ক্রাইমবার্তা ডেস্করির্পোটঃ
বাগেরহাটের শরণখোলায় হতদরিদ্রদের জন্য সরকারের খাদ্যবান্দব কর্মসূচিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ১০ টাকা কেজি দরে ৩০০ টাকা নিয়ে কতিপয় ডিলার ক্রেতাদের ৩০ কেজি চালের বস্তা ধরিয়ে দিলেও এসব বস্তায় ৫/৬ কেজি চাল কম দেয়া হচ্ছে।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস অভিযান চালিয়ে কয়েকটি বস্তা জব্দ করেছে। শুক্রবার সকালে উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের মেসার্স শহিদুল ষ্টোরের মালিক (ডিলার) মো. শহিদুল ইসলাম তালুকদার ওই চাল বিতরণ শুরু করেন।
এসময় ভুক্তভোগী রায়েন্দা বাজারের মিনারা বেগম, মরিয়ম বেগম, পূর্ব খাদার হালিমা, ফজলু, দেলোয়ার, আ. জব্বার, সুজন ও উত্তর কদমতলা গ্রামের মিজান গাজীসহ অনেকে বস্তা প্রতি ৫-৬ কেজি চাল কম পাওয়ার অভিযোগ তোলেন। এ সময় ইউপি সদস্য তাসেন তালুকদার ও রায়েন্দা বাজার কমিটির সদস্য মো. ফারুক হোসেন তালুকদারসহ স্থানীয়রা প্যাকেট জাত একাধিক বস্তা পরিমাপ করলে প্রতিটি ৩০ কেজির বস্তায় ৫/৬ কেজি চাল কম পান। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাসকে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের মাধ্যমে ওজনে কম থাকা ৪ বস্তা চাল জব্দ করেন।
অপরদিকে উপজেলার আমড়াগাছিয়া, খোন্তাকাটাসহ অন্যান্য এলাকার ডিলারদের চাল বিতরণের চিত্র একই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির অংশ হিসাবে হত দরিদ্রদের মাঝে স্বল্পমূল্যে চাল বিক্রির কার্যক্রম প্রতি বছরের মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এ ৫ মাস চালু থাকে। খাদ্য অধিদপ্তরের ওই কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ২০ জন ডিলারের মাধ্যমে ৮ হাজার দরিদ্র পরিবারকে এ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার উত্তর খোন্তাকাটা গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব হাওলাদার, শাহজাহান, নাছির হাওলাদার বলেন, সরদার ট্রেডার্সের ডিলার তাইজুল ইসলাম সরদারের সরবরাহকৃত প্রতি বস্তা চালে তারা ৪-৫ কেজি করে ওজনে কম পেয়েছেন। অন্যদিকে, প্যাকেট জাত বস্তায় চাল কম থাকার খবরে কিছু কিছু ডিলার চাল উত্তোলন নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছে।
এ বিষয়ে ডিলার মো. শহিদুল তালুকদার ও তাইজুল ইসলাম সরদার বলেন, খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ৩০ কেজি চালের সেলাই করা বস্তা যেভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আমরা (ডিলাররা) সেইভাবে বিতরণ করছি। সে ক্ষেত্রে সুবিধাভোগীদের কেউ চাল কম পেয়ে থাকলে দায় আমাদের নয়।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা দেবদুত রায় বলেন, পরিমাপ করে ডিলারদের চাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিতরণের সময় চাল কম হয়ে থাকলে সে দায়-দায়িত্ব ডিলারদের।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস জানান, অভিযোগ পেয়ে একজন ডিলারের কিছু চাল জব্দ করা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।