ক্রাইমবার্তা রির্পোটঃ যশোর:
সময়োপোযোগী নানা উন্নয়নের টার্গেট নিয়ে ২০ বছর মেয়াদী জনবান্ধব মাস্টার প্লান কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে চলেছে যশোর পৌরসভা। বিশাল বাজেটের এই মাস্টারপ্লানের আওতায় আনা হয়েছে গোটা যশোর পৌরসভার ১৪.৭২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা। বাংলাদেশের ইউজি থ্রি-এর আওতায় তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ সেক্টর প্রকল্পের এই মাস্টার প্লানের ড্রাফ্ট শেষ করা হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় নিযুক্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কন্সালট্যান্ট ও যশোর পৌরসভার প্রকৌশলীদের যৌথভাবে তৈরী প্লানটি এখন ইউজি ৩ এর হাতে। ড্রাফট মাস্টারপ্লানটি এখন যাচাইকরণ চলছে। ইউজি ৩ থেকে পৌরভায় আসলে হবে গণশুনানী। এরপর যাবে মন্ত্রণালয়ে। সরকারি গেজেট প্রকাশের পরই কাজ শুরু হবে। উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন টার্গেটের মধ্যে যশোর শহরে ৩টি ওভার ব্রিজ, ৩টি পার্কের আধুনিকায়ন, যানজট রোধে রাস্তা প্রশস্ত, পুকুর সংস্কার ও উন্নয়ন কর্মযজ্ঞসহ আরও অনেক কিছুই।
পৌরসভার নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ সেক্টর প্রকল্পের আওতায় মাস্টার প্লান তৈরীর কাজ শুরু করে যশোর পৌরসভা। আর প্রকল্পের আওতায় নিযুক্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কন্সালট্যান্টরা ও পৌরসভার প্রকৌশলী এবং টাউনপ্লানার এক সাথে কাজ শুরু করেন। গোটা যশোর পৌরসভার ১৪.৭২ বর্গ কিলোমিটারই এই মাস্টার প্লানের আওতায় আনা হয়।
সূত্রের দাবি, বৃটিশ আমলের মাস্টার প্লানের পর কার্যত যশোর পৌরসভায় আর কোন মাস্টার প্লান হয়নি বা কোন প্লানের হদিস ছিল না পৌরসভায়। স্বাধীনতার পর থেকে পৌরসভা কর্মচারী ও প্রকৌশলীদের চিন্তাভাবনা থেকে বিভিন্ন সময় যে যে থামকো প্লান এসেছে তা দিয়েই কার্যকর হয়ে আসছে। দেরিতে হলেও এই প্রথম যশোর পৌরসভা দূরদর্শী একটি মাস্টার প্লানের আওতায় আসছে। এই প্লান কার্যকর হলে এর আওতায় আগামী ২০৩৫ সাল পর্যন্ত পৌরসভা চলবে। মূলত ২০ বছর মেয়াদী চলমান এই মাস্টার প্লান। গত এক বছরের বেশি সময় বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর, প্রকৌশলী, টাউন প্লানার ও ডিডিসি নিযুক্ত কন্সালট্যান্টরা কাজ করেছেন। চলেছে ফিজিক্যাল ফিসার সার্ভে। শহরের কোথায় নদী, কোথায় পুকুর, কোথায় ব্রিজ, কোথায় অপরিকল্পিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ড্রেনের সাথে নদী সংযোগসহ নানা দিক উঠে এসেছে। চলমান জীবনে নাগরিকদের চাহিদার উপর প্লানের সব কাজ এগুচ্ছে বলে দাবি পৌর কর্তৃপক্ষের। ড্রাফ্ট মাস্টার প্লান যাচাই করণ চলছে। চলতি বছরে গেজেট প্রকাশিত হলে আগামী বছর ২০১৯ সাল সুফল পাওয়া শুরু করবেন পৌরবাসী। ঈর্ষণীয় ও দেশের মধ্যে মডেলের মত শহর পাল্টে যাবে, পাল্টে যাবে রাস্তা। ভূমি ব্যবহার নীতমালা, ট্রান্সপোর্ট নীতিমালা, ডেনেজ ব্যবস্থা, নদী, পুকুর ব্যবহার নীতিমালা সবই অনুসরণ করা হয়েছে প্লানে। প্লান কার্যক্রম শুরু হলে যত্রতত্র বাণিজ্যক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করা যাবে না। রডের দোকানের পাশে মিস্টির দোকান, আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক, শহরের ব্যস্ততম এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বপ্ন আর দেখা যাবে না। পৌর এলাকায় কোন অসংগতি থাকবে না। আগামী ২০৩৫ সাল পর্যন্ত একেবারে নিশ্চিন্তে পথ চলতে পৌরবাসী কি চায় তার উপর চলেছে ফিজিক্যাল সার্ভে।
এ ব্যাপারে যশোর পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন জানিয়েছেন, যশোর পৌরসভা যে মাস্টার প্লানের কাজ হাতে নিয়েছে তা দ্রুতই শেষ হচ্ছে। আগামী ২০ বছরের জন্য এই প্লান। প্লানটি এখন প্রকল্প নীতি নির্ধারকদের হাতে রয়েছে। যশোর পৌরসভা দেশের মধ্যে একটি মডেল হবে। আর এটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এদিকে পৌরসভার টাউনপ্লানার সুলতানা সাজিয়া গ্রামের কাগজকে জানান, মাস্টার প্লানটি মুলত নাগরিক বান্ধব হিসেবে গোটা যশোর পৌরসভা এলাকা সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে এমন একটি সার্বিক চিত্র। আসলে পৌরসভার ভূখন্ড এবং জনগণের চাহিদার উপর জোর দিয়ে এগুচ্ছে। তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ সেক্টর প্রকল্পের কন্সালট্যান্টদের সাথে তিনিও কাজ করছেন। ড্রাফট মাস্টার প্লান এখন যাচাই করণ চলছে। এখনও অনেক কাজ বাকি। গণশুনানীতে দেয়া হবে প্লান। জনগণের সমর্থনের পর সরকারি গেজেট প্রকাশ হবে।
উন্নয়ন টার্গেটের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে তিনি জানান, যশোরের দড়াটানা, মণিহার ও বকুলতলা এলাকায় ৩টি ওভার ব্রিজ, যশোর পৌর পার্ক, নিয়াজ পার্ক ও ক্যানন পার্কের আধুনিকায়ন, যানজট রোধে রাস্তা প্রশস্তকরণ, পুকুর সংস্কার। আরও অনেক উন্নয়নের সমন্বয়ে উপহার দেয়া হবে যশোর পৌরসভা
প্রকল্পের আওতায় নিযুক্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কন্সালট্যান্ট ও যশোর পৌরসভার প্রকৌশলীদের যৌথভাবে তৈরী প্লানটি এখন ইউজি ৩ এর হাতে। ড্রাফট মাস্টারপ্লানটি এখন যাচাইকরণ চলছে। ইউজি ৩ থেকে পৌরভায় আসলে হবে গণশুনানী। এরপর যাবে মন্ত্রণালয়ে। সরকারি গেজেট প্রকাশের পরই কাজ শুরু হবে। উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন টার্গেটের মধ্যে যশোর শহরে ৩টি ওভার ব্রিজ, ৩টি পার্কের আধুনিকায়ন, যানজট রোধে রাস্তা প্রশস্ত, পুকুর সংস্কার ও উন্নয়ন কর্মযজ্ঞসহ আরও অনেক কিছুই।
পৌরসভার নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ সেক্টর প্রকল্পের আওতায় মাস্টার প্লান তৈরীর কাজ শুরু করে যশোর পৌরসভা। আর প্রকল্পের আওতায় নিযুক্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কন্সালট্যান্টরা ও পৌরসভার প্রকৌশলী এবং টাউনপ্লানার এক সাথে কাজ শুরু করেন। গোটা যশোর পৌরসভার ১৪.৭২ বর্গ কিলোমিটারই এই মাস্টার প্লানের আওতায় আনা হয়।
সূত্রের দাবি, বৃটিশ আমলের মাস্টার প্লানের পর কার্যত যশোর পৌরসভায় আর কোন মাস্টার প্লান হয়নি বা কোন প্লানের হদিস ছিল না পৌরসভায়। স্বাধীনতার পর থেকে পৌরসভা কর্মচারী ও প্রকৌশলীদের চিন্তাভাবনা থেকে বিভিন্ন সময় যে যে থামকো প্লান এসেছে তা দিয়েই কার্যকর হয়ে আসছে। দেরিতে হলেও এই প্রথম যশোর পৌরসভা দূরদর্শী একটি মাস্টার প্লানের আওতায় আসছে। এই প্লান কার্যকর হলে এর আওতায় আগামী ২০৩৫ সাল পর্যন্ত পৌরসভা চলবে। মূলত ২০ বছর মেয়াদী চলমান এই মাস্টার প্লান। গত এক বছরের বেশি সময় বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর, প্রকৌশলী, টাউন প্লানার ও ডিডিসি নিযুক্ত কন্সালট্যান্টরা কাজ করেছেন। চলেছে ফিজিক্যাল ফিসার সার্ভে। শহরের কোথায় নদী, কোথায় পুকুর, কোথায় ব্রিজ, কোথায় অপরিকল্পিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ড্রেনের সাথে নদী সংযোগসহ নানা দিক উঠে এসেছে। চলমান জীবনে নাগরিকদের চাহিদার উপর প্লানের সব কাজ এগুচ্ছে বলে দাবি পৌর কর্তৃপক্ষের। ড্রাফ্ট মাস্টার প্লান যাচাই করণ চলছে। চলতি বছরে গেজেট প্রকাশিত হলে আগামী বছর ২০১৯ সাল সুফল পাওয়া শুরু করবেন পৌরবাসী। ঈর্ষণীয় ও দেশের মধ্যে মডেলের মত শহর পাল্টে যাবে, পাল্টে যাবে রাস্তা। ভূমি ব্যবহার নীতমালা, ট্রান্সপোর্ট নীতিমালা, ডেনেজ ব্যবস্থা, নদী, পুকুর ব্যবহার নীতিমালা সবই অনুসরণ করা হয়েছে প্লানে। প্লান কার্যক্রম শুরু হলে যত্রতত্র বাণিজ্যক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করা যাবে না। রডের দোকানের পাশে মিস্টির দোকান, আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক, শহরের ব্যস্ততম এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বপ্ন আর দেখা যাবে না। পৌর এলাকায় কোন অসংগতি থাকবে না। আগামী ২০৩৫ সাল পর্যন্ত একেবারে নিশ্চিন্তে পথ চলতে পৌরবাসী কি চায় তার উপর চলেছে ফিজিক্যাল সার্ভে।
এ ব্যাপারে যশোর পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন জানিয়েছেন, যশোর পৌরসভা যে মাস্টার প্লানের কাজ হাতে নিয়েছে তা দ্রুতই শেষ হচ্ছে। আগামী ২০ বছরের জন্য এই প্লান। প্লানটি এখন প্রকল্প নীতি নির্ধারকদের হাতে রয়েছে। যশোর পৌরসভা দেশের মধ্যে একটি মডেল হবে। আর এটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এদিকে পৌরসভার টাউনপ্লানার সুলতানা সাজিয়া গ্রামের কাগজকে জানান, মাস্টার প্লানটি মুলত নাগরিক বান্ধব হিসেবে গোটা যশোর পৌরসভা এলাকা সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে এমন একটি সার্বিক চিত্র। আসলে পৌরসভার ভূখন্ড এবং জনগণের চাহিদার উপর জোর দিয়ে এগুচ্ছে। তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ সেক্টর প্রকল্পের কন্সালট্যান্টদের সাথে তিনিও কাজ করছেন। ড্রাফট মাস্টার প্লান এখন যাচাই করণ চলছে। এখনও অনেক কাজ বাকি। গণশুনানীতে দেয়া হবে প্লান। জনগণের সমর্থনের পর সরকারি গেজেট প্রকাশ হবে।
উন্নয়ন টার্গেটের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে তিনি জানান, যশোরের দড়াটানা, মণিহার ও বকুলতলা এলাকায় ৩টি ওভার ব্রিজ, যশোর পৌর পার্ক, নিয়াজ পার্ক ও ক্যানন পার্কের আধুনিকায়ন, যানজট রোধে রাস্তা প্রশস্তকরণ, পুকুর সংস্কার। আরও অনেক উন্নয়নের সমন্বয়ে উপহার দেয়া হবে যশোর পৌরসভা