শিমুল হোসেন: যশোর: যশোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় প্রিয়ঙ্কা দেবনাথ পিংকি (৩০) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে শহরের কুইন্স হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শরীরে ভুল ইনজেকশন পুশ করার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
পিংকি আওয়ামী লীগের সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি মোহিত কুমার নাথের পুত্রবধূ ও যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রজন্মের ভাবনার নির্বাহী সম্পাদক পার্থ প্রতীম দেবনাথ রতির স্ত্রী।
এদিকে পিংকির মৃত্যুর পর উত্তেজিত স্বজনরা হাসপাতালটিতে ভাংচুর চালান। এ সময় হাসপাতালে দায়িত্বরত ডাক্তার-নার্সসহ কর্মচারীরা পালিয়ে যান। তবে কুইন্স হসপিটালের ব্যবস্থাপক মিঠু সাহা জানান, সামান্য ভাংচুরের ঘটনা ঘটলেও তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
রতির ভাই রানা দেবনাথ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. জাকির হোসেনের তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পিংকি একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। সন্ধ্যায় ওই চিকিৎসক প্রসূতির জন্য ‘ওমেপ’ নামে একটি ইনজেকশন লেখেন। রাত ১০টার দিকে হাসপাতালের নার্স জেসমিন ওই ইনজেকশনটি প্রসূতির শরীরে পুশ করেন। এর কিছু সময়ের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন পিংকি। ডা. জাকির দাবি করছেন, পাশের একটি ফার্মেসি থেকে রোগীর স্বজনকে ‘ওমেপ’ ইনজেকশন না দিয়ে ‘ওমিজিড’ নামে ইনজেকশন সরবরাহ করা হয়। সেটি পুশ করার কারণে পিংকির মৃত্যু হতে পারে।
তবে এ দাবি মানতে নারাজ পিংকির পরিবার। তারা জানান, হাসপাতাল থেকেই ওষুধটি সরবরাহ করা হয়েছিল।
কুইন্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবীর কবু জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনা তদন্তে তারা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
এদিকে পিংকির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বজনরা হাসপাতালটির সপ্তম তলায় উঠে আসবাবপত্র তছনছ করেন। ভেঙে ফেলেন জানালার গ্লাসগুলো। এ সময় হাসপাতালে অবস্থানরত ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীরা পালিয়ে যান।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল বাশার জানান, সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।