মাত্র ৩০ সেকেন্ডে ১৩ হাজার তরল ও কঠিন কেমিক্যাল’র নিখুত পরীক্ষা সম্পন্ন হবে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে

মসিয়াররহমান কাজল, বেনাপোল:মাত্র ৩০ সেকেন্ডে ১৩ হাজার তরল ও কঠিন কেমিক্যাল’র নিখুত পরীক্ষা সম্পন্ন হবে দেশের সর্ব বৃহৎ স্থল বন্দর বেনাপোল কাস্টমস হাউজে।
বেনাপোল কাস্টমস অডিটরিয়ামে রোববার বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি রমন স্পেকট্রোমিটারের শুভ উদ্বোধন করেন বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল  হোসেন চৌধুরী।

রমন স্পেকট্রোমিটারের এই মেশিনে ভারত থেকে আমদানি করা বিভিন্ন কেমিক্যাল পরীক্ষা হবে বেনাপোল কাস্টম হাউসে। আগে ভারত থেকে আমদানি করা কেমিক্যার জাতীয় পন্য ঢাকা থেকে পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে ১৫/২০ দিন পযন্ত সময় লাগতো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বন্দরের ডাইরেক্টর আমিনুল ইসলাম, কাস্টমস  এর অতিরিক্ত কমিশনার জাকির হোসেন, যুগ্ন কমিশনার শহিদুল ইসলাম ও যুগ্ন কমিশনার শাকিলা পারভিন, কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোশিয়েশনের সাবেক সভাপতি শামসুর রহমান, সহ সভাপতি খাইরুজ্জামান মধু, আমদানি রফতানি কারক সমিতির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মহসিন মিলন, কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
মেশিনটি ভারতীয় বিজ্ঞানী শ্রীচন্দ্রশেখর রমণের উদ্ভাবন। এ মেশিনের এক্স-রে রেঞ্জের মধ্যে দেওয়া হলে পণ্যের জেনেটিক নাম ও গঠন বলে দেয়। মাদক উদ্ঘাটনে এটি খুবই কার্যকর।
বিশ্ব কাস্টমস সংস্থা বিনামূল্যে তিনটি  রমন স্পেকট্রোমিটার যন্ত্র দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মেশিন তিনটি বেনাপোল, চট্টগ্রাম ও ঢাকা কাস্টম হাউসের জন্য বরাদ্দ করেন।  বাকি শুল্ক ভবন ও স্টেশনে পর্যায়ক্রমে এটি বসানো হবে। কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
দেশের বিভিন্ন বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর কেমিক্যাল আমদানির বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে নতুন এ যন্ত্র সংযোজন করা হলো। এ ধরনের যন্ত্র সংযুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ কাস্টমস আধুনিকতার নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। এতে উপকৃত হবেন সৎ ব্যবসায়ীরা অসৎ ব্যবসায়ীরা ধরা খাবেন শুল্ক ফাকি দিতে।
কাস্টমস সুত্র জানায়, এটি প্রায় ১৩ হাজার কেমিকেলের নমুনা তাৎক্ষণিক (মাত্র ৩০ সেকেন্ড) এবং নিখুঁতভাবে রিপোর্ট প্রদান করতে সক্ষম। ফলে মিথ্যা ঘোষণায় নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর কেমিক্যাল আমদানির প্রবণতা হ্রাস পাবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কেমিকেলের নামে মাদক ও বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
তিনি বলেন, এই যন্ত্র সংযোজনের মাধ্যমে মিথ্যা ঘোষণায় ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য আমদানি বন্ধের মাধ্যমে চোরাকারবারি নিয়ন্ত্রিত হবে। এছাড়া রাজস্ব আয়ও বাড়বে।
বেনাপোল কাস্টম কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী জানান, তিনটি মেশিনের একটি বেনাপোল কাস্টম হাউস পেয়েছে। এর ফলে বেনাপোল কাস্টম হাউসে আরো একটি নতুন অধ্যায় সূচিত হলো। কেমিক্যাল নিয়ে লুকোচুরির দিন মনে হয় শেষ হয়ে এসেছে। সৎ ব্যবসায়ীরা হয়রানি থেকে মুক্তি পাবেন। অসত্য ঘোষণায় কেমিক্যাল আমদানির প্রবণতা প্রতিহত করা সম্ভব হবে

Check Also

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের কর্মশালায় সাংবাদিকদের দাওয়াত নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ 

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় হাওর না থাকলেও হাওরের ১০০ বছর এবং আমাদের করণীয়” বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।