স্পোর্টস রিপোর্টার : এশিয়া কাপের ফাইনালে আজ মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত। গত আসরের ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-ভারত। টি-টোয়েন্টি ফর্মেটে গত আসরের ফাইনালে ভারতের কাছে ৮ উইকেটে হেরে শিরোপার স্বপ্ন ভঙ্গ হয় টাইগারদের। এবারও এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ। এবারও প্রতিপক্ষ ভারত। এবার আর শিরোপা জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না টাইগাররা। শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে চান অধিনায়ক মাশরাফি। দুবাইয়ে আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় শুরু হবে ফাইনাল ম্যাচটি।
এশিয়া কাপের ফাইনালে মাঠে নামার আগে ভারতের চেয়ে পরিসংখ্যানে অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। শক্তিতেও বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে ভারত। তবে বর্তমানে পারফরমেন্সে বাংলাদেশ এশিয়ার যে কোনো দলকে এখন হারাতে পারে। এই এশিয়া কাপে ইতোমধ্যে শ্রীলংকা আর পাকিস্তানকে হারিয়ে তার প্রমাণ দিয়েছে বাংলাদেশ। এবার ভারতকে হারানোর সুযোগ। এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত ১১বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। এরমধ্যে দশবারই জয় পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া। একবার জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১২ সালের আসরে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিলো টাইগাররা। এছাড়া ওয়ানডে ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত ৩৪ বার মুখোমুখিতে ২৮টিতে জয় পেয়েছে ভারত। বাংলাদেশের জয় ৫টিতে। এরআগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ। কিন্তু দু’বারই শিরোপা বঞ্চিত হয়। প্রথমবার পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২ রানে এবং পরের বার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের আসরে ভারতের কাছে ৮ উইকেটে হারে টাইগাররা। গত আসরের পরাজয়ের সেই স্মৃতি ভুলে যাওয়ার দারুণ এক সুযোগ আজ বাংলাদেশের সামনে। এবারের আসরে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের উজ্জীবিত পারফরমেন্স তেমনই আভাস দিচ্ছে। তিনবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকাকে হারিয়ে এবারের এশিয়া কাপে যাত্রা শুরু করেছিলো বাংলাদেশ। পরের দু’ম্যাচে হোচট খেলেও সুপার ফোরের শেষ দু’ম্যাচে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের হারের বদলা নিয়েছে বাংলাদেশ। বদলা নিতে কিছুটা বেগ হতে হয়েছিলো টাইগারদের। কিন্তু সেই বেগে একটুও চিড় ধরেনি বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসে। সেটির প্রমান মিলেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে। শুরুতে ব্যাকফুটে চলে গেলেও সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ৯৯ ও মোহাম্মদ মিথুনের ৬০ রানের উপর ভর করে ২৩৯ রানের লড়াকু পুঁিজ পায় বাংলাদেশ। সেই পুঁিজকে কাজে লাগিয়ে বোলাররা শেষ পর্যন্তু ৩৭ রানে জয় এনে দিয়েছে। আর এতেই ফাইনালে উঠৈ যায় বাংলাদেশ। আর ফাইনালে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ পায় টাইগাররা। ভারতের প্রধান শক্তি ব্যাটিং লাইন-আপ। কিন্তু এবার বোলিং-টাও ভালো হচ্ছে। তাই প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করতে খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হয়নি ভারতকে। অবশ্য সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একাদশে ব্যাপক পরিবর্তন এনে খেলতে নেমেছিলো টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিততে পারেনি তারা। ম্যাচটি অমীমাংসিতভাবেই শেষ হয়। তবে ফাইনালের আগে ভারতকে শক্তিশালী দল বলে অ্যাখায়িত করে মাশরাফি বলেন, ‘আমরা জানি ভারত অনেক বেশি শক্তিশালী দল। আমাদের সাকিব এবং তামিম নেই। তারপরও আমি আশা করবো ফাইনাল ম্যাচে ছেলেরা তাদের সেরা পারফরমেন্সই প্রদর্শন করবে।’ শিরোপা লড়াইয়ে সেরা পারফরমেন্স করতে মুখিয়ে আছে ভারতও। এমনই ইঙ্গিত দিলেন ভারতের মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান দিনেশ কার্তিক। তিনি বলেন, ‘আমরা সেরা ফর্মে রয়েছি। আমাদের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদি। নিজেদের সেরা পারফরমেন্স অব্যাহত রাখতে পারলে শিরোপা জয় অসম্ভব কিছু না।’