ক্রাইমবার্তা ডেস্করির্পোটঃ
সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) শনিবার শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ। ছয় দেশকে দুটি গ্রুপে ভাগ করে হবে এবারের আয়োজন। ২০১৬ সালে এশিয়া সেরার আসর হয়েছিল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। সেবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এশিয়ার দেশগুলো ছোট ফরম্যাটে টুর্নামেন্টটি খেলেছিল। এশিয়ান ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই আসর এবার ফিরছে ওয়ানডে ফরম্যাটে।
দুই বছর পর হতে চলা এবারের আসরের ছয় দলকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। ভারত এবং পাকিস্তান আছে একই গ্রুপে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের সঙ্গে ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে হংকং। অন্যদিকে গ্রুপ ‘বি’তে আছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা আর আফগানিস্তান।
ইউএইর’ দুটি কেন্দ্র আবুধাবি ও দুবাইয়ে হবে ম্যাচগুলো। দুটি গ্রুপ থেকে দুটি করে চারটি দল সুপার ফোরে উঠবে, দুটি দল বিদায় নেবে। সুপার ফোরে চারটি দল একে অপরের সঙ্গে খেলবে।
শনিবার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। সুপার ফোরের খেলা শুরু হবে ২১ সেপ্টেম্বর। ২৮ সেপ্টেম্বর হবে মেগা ফাইনাল।
গ্রুপ বিন্যাস
গ্রুপ ‘এ’
ভারত, পাকিস্তান, হংকং
গ্রুপ ‘বি’
বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান
একনজরে এশিয়া কাপের সময় সূচি
গ্রুপ পর্ব
১৫ সেপ্টেম্বর – বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা (দুবাই)
১৬ সেপ্টেম্বর – পাকিস্তান বনাম হংকং (দুবাই)
১৭ সেপ্টেম্বর – শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান (আবুধাবি)
১৮ সেপ্টেম্বর – ভারত বনাম হংকং (দুবাই)
১৯ সেপ্টেম্বর – ভারত বনাম পাকিস্তান (দুবাই)
২০ সেপ্টেম্বর – বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান (আবুধাবি)
সুপার ফোর
২১ সেপ্টেম্বর – গ্রুপ এ বিজয়ী বনাম গ্রুপ বি রানার আপ (দুবাই)
২১ সেপ্টেম্বর – গ্রুপ বি বিজয়ী বনাম গ্রুপ এ রানার আপ (আবুধাবি)
২৩ সেপ্টেম্বর – গ্রুপ এ বিজয়ী বনাম গ্রুপ এ রানার আপ (দুবাই)
২৩ সেপ্টেম্বর – গ্রুপ বি বিজয়ী বনাম গ্রুপ বি রানার আপ (আবুধাবি)
২৫ সেপ্টেম্বর – গ্রুপ এ বিজয়ী বনাম গ্রুপ বি বিজয়ী (দুবাই)
২৬ সেপ্টেম্বর – গ্রুপ এ রানার আপ বনাম গ্রুপ বি রানার আপ (আবুধাবি)
ফাইনাল
২৮ সেপ্টেম্বর – ফাইনাল (দুবাই)
(সব কটি ম্যাচ বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে শুরু) ।
আরো পড়ুন :
যে কারণে এশিয়া কাপে সেরা ব্যাটসম্যান হতে পারেন তামিম
এশিয়া কাপের ১৪তম আসরের পর্দা উঠছে আগামী শনিবার। উদ্বোধনী দিনেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য এই টুর্নামেন্টে ব্যাট-বলের দুর্দান্ত লড়াই দেখা যাবে। অনেকের মতে, এবারে আসরের সেরা ব্যাটসম্যান হওয়ায় যথেষ্ট সুযোগ আছে বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের।
কারণগুলো এক নজরে দেখে নেয়া যাক-
১. বাংলাদেশের সব ধরনের ক্রিকেটে প্রশ্নাতিতভাবে সেরা ব্যাটসম্যান তামিম। সব ধরনের ক্রিকেটে সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী তামিম মাঝে কিছু দিন ইনজুরির জন্য মাঠের বাইরে ছিলেন। তবে খুশির খবর হলো, তিনি এখন সম্পূর্ণ ফিট। এশিয়া কাপে মাঠে নামবেন। নিঃসন্দেহে তার কাছ থেকে চমকের অপেক্ষায় থাকবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
২. সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলার তেমন অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশের বর্তমান দলটির। দুবাই-আবু ধাবির পিচ কী রকম আচরণ করবে তা জানা না থাকাটা দলের পক্ষে বড় সমস্যার। আর ঠিক এখানেই অন্যদের পিছনে ফেলে দিয়েছেন তামিম। যে কয়েকজন বাংলাদেশী ক্রিকেটারের এখানে খেলার অভিজ্ঞতা আছে, তাদের মধ্যে তামিম অন্যতম। পিএসএল-এ খেলার সুবাদে সেখানকার পিচ তামিমের খুবই পরিচিত।
৩. বর্তমানে অসাধারণ ফর্মে রয়েছেন তামিম। শেষ এক বছরে এশিয়ার অন্যতম সেরা এক দিনের ব্যাটসম্যান তিনি। এই সময় নয়টি ম্যাচ খেলেছেন। করেছেন ৮০.২৮ গড়ে ৫৬২ রান।
৪. ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শেষ সিরিজেও দারুণ পারফরমেন্স ছিল তামিমের। এই ফর্ম এশিয়া কাপে ধরে রাখতে পারলে বিপক্ষের কাছে বড়সড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠবেন এই হার্ডহিটার।