সুন্দর ছেলে দেখলেই ফাঁদ পাতেন শিলা

ক্রাইমবার্তা ডেস্করির্পোটঃ

প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে নিলা। সে সুন্দর যুবক দেখলে প্রেমের ফাদে ফেলে বিয়ে করে কাবিন নামায় উল্লেখিত টাকা দাবি করে। টাকা না দিয়ে উল্টো যৌতুক ও দেনমোহর টাকা আদায়ের মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় ঢাকার আদালতপাড়ায় ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। শারমীন ইসলাম শিলার বয়স ২৩ বছর। তিনি এক চক্রের মাধ্যমে এ পর্যন্ত সাতটি বিয়ে করেছেন বলে ভুক্তভোগী ইমরান শেখ জানান। তিনি বলেন, আমাকে বিয়ে করার আগে সুমন নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করে তার কাবিননামায় সে নিজেকে কুমারী উল্লেখ করে। ওয়াদুত নামে আরেক ব্যক্তিকে বিয়ে করে সে নিজেকে কুমারী দাবি করে। আমার নিকট বিয়ের রাতে কাবিনের টাকা দাবি করে এবং পরক্ষণে আরো পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে সে। টাকা না দেয়ায় আমার বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে যৌতুকের মামলা করে। শুধু যৌতুক নয় ঢাকার সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতে দেনমোহর ও খোরপোষ আদায়ের মামলা করে। আমাকে নাজেহাল করে ভয়ভীতি দেখায়। সে জন্য আমি শারমিন ইসলাম নিলা ও তার মাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করি। পরে আমার মা সাবিনা ইয়াসমিনের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় আমার মাকে হত্যার হুমকি দেয়।

এ ব্যাপারে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন- আমি শারমিন ইসলাম নিলা ও তার বাবার বিরুদ্ধে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করি। কাগজপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় শারমিন ইসলাম নিলা কখনো নিজের বাবা হিসেবে শাহআলম দাবি করে আবার নিজেকে শারমিনের পরিবর্তে শাহরিন ইসলাম নিলা বাবা ফিরোজ মিয়া উল্লেখ করেন। প্রত্যেক কাবিননামায় এই প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। সে কখনো নিজেকে পিরোজপুর জেলার মেয়ে কখনো নারায়ণগঞ্জ জেলার মেয়ে উল্লেখ করে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, আবুল হোসেনের ছেলে সুমনকে শারমিন ইসলাম নিলা প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে। বিয়ে রাতে স্বামীর কাছে কাবিনের টাকা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় ভয়ভীতি দেখায়। পরে তার ভয়ে সুমন মিরপুর এলাকা ছেড়ে বিদেশে চলে যায়। অতঃপর নিলা তার শাশুড়ি রহিমার কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক ও কাবিনের ৩ লাখ টাকা দাবি করায় তার বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা হয়।

আরো পড়ুন :

ওসমানী নগরে মাদরাসাছাত্রকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ
সিলেট ব্যুরো

সিলেটের ওসমানী নগরে পুলিশের বিরুদ্ধে এক মাদরাসাছাত্রকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার সিলেট প্রেস কাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ওই ছাত্রের পিতা ইছামতি গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ উমর আলী। তিনি দাবি করেন, তার ছেলে সুলতান আহমদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না, শুধু বিরোধী মতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততার কারণে পুলিশ তাকে হয়রানি করছে।

লিখিত বক্তব্যে উমর আলী বলেন, গত ৮ সেপ্টেম্বর দয়ামীর বাজারের নৌশিন টেইলার্স অ্যান্ড ফেব্রিক্স নামক দোকান থেকে তার ছেলে সুলতান আহমদকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক করে ওসমানী নগর থানা পুলিশ। তিনি বলেন, তার ছেলে একজন কুরআনে হাফেজ ও আলিম দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত। ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সাথে সে সম্পৃক্ত থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না। এরপরও পুলিশ তাকে আটক করে। আটকের ঘটনা জানার পর থানায় পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখতে গেলে পুলিশ সাক্ষাৎ করতে দেয়নি।

উমর আলী বলেন, মধ্যরাতে তার ছেলে সুলতান আহমদকে পুলিশ চোখ বেঁধে বাড়িতে নিয়ে আসে। ঘুম থেকে আমাকে জাগিয়ে থানার ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা আমার ছেলের শয়ন কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় সুলতানের বিছানাপত্র এবং শয়ন কক্ষের আসবাবপত্র তছনছ করেও পুলিশ কোনো কিছু পায়নি। তখন থানার ওসি আমাকে বলেন, চলেন একটু বাইরে যাই। আমি ও ওসি ঘর থেকে বেরিয়ে এলে এর একটু পর এক পুলিশ সদস্য ঘরের ভেতর থেকে বলেন, পাওয়া গেছে। তখন ওসি আমাকে নিয়ে আবার সুলতানের শয়ন কক্ষে প্রবেশ করলে পুলিশ সদস্য বিছানার তোষক উল্টিয়ে দেখান একটি রিভলবার ও দু’টি রামদা রয়েছে। অথচ এর আগে তল্লাশিকালে তারা অস্ত্র অথবা অন্য কোনো কিছুই পায়নি।

উমর আলী অভিযোগ করেন, পুলিশ তার ছেলের বিছানার নিচে অস্ত্র রেখে নিরপরাধ ছেলেকে ফাঁসিয়েছে। সাজানো এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে তার ছেলে সুলতানের বিরুদ্ধে ৯ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে। পরে তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়। উমর আলী আরো বলেন, দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকায় ব্যবসাবাণিজ্য করে আসছেন। তার ছেলে সুলতান আহমদও নৌশিন টেইলার্স অ্যান্ড ফেব্রিক্সের ব্যবসায়িক সহযোগী। এলাকায় তার পরিবারের সুনাম রয়েছে। তার পরিবারের কোনো সদস্য অস্ত্রবাজ নয়। এলাকাবাসী অবগত রয়েছে যে, সুলতান একজন শান্ত ও নম্র স্বভাবের ছেলে। অস্ত্র মামলা দিয়ে পুলিশ তার ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে চাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উমর আলী তার ছেলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের প্রতি অনুরোধ জানান।

গ্রেফতার এবং অস্ত্র উদ্ধার নাটকের নিন্দা ও প্রতিবাদ
সিলেটের ওসমানী নগরের দয়ামীর বাজার থেকে গত ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে শিবির নেতা সুলতান আহমদকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে পুলিশের অস্ত্র উদ্ধার নাটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট জেলা পশ্চিম শাখা।
শাখার সভাপতি মিয়া মো: রাসেল ও সেক্রেটারি আব্দুর রহমান সায়মন এক যৌথ প্রতিবাদলিপিতে বলেন, গত ৮ সেপ্টেম্বর কোনো কারণ ছাড়াই অন্যায়ভাবে দয়ামীর বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে শিবির নেতা সুলতান আহমদকে। ওসমানী নগর থানা পুলিশ গভীর রাতে তার বাড়িতে গিয়ে তার সামনে রামদা ও পিস্তল রেখে ছবি তোলে। তাকে অস্ত্র মামলায় জড়িয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা বলেন, ছাত্রশিবিরের ভাবমূর্তি ুণœ করার জন্য এবং মেধাবী ছাত্র সুলতানের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দেয়ার জন্য পুলিশ এ অস্ত্র উদ্ধার নাটকের অবতারণা করেছে। এসব অস্ত্র উদ্ধার নাটকের সাথে পুলিশের সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকলেও ছাত্রশিবিরের দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই।

Check Also

১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ২৬ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে; ডা. শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ২৬ লাখ কোটি টাকা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।