ক্রাইমবার্তা রির্পোটঃ সংসদের কার্যক্রম থেকে আগামী ৯০ কার্যদিবসের জন্য ছুটি নিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
মঙ্গলবার দশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জনপ্রশাসনমন্ত্রীর ছুটির আবেদনপত্র পাঠপূর্বক এমপিদের কণ্ঠভোটের মাধ্যমে টানা ৯০ কার্যদিবসের ছুটি মঞ্জুর করেন।
ছুটি মঞ্জুরের আবেদনপত্র উত্থাপনকালে স্পিকার বলেন, অদ্য ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ. স. ম ফিরোজের মাধ্যমে আমি জনপ্রশাসনমন্ত্রীর একটি ছুটির আবেদনপত্র পেয়েছি। আবেদনপত্রের বিষয় হচ্ছে- দশম জাতীয় সংসদের ১৬২, কিশোরগঞ্জ-১ হতে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ছুটি মঞ্জুর প্রসঙ্গে।
আবেদনপত্র পাঠ করে স্পিকার জানান, দশম জাতীয় সংসদের সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্বাস্থ্যগত কারণে অসুস্থতাজনিত কারণে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ১৭৯(২) বিধি অনুসারে অদ্য ১৮ সেপ্টেম্বর হতে পরবর্তী একাধিক্রমে ৯০ কার্যদিবসের সংসদে অনুপস্থিতির জন্য ছুটি মঞ্জুর।
সংসদে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বর্তমানে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন চিকিৎসকের ইন্টার্ন সামারি রিপোর্ট তুলে ধরা হয়।
এদিকে সৈয়দ আশরাফের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি বর্তমানে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন ইউনিটে ভর্তি আছেন। গত সোমবারও তার একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। তার চিকিৎসায় আরও অনেক দিন সময় লাগবে। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্যগত কারণে তাকে অদ্য ১৮ সেপ্টেম্বর হতে একাধিক্রমে ৯০ দিন পর্যন্ত ছুটি মঞ্জুর প্রার্থনা করছি। এরপর কণ্ঠভোটে দিলে তা পাস হয়।
স্পিকার পূর্বে এ রকম ছুটির নজির উল্লেখ করে বলেন, কার্যপ্রণালী বিধির ১৭৯(২) বিধি অনুসারে কোনো সংসদ সদস্যের অনুপস্থিতির বিষয়ে ওই এমপির আবেদন সংসদে পাঠ করে শোনানোসহ বিতর্ক ছাড়া ভোট দেয়ার বিধান রয়েছে। রেওয়াজ অনুযায়ী স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংসদে অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি ১৯৭৪, ২৬ জুন ১৯৭৫ এবং নবম জাতীয় সংসদের ১৮ মার্চ ২০১২ ও ৫ জুন ২০১৩ তারিখে কয়েকজন সংসদ সদস্যের অনুরোধ সংসদ গ্রহণ করে