ক্রাইমবার্তা রির্পোটঃ সাবেক রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন সম্ভব নয়। জাতীয় পার্টি এখন শক্তি অর্জন করেছে, আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গিয়ে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কচুক্ষেত এলাকায় রজনীগন্ধা সুপার মার্কেট চত্বর ও মানিকদী মাঠ কর্নারে নির্বাচনী গণসংযোগ ও পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী, শফিকুল ইসলাম সেন্টু বক্তব্য দেন।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, খালেদা জিয়া আমাকে বিনা বিচারে টানা ৬ বছর জেলে রেখেছে, অমানুষিক নির্যাতন করেছে উল্লেখ করে সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশে সব থেকে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে আমি। জেলখানায় চিকিৎসা দেয়া হয়নি, ঈদের নামাজ পড়তে দেয়া হয়নি। অথচ জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পরে খালেদা জিয়াকে আমি বাড়ি দিয়েছিলাম, সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ দিয়েছিলাম। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস খালেদা জিয়াই এখন কারাগারে আছেন।
তিনি বলেন, আমরা মানুষ খুন করিনি, আমাদের হাতে রক্তের দাগ নেই। তাই আল্লাহর রহমত আর সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় এখনো বেঁচে আছি। জাতীয় পার্টি এখন শক্তিশালী দল, আগামী নির্বাচনে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ঢাকা-১৭ আসন রাজধানীর অভিজাত এলাকা, এখানকার সর্বস্তরের মানুষের কাছে জাতীয় পার্টির গ্রহণযোগ্যতা আছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে সাধারণ মানুষ আমাকে প্রায় দেড় লাখ ভোট বেশি দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন। আবারো নির্বাচন করব, দেশের মানুষকে গুম, খুন থেকে মুক্তি দেব।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, খবরের পাতা খুললেই শুধু হত্যা আর রক্তের খবর। সড়কে প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে, কারো কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। কারো যেন কিছু যায়-আসে না। এভাবে চলতে পারে না, মানুষ পরিবর্তন চায়। আমরাই দেশের ভাগ্য বদলে দিতে পারব। কোথাও সুশাসন নেই, আমরা নির্বাচনে জিতে দেশে সুশাসন দেব।
তিনি বলেন, ১০ হাজার মাইল পাকা রাস্তা করেছি, উন্নয়নের জন্য এলজিআরডি গঠন করেছি, ৪৬০টি উপজেলা করেছি, ২১ জেলা থেকে ৬৪টি জেলা করেছি। আমরা যে উন্নয়ন করেছি, আর কোনো সরকার করতে পারেনি। আমরা ছাড়া কেউ সুশাসন দিতে পারেনি। আবারো মানুষের সামনে এসেছি, আমরা বিজয়ী হয়ে দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে চাই।
তিনি তার শাসনামলের উন্নয়নের বর্ণনা দিয়ে বলেন, আমাদের হাতে শুরু হওয়া ফ্লাইওভার, উপজেলা পদ্ধতিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন-কর্মকাণ্ড বেগম জিয়া বন্ধ করে দেশের অনেক ক্ষতি করেছিলেন। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে, জাতীয় পার্টিও সংগঠিত হয়েছে। দেশের মানুষ মুক্তি চায়, আমরা নির্বাচনে জিতে দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করব।
এরশাদ বলেন, তিনটি আসনে নির্বাচন করব এর মধ্যে ঢাকা-১৭ এবং রংপুর সদর নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত জনতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ঢাকা-১৭ আসন থেকে নির্বাচন করতে সমর্থন জানায়।
এ সময় অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, আমানত হোসেন আমানত, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল হক, সুলতান আহমেদ সেলিম, মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. হেলাল উদ্দিন, নাসির উদ্দিন, সম্পাদকমণ্ডলীদের মধ্যে আনিস উর রহমান খোকন, মাখন সরকার, এমএ রাজ্জাক খান, ডা. সেলিমা খান, কাজী আবুল খায়ের, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান দুলাল, আবদুস সাত্তার গালিব, ফজলে এলাহী সোহাগ, ফারুক শেঠ, আবদুস সাত্তার, মামুনুর রহমান, মোহাম্মদ আলী খান, মো. ইব্রাহিম, জামাল মাতুব্বর, সিরাজ তসলিম, শরিফুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম জহির, প্রিন্সিপাল মোস্তফা চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, মো. কামাল, আলমগীর, বাবু, রিয়াজ, মোস্তফা আল ফয়সাল, এএনএম রফিকুল ইসলাম সেলিম, এমএ হাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।