ক্রাইসবার্তা ডেস্করির্পোটঃদ্য নিউইয়র্ক টাইমস, এএফপি : ট্রাম্প প্রশাসন চীনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা ভাবছে। বর্তমান ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তাদের তথ্যের বরাতে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে জানানো হয়, উইঘুরসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের লাখো মানুষকে বন্দিশিবিরে রাখার অভিযোগে বেইজিংকে শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশে এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এই অর্থনৈতিক অবরোধ হবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে চীনের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া প্রথম পদক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা চীনের কাছে মার্কিন নজরদারি প্রযুক্তি বিক্রিও সীমিত করতে চাইছেন। চীনের নিরাপত্তা সংস্থা ও কোম্পানিগুলো উত্তর-পশ্চিম চীনে বসবাসকারী উইঘুরদের ওপর নজরদারির জন্য এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
সংখ্যালঘু মুসলমানদের সঙ্গে খারাপ আচরণের জন্য চীনকে ভর্ৎসনা করার ব্যাপারে বেশ কয়েক মাস হলো হোয়াইট হাউস এবং অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে দুই সপ্তাহ আগে কংগ্রেস সদস্যরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিনকে সাতজন চীনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে বলার পর বিষয়টিতে নতুন করে প্রাণসঞ্চার হয়।
এর আগ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনকে তার মানবাধিকার রেকর্ডের কারণে শাস্তি দেওয়া অথবা ব্যাপক লঙ্ঘনের অভিযোগ আনতেও বাধা দিয়ে এসেছেন। নিষেধাজ্ঞাটি অনুমোদিত হলে বেইজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে বিরোধ এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে চাপ দেওয়ার কারণে ইতিমধ্যে তৈরি হওয়া তিক্ততা আরও বাড়িয়ে দেবে। গত মাসে জাতিসংঘের একটি প্যানেল উইঘুরদের আটক নিয়ে জেনেভায় চীনের কূটনৈতিকদের সওয়াল করেন। চীনা মুসলমানদের বন্দিশিবিরগুলো ক্রমে আন্তর্জাতিক সমালোচনা ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের লক্ষ্য হয়ে উঠছে। কংগ্রেসসহ সরকারের সর্বস্তরে আলোচনার পর অর্থ মন্ত্রণালয় যেকোনো নতুন আমেরিকান নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করবে।
চীনা মুসলমানদের শিবিরগুলোয় রোজ ক্লাসে উপস্থিত হতে, ইসলাম ধর্মের বিষয়গুলোকে নিন্দা করতে, মূলধারার চীনা সংস্কৃতি অধ্যয়ন করতে এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে বাধ্য করা হয়।