ক্রাইমবার্তা রির্পোটঃকওমি শিক্ষাব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের (স্নাতকোত্তর ডিগ্রি) সমমর্যাদা দিয়ে তৈরি করা বহুল প্রতিক্ষিত কওমি সনদের স্বীকৃতির বিল জাতীয় সংসদে পাস করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন হেফাজতের আমির ও কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজত আমির এ অভিনন্দন জানান।
একই সঙ্গে বিবৃতিতে স্পিকার, শিক্ষামন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শফী।
বিবৃতিতে আল্লামা শফী বলেন, কওমি শিক্ষাব্যবস্থার স্বীকৃতি দেশের লাখো আলেম-ছাত্র সমাজের প্রাণের দাবি ছিল। দীর্ঘদিন ধরে আমরা এ জন্য চেষ্টা করে আসছি। জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিতে বিলটি পাস হওয়ায় আমাদের দাবি পূর্ণতা পেল। আগামী প্রজন্মের পথচলা আরও সুগম হলো।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাক চেয়ারম্যান আরও বলেন, সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো- আমাদের সব শর্ত মেনে দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতি অনুসারে দেশের ওলামায়ে কেরাম ও আমরা দায়িত্বশীলরা যেভাবে চেয়েছিলাম ঠিক সেভাবেই স্বীকৃতি পেয়েছি। আমরা মনে করি, এতে কওমি মাদ্রাসার স্বকীয়তা, ঐতিহ্য ও ভাবমূর্তিতে কোনো আঘাত আসবে না।
এছাড়া তিনি ওই বিবৃতিতে কওমি সনদ পাওয়ার জন্য যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম বেফাকের প্রথম মহাসচিব শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক, জাতীয় মসজিদের খতীব উবায়দুল হক, আল্লামা আতাউর রহমান, আল্লামা মুফতি ফজলুল হক আমিনী, মাওলানা আব্দুল জাব্বার জাহানাবাদীসহ বেফাকের সঙ্গে জড়িত সবাইকে বিশেষভাবে স্মরণ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমর্যাদা ঘোষণা করে সরকার। ওই দিন গণভবনে আলেমদের এক অনুষ্ঠানে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের (বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ) চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফীর উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘোষণা দেন। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর আলোকেই এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।