সাতক্ষীরায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

সাতক্ষীরায় পৃথক ঘটনায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অআমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো র্রিপোট:

দেবহাটা প্রতিনিধি : শিশু সন্তানকে পুকুরে ছুড়ে ফেলে হত্যার খবরে নিজের অসুস্থতা ভুলে হাসপাতাল ছেড়ে ছুটে গেলেন এক বাবা। এর পর নিজের শিশুকে দেখেই ফের জ্ঞান হারালেন তিনি।
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরার দেবহাটার পুস্পকাটিতে। পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে।
তার স্বজনরা জানান, পুস্পকাটি গ্রামের ফরহাদ হোসেন তার শিশু কন্যা ফারিয়াকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে ভোমরা বন্দরে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন দিক থেকে কে বা কারা তার মাথায় সজোরে লাঠির আঘাত করে। ফরহাদ মুহুর্তেই জ্ঞান হারান। এই সুযোগে শিশু ফারিয়াকে (৪) দুর্বৃত্তরা নিকটস্থ পুকুরের পানিতে ছুড়ে ফেলে। স্থানীয়রা ফরহাদকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
এদিকে শুক্রবার সকালে কিছুটা সুস্থ হতেই ফরহাদের কাছে খবর আসে যে তার মেয়ে শিশু ফারিয়ার লাশ ভাসছে পুকুরে । এ খবর শুনে নিজের অসুস্থতার কথা ভুলে ফরহাদ দ্রুত ছুটে যান তার নিথর দেহী মেয়ের কাছে।
তবে এলাকাবাসী বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলেন ফরহাদকে কেউ লাঠি দিয়ে আঘাত করেনি। এমনকি তার মেয়েকে পুকুরে ছুড়ে ফেলে হত্যার ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত নয়। তারা বলেন রাজনৈতিক কারণে ফরহাদের প্রতিবেশি মোকছেদ আলি এখন জেলে রয়েছে। তাকে জেলে পাঠানোর জন্য কয়েকজন লোককে সে দায়ী করে আসছিল। প্রতিশোধ নিতেই ফরহাদ মোকছেদ পরিবারের কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা হাতিয়ে নিয়ে তার মেয়েকে হত্যার দায় এলাকার কয়েক যুবকের ওপর চাপাতে এই নাটক সাজিয়েছে। তারা আরও জানান ফরহাদের দেহে কোনো আঘাতের চিহৃ নেই।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মান্নান আলি জানান শিশু ফারিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন বিষয়টি অনেকটাই রহস্যাবৃত। পানিতে ডুবে মারা যাওয়া কিংবা আঘাত করে হত্যার কোনো চিহৃই শিশুটির দেহে নেই। এমনকি ফরহাদের দেহেও আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়নি। তদন্ত না করে কোনো কিছু নির্নয় করা কঠিন জানিয়ে তিনি বলেন ফরহাদকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ।

 

অন্যদিকে র জেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ানের পাথরঘাটায়১০ বছরের এক শিশু মারা গেছে।

ক্রাইমবার্তা রিপোর্টার রহমাতুল্লা;   অআজ সকাল আনুমানিক ৮ টার দিকে সাতক্ষীরা সদর জেলা ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ানের পাথরঘাটা গ্রামে ১০ বছরের শিশু পার্ভেজ  পুকুরে ডুবে মারা গেছে।

পার্ভেজকে খুজে পাচ্ছিলোনা তার পিতা ‘ মাতা। অনেক  খুজা ‘খুজির পর এলাকা বাসি তার সন্ধান পান। পাথরঘাটা গ্রামের মবাইল টাওয়ারের উত্তর পাশে গ্যাসউদ্দিনের গভির পুকুর আছে।এই পুকুরের ঘাটে তার জামা দেখতে পায় এলাকা বাসি। সন্ধেহ করে পানিতে প্রায় আধা ঘন্টা খুজার পরে পাওয়া যায় তার লাশ। জুম্মার নামাজের পর পাথরঘাটা ঈদগা জামে মসজিতের মুসোল্লিরা তার যানাজা আদায় করেন। পাথরঘাটার পাশের গ্রামে হাজিপুরে তার মামাদের পারিবারিক কবরে স্থানে দাপন দেন। পাথরঘাটা গ্রামের রাইহানের ছেলে হাফিজুলের কাছ থেকে যানা যায় কয়েক দিন আগে পার্ভেজ নদীতে পরে যায়। তখন হাফিজুল এবং অন্য এক ব্যক্তি তাকে নদী থেকে তোলে।

Check Also

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি 

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।