

Check Also

সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন

ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা:   ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।