ক্রাইমবার্তা ডেস্করির্পোটঃ
মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সংঘটিত অপরাধের প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগভিত্তিক এই আদালতের কৌঁসুলি ফাতো বেনসুদা বলেছেন, তিনি বিদ্যমান পরিস্থিতির পুরোপুরি প্রাথমিক তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বেনসুদা জানান, প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করতে পারে আইসিসি। প্রাথমিক তদন্তে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ‘জোরপূর্বক কর্মকাণ্ড’র মতো অভিযোগগুলো মূল ফোকাসে থাকবে। এছাড়াও মৌলিক অধিকার বঞ্চিত, হত্যা, যৌন সহিংসতা, জোরপূর্বক নিখোঁজ, ধ্বংস এবং লুটপাটের মতো বিষয়গুলো নিয়েও তারা তদন্ত করবেন।
আইসিসির এই কৌঁসুলি আরো বলেন, নিপীড়ন বা অন্যান্য অমানবিক আচরণ রোহিঙ্গা পরিস্থিতির পেছনে ভূমিকা পালন করেছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখবে দ্য হেগভিত্তিক এই আদালত।
চলতি মাসের শুরুর দিকে আইসিসি এক রায়ে জানান, রাখাইন থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের জন্য মিয়ানমারের বিচার করার এখতিয়ার তাদের রয়েছে।
এর আগে আগস্ট মাসে জাতিসঙ্ঘের একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন জানায়, গেল বছর রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী অভিযানে ব্যাপকহারে হত্যা, গণধর্ষণ ‘গণহত্যার উদ্দেশ্য’ নিয়েই চালানো হয়েছে। আর এজন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনী প্রধানসহ আরো ছয় সেনা কর্মকর্তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।
তবে মিয়ানমারের দাবি যেহেতু তারা আইসিসির সদস্য নয়, তাই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য তাদের বিচারের এখতিয়ার নেই এই আদালতের। কিন্তু আইসিসি বলছে, বাংলাদেশ তাদের সদস্য এবং রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছে, তাই তারা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের বিচার করতে পারেন।