বাগেরহাটের মধুমতি ভাঙছে এখনও, ঘরবাড়ি বিলীন# তলিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম

ক্রাইসবার্তা ডেস্করির্পোটঃচিতলমারী-কচুয়া (বাগেরহাট) প্রতিনিধি  :  চিতলমারী-টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সীমান্তের মধুমতি নদীতে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শৈলদাহ বাজারের পাঁচটি দোকান, একটি বসতঘরসহ বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ  বলেন, ‘কলাতলা ইউপি চেয়ারম্যান ভাঙনের খবর জানিয়েছেন। অচিরেই ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চিতলমারী উপজেলা ছাত্রলীগ সদস্য মো. আল আমীন শেখ আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের জানান, মধুমতি নদীতে গত মঙ্গলবার ভাঙন শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত পর্যন্ত বিলীন হয়েছে কলাতলা ইউনিয়নের শৈলদাহ বাজারের রিয়াদ শেখের মুদি দোকান, বাবুল শেখের মুদি দোকান, মিন্টু শেখের স্যানিটারি ও হার্ডওয়্যার দোকান, শাহাদাত হোসেনের স্যানিটারি দোকান, ইব্রাহীম শেখের বেকারি, আল-আমিনের বসতভিটা এবং মো. আ. সোবহানের বসতবাড়ি।

সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের।

-০——-

চট্টগ্রাম

মঙ্গলবার বিকেল ৩টা। কড়া রোদ, আলো ঝলমলে আকাশ। নগরীর আগ্রাবাদ ব্যাংক কলোনি মোড়। কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি না হলেও চারদিকে পানি থই থই করছে। কোথাও হাঁটু, কোথাও কোমর পানি। এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে রিকশাই একমাত্র ভরসা। তাই সুযোগ বুঝে ২০ টাকার ভাড়া ১শ’ টাকা নিচ্ছেন চালকরা। একই অবস্থা দেখা যায় নগরীর প্রাণকেন্দ্র আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড ও আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায়। সময়টা ব্যস্ততম হলেও এসব এলাকায় লোকজনের আনাগোনা কম। বিশেষ প্রয়োজনে যারা চলাচল করছেন, তাদের কেউ চাকা ডুবো রিকশায় গন্তব্যে যাচ্ছেন। কেউবা চলাচল করছেন ভ্যানে। বুকসমান পানি মাড়িয়ে বাসায় ফিরছে অনেক শিক্ষার্থী। সোমবার বিকেলে গিয়েও প্রায় অভিন্ন চিত্রই চোখে পড়ে। ১৮ আগস্ট জলাবদ্ধ রাস্তায় চোখে পড়ে নৌকাও। চলাচলের জন্য বাধ্য হয়ে নৌকা কিনেছে কর অঞ্চল-১, ৩, ও ৪ কার্যালয়সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

২৮ আগস্ট নগরীর আরেক প্রান্ত চান্দগাঁও থানার মৌলভী পুকুরপাড় সংলগ্ন রিয়াজউদ্দিন উকিল সড়কে দেখা যায়, পুরো সড়ক পানিতে তলিয়ে রয়েছে। পানি উঠেছে বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও দোকানে। এতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। বহদ্দারহাট-কালুরঘাট সড়কের কাপ্তাই রাস্তার মাথায় দেখা যায় পানিতে ভাসছে সড়ক। লেগে আছে যানজট। বিশেষ করে সিএনজি অটোরিকশাগুলোর চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। ইঞ্জিনে পানি ঢুকে রাস্তায়ই পড়ে ছিল কয়েকটি অটোরিকশা।

এভাবেই ধীরে ধীরে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের একের পর এক এলাকা। বৃষ্টিপাত ছাড়াই কয়েক বছর ধরে জোয়ারের সময় জলাবদ্ধ থাকছে নিচু এলাকা। এতে পানিবন্দি থাকতে হয় লাখ লাখ মানুষকে।

জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে এলাকাবাসীকে চলাচল করতে হচ্ছে। পাল্টে যাচ্ছে জলাবদ্ধ এলাকার জীবনযাত্রার নিত্যচিত্র। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। নানাভাবে এর নেতিবাচক দিকগুলো দৃশ্যমান হচ্ছে। অনেক এলাকায় ঢুকে পড়ছে সাগরের নোনা পানিও। এতে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে।

জার্মানিভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা জার্মান ওয়াচের ‘বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচক ২০১৮’ অনুযায়ী বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকির তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। আর দেশে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে চট্টগ্রাম অঞ্চল। ১৯৯৭ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে বিশ্বের ২০০ দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে ওই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। জার্মান ওয়াচ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা), জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতিসংঘের ইন্টার-গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জসহ (আইপিসিসি) দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের গবেষণায়ও উঠে এসেছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহ চিত্র। এমন অবস্থা মোকাবেলায় ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। নেদারল্যান্ডসের আদলে দেশটির সহযোগিতায় তিন ধাপে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম ধাপে ব্যয় করা হবে তিন লাখ কোটি টাকা। ২১০০ সাল নাগাদ দেশকে পানি ব্যবস্থাপনায় কীভাবে দেখতে চাই- এটি তারই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

গত বছর নাসা এক গবেষণায় জানায়, হিমবাহ আর দুই মেরুর বরফ দ্রুত গলে যাওয়ার ফলে ১০০ বছরের মধ্যে বিশ্বের যেসব শহর সমুদ্রে তলিয়ে যাবে, তার মধ্যে চট্টগ্রামের নামও রয়েছে। নাসার বিজ্ঞানী সুরেন্দ্র অধিকারীর মতে, বিশ্বের ১৯২টি শহরের সঙ্গে চট্টগ্রামও পানির অতলে হারিয়ে যাবে।

পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেন, এতদিন ধরে যে কথাগুলো বলে আসছি, এখন সেগুলোই ঘটছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গত ৫০ বছরে সাগরে পানির উচ্চতা এক ফুটের মতো বেড়েছে। ফলে চট্টগ্রামসহ দেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোয় পানি উঠতে শুরু করেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এক সময় যশোর থেকে গোপালগঞ্জ, গোপালগঞ্জ থেকে চাঁদপুর, চাঁদপুর থেকে ফেনী পর্যন্ত সাগর গ্রাস করে নেবে। চট্টগ্রাম পাহাড়ি এলাকা হলেও এর সমতল ভূমি সাগরপৃষ্ঠ থেকে খুব বেশি উঁচুতে নয়। ফলে এখানকার সমতল ভূমি সাগরে তলিয়ে যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস হলেই বেশি আঘাত হানবে চট্টগ্রামে। এ ছাড়া লবণাক্ত পানির বিস্তৃতি ঘটবে, চাষাবাদ ব্যাহত হবে, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে, এমনকি ভূগর্ভস্থ পানিও লবণাক্ত হয়ে যাবে।

চলতি বছরের মাঝামাঝি প্রকাশিত ‘সাউথ এশিয়াস হটস্পটস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে আর্থিক ক্ষতির কারণে চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের ভোগ ব্যয় ১৪ শতাংশেরও বেশি কমবে। প্রতিবেদনটিতে ঝুঁকির শীর্ষে থাকা ১০ জেলার নামের তালিকায় রয়েছে- বৃহত্তর চট্টগ্রামের কক্সবাজার, বান্দরবান, চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি জেলা। এ ছাড়াও রয়েছে নোয়াখালী, ফেনী, খাগড়াছড়ি, বরগুনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা।

আইপিসিসির আশঙ্কা, ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মোট ভূমির শতকরা ১৭ ভাগ সমুদ্র গ্রাস করবে। এর ফলে কমপক্ষে ২০ মিলিয়ন মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়বে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে চট্টগ্রাম।

দেশে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। এ সংস্থার এনভায়রনমেন্ট সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড এনার্জি প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট আরিফ এম ফয়সাল সমকালকে বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতির কথা বলছি। কিন্তু এখনও ক্ষতির পরিমাণ অঙ্কে আনা যায়নি। এ জন্য দ্রুত অ্যাকশন প্ল্যান করতে হবে। ইউএনডিপির পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত দুটি এলাকা চিহ্নিত করে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

‘জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ উপকূলে ভূমির ক্ষতি বা লাভ’ শিরোনামে গবেষণা করেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রিয়াজ আকতার মল্লিক। এতে দেখা যায়, ২১০০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের এক হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা পানির নিচে চলে যাবে। ইতিমধ্যে উপকূল থেকে ১৩ দশমিক ২১ কিলোমিটার ভূমি সাগরে চলে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে চট্টগ্রামে।

ড. রিয়াজ আকতার মল্লিক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। এ কারণে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকা সাগরে হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু চট্টগ্রামে যে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে তার জন্য অপরিকল্পিত নগরায়নও কম দায়ী নয়। খাল দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি দ্রুত নামতে পারছে না। ফলে জলাবদ্ধতা স্থায়ী হচ্ছে।

২০১৭ সালে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আইপিসিসির চতুর্থ মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি শতকের মধ্যে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা ডুবে যেতে পারে। দেশের ১৯টি জেলার প্রায় ৬০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এতে প্রায় দুই কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে। চলতি শতকের মধ্যে বঙ্গোপসাগরের পানির উচ্চতা এক মিটার বাড়লে দেশের ৩ হাজার ৯৩০ বর্গকিলোমিটার এলাকা ডুবে যেতে পারে। এসব এলাকার প্রায় ৬০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে। ওই প্রতিবেদনের সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছে চট্টগ্রামের নাম।

আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় ৬৯১ নম্বর প্লটে মনের মতো বাড়ি করেও অন্যত্র ভাড়া থাকছেন চট্টগ্রামের বিশিষ্ট নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি জেরিনা হোসেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ওই এলাকায় এখন থাকার মতো অবস্থা নেই। নিয়মিতভাবে পানি ওঠায় সেখানকার প্রায় প্রতিটি ভবনেরই নিচতলা পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। আমার বাড়িটিরও নিচতলা পরিত্যক্ত। তিনি আরও বলেন, পানি সমস্যার সমাধানে অনেকেই যে যার মতো করে মাটি ভরাটের মাধ্যমে সমাধান খুঁজছেন। রাস্তাসহ ভূমি উঁচু করা হচ্ছে। কিন্তু এটা তো স্থায়ী সমাধান নয়। সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা না গেলে সবার জন্য অনেক বিপদ অপেক্ষা করছে।

নিয়মিতভাবেই দিনের একটি সময় পানিতে ডুবে থাকা আগ্রাবাদ মসজিদ কলোনি এলাকায় দেড় যুগ ধরে বসবাস করছেন মোহাম্মদ আহাদ হোসেন নামে এক সরকারি কর্মকর্তা। তিনি জানান, এক সময় শুধু বর্ষাকালে বৃষ্টি হলে পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে যেত। এমনকি বাসাবাড়িতেও পানি উঠত। কিন্তু কয়েক বছর ধরে বৃষ্টি ছাড়াই পানি উঠছে। প্রতিদিন জোয়ারের পানিতে ভেসে যাচ্ছে পুরো এলাকা। ফলে এখন আর ভবনের নিচের তলায় মানুষ বসবাস করতে পারছে না। অনেকে চলে যাচ্ছে।

নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ১১ নম্বর সড়কে বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফআইডিসি) রাবার বিভাগের কার্যালয়। ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিএফআইডিসির দোতলা ভবনের নিচতলা পানিতে সয়লাব। এভাবে প্রতিদিন একবার করে পানি ওঠায় প্রথম তলাটি ইতিমধ্যে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কার্যালয়টির অপর পাশে রয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চারতলা আবাসিক ভবন। এ ভবনের নিচতলায়ও একই সমস্যার কারণে কেউ বসবাস করতে পারছে না। বর্ষাকালে কোমরসমান পানি হলেও শুস্ক মৌসুমে জোয়ারের সময় হাঁটু পরিমাণ পানি ঢুকে পড়ে।

এ প্রসঙ্গে বিএফআইডিসির রাবার বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার মো. মোখছেদুর রহমান বলেন, প্রায় প্রতিদিনই জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে কার্যালয়ের নিচতলা ইতিমধ্যে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

বিশ্বব্যাংকের গবেষণা অনুযায়ী, ‘ক্লাইমেট সেনসেটিভ ডেভেলপমেন্ট সিনারিও’ বাস্তবায়ন হলে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের হটস্পটগুলোতে মাথাপিছু জিডিপি কমে যাবে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ, যার আর্থিক পরিমাণ ৫ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। ওই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বিভাগের বেশিরভাগ এলাকা মাঝারি ঝুঁকিতে এবং সিলেট ও রংপুর বিভাগ ছাড়া দেশের বাকি এলাকা মৃদু ঝুঁকিতে থাকবে। আর ‘কার্বন ইনটেনসিভ ডেভেলপমেন্ট সিনারিও’তে মাথাপিছু জিডিপি এখনকার তুলনায় ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ কমে যাবে, যার আর্থিক পরিমাণ দাঁড়াবে ১৭ হাজার ১শ’ কোটি ডলার। সে ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বিভাগের বেশিরভাগ এলাকা মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়া বরিশাল, খুলনা, ঢাকা, রাজশাহী এবং ময়মনসিংহ মাঝারি ঝুঁকিতে এবং সিলেট ও রংপুর বিভাগ মৃদু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

Check Also

সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন এর আয়োজনে বিজয় দিবস পালন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা,পুরুষ্কার বিতারণ ও আলোচনা সভা  অনুষ্ঠিত হয়েছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।