ক্রাইমবার্তা রির্পোটঃ যশোর:যশোর কোতয়ালি থানার কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তার বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি বা রাস্তা থেকে সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে মোটা অংকের ঘুষ দাবি করছেন তার কাছ থেকে। দাবি পূরণ না হলেই ইয়াবা মামলায় ফাঁসিয়ে তাদের চালান দেওয়া হচ্ছে আদালতে। সর্বশেষ পলাশ দত্ত নামে এক পরিবহন শ্রমিক এই ঘুষ বাণিজ্যের শিকার হয়েছেন। পলাশ দত্ত যশোর শহরের বেজপাড়া নলডাঙ্গা রোডের মৃত দুলাল দত্তের ছেলে।
পলাশ দত্তের স্বজনরা জানান, কোতয়ালি থানার দারোগ সাহিদুল আলম মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বাড়ি থেকে পলাশকে ধরে যশোর কোতয়ালি থানায় নিয়ে যান। এরপর তাকে ছেড়ে দেওয়ার শর্তে ২লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন তিনি। অন্যথায় ইয়াবা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। দেন দরবার চলে বুধবার বিকাল পর্যন্ত। কিন্তু দারোগার দাবি পুরণ না করায় ৫২পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে অভিযোগে পলাশের বিরুদ্ধে মামলা করেন দারোগা সাহিদুল আলম। এরপর তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
এব্যাপারে দারোগা সাহিদুল ইসলামের সাথে বুধবার রাতে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘুষ দাবি করার কথা অস্বিকার করে বলেন, পলাশ দত্তকে ৫২পিস ইয়াবাসহ মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে আরএন রোড থেকে আটক করা হয়েছে। এদিকে কোতয়ালি থানার এফআইআর-এ দেখা গেছে পলাশ দত্তকে ইয়াবাসহ গ্রেফতারের সময় দেখানো হয়েছে বুধবার সকাল পৌনে ৭টা। ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে মনিহারের সামনে। মামলা নং ১০৩। এই অসমঞ্জস্যতার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে দারোগা সাহিদুল ইসলাম বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
উল্লেখ্য সম্প্রতি কোতয়ালি থানার কতিপয় দারোগা ও সহ-দারোগার বিরুদ্ধে এই ধরনের বিস্তর অভিযোগ উঠছে। তারা সাদা পোশাকে শহরের রাস্তা বা বাড়ি থেকে সাধারণ মানুষদের তুলে নিয়ে গিয়ে মোটা অংকের অর্থ আদায় করছে। টাকা দিতে না পারলে ইয়াবা অথবা অন্য মামলায় ফাঁসিয়ে তাদের পাঠাচেছন জেল হাজতে। কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তার এ ধরনের আচরনে পুলিশের ভাবমুর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে সাধারণ মানুষের মন্তব্য।