ক্রাইমবার্তা রির্পোটঃআওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বিএনপি-জামায়াতের অতীতের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেছেন, ‘ওরা গণতন্ত্রের শত্রু, মানবতার শত্রু, ধর্মের শত্রু, কৃষক ও শ্রমিকের শত্রু। তাই আগামী নির্বাচনে কোনও অশুভ শক্তি বিএনপি-জামায়াতকে সমর্থন দেওয়ার নামে কোনও নৈরাজ্য করলে তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এমনকি তারা কোনও অরাজকতা করলে, গোলোযোগ করলে হাত-পা ভেঙে দেবেন।’
মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত টেকসই গণতন্ত্র ও উন্নয়ন শীর্ষক তৃণমূল কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। নানক বলেন, ‘গত ৯ বছর ৯ মাসে কোনও আন্দোলন করতে পারেনি বিএনপি। আর জামানত বায়েয়াপ্ত কামাল, মান্না ও জাফরুলরা আজ এক হয়েছেন যাতে আগামীতে দেশে কোনও নির্বাচন না হয়, আওয়ামী লীগ যাতে ক্ষমতায় যেতে না পারে। ঐক্যের নামে আবারও কিছু মুখচেনা অশুভ শক্তি মাঠে নামার চেষ্টা করছে। তারা আন্দোলনে পরাজিত হয়, নির্বাচনের মাঠে পরাজিত হয়। তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এরা সবসময় মুক্তিযদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ভয় পায়। এদের পেছনে কারা আছে তা আমরা জানি।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘যারা সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি তাদেরই নির্বাচনে মনোনয়ন দেবে দল। তাই সব বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থেকে নৌকার বিজয় নিশ্চিতে কাজ করতে হবে।’.
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শরিফুল ইসলামের ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিয়াউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ এমপি, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার (অব.) এনামুল হক ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা রাজিয়াসহ বিভিন্নস্তরের নেতারা।
আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট চেয়ে রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগই ইসলামকে সুসংহত করেছে। কওমী মাদ্রাসার ছাত্ররা, তাদের সার্টিফিকেটের কোনও মূল্য পাচ্ছিলো না। সেখানে আওয়ামী সরকারই সংসদে কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়ে বিল পাস করেছে, যা যুগান্তকারী। শুধু তাই নয়, সারা দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। অথচ বিএনপি নেতারা এই মসজিদ নির্মাণের বিরোধিতা করে আসছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণায় বিএনপি নেতারা টিটকারি মারছিলো। কিন্তু এখন দেশে ডিজিটাল সুবিধা বাস্তবায়ন হওয়ায় তাদের মুখে চুনকালি পড়েছে।’