আশাশুনি কুল্যায় গৃহবধুকে মারপিট করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়ার অভিযোগ

ক্রাইমবার্তা রির্পোটঃ

আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় স্বামী ও শ্বাশুড়ী কর্তৃক গৃহবধুকে মারপিট করে মুখে কিটনাশক (বিষ) ঢেলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে। জানাগেছে প্রায় ৪বছর আগে আশাশুনির বুধহাটা গ্রামের মাহবুবর রহমানের সেজ কন্যা আমেনা খাতুন (২৩) এর সাথে একই উপজেলার কুল্যা গ্রামের মৃত শুকুর আলীর পুত্র মোঃ শরিফুজ্জামান শরীফের সাথে বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ১টি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। গৃহবধুর পিতা মাববুবর রহমান ও শরিফুজ্জামান শরীফের প্রতিবেশীরা জানান, বিবাহের পর থেকে শরীফ বাড়ীতে না থাকার সুবাদে শ্বাশুড়ি আছিরণ বিবি বৌমা আমেনা খাতুনকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করতো। এছাড়া শরীফও ছুটিতে বাড়ীতে আসলে তাকে নির্যাতন করে বলে জানান প্রতিবেশীরা। নির্যাতনের জ্বালা সহিতে না পেরে স্ত্রী আমেনা খাতুন তার স্বামী শরিফুজ্জামান শরীফকে কোর্ট এর মাধ্যমে ডিভোর্স করেন। কিন্তু বছর না যেতেই ডিভোর্স হওয়া স্বামী আবারও হাত, পা ধরে আমেনা খাতুনকে বিবাহ করে। ২য় বার বিবাহের ১বছরের মধ্যেই আবারও শুরু হয় পারিবারিক কলহল ও নির্যাতন। এরই জের ধরে আনছার ব্যাটেলিয়ান সদস্য শরিফুজ্জামান শরীফ তার কর্মস্থল খাগড়াখড়ি জেলার দিঘিনালা উপজেলা থেকে বৃহস্পতিবার বিকালে বাড়ীতে এসে তার মা আছিরণ বিবির সহযোগীতায় বাড়ীর বারান্দার গেটের তালা লাগিয়ে গৃহবধু আমেনা খাতুনকে মারপিট করতে থাকে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে গেলেও বাড়ীর ভিতরে কেউ ঢুকতে পারিনি বলে জানান তারা। এসময় তারা আমেনা খাতুনের মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে পেছনের গেট দিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানান আহত আমেনা খাতুন ও স্থানীরা। ঘটনার পর স্বামী ও শ্বাশুড়ী সহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে গেলেও স্থানীয়রা তার পিতা মাহবুবর রহমানকে খবর দিলে তিনি তাদের সহযোগীতায় কিটশক পান করা আমেনা খাতুনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করেন। পরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত তাকে সাতক্ষীরা সদরে প্রেরণ করা হয় বলে জানাগেছে। এব্যাপারে শরীফুজ্জামান শরীফের বাড়ীতে গেলে গেটে তালা বন্দ অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বা আমার মা আমার স্ত্রীকে কোন নির্যাতন করেনি। পারিবারিক অশান্তির কারণে আমেনা সবার অজান্তে ঘরের ভিতরে বসে বিষ খেয়েছিলো। এব্যাপরে আমরা কেউ কিছুই জানিনা। পারিবারিক কলোহলের খরব পেয়ে তার পিতা মাতা আমাদের বাড়ীতে এসে দেখেন তাদের মেয়ে বিষ খেয়েছে। এসময় তারা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করে এবং সর্বশেষ আমেনা সাতক্ষীরাতে চিকিৎসাধীন ও সুস্থ আছে বলে আমি জানি।

Check Also

প্রত্যেক উপজেলায় একটি সরকারি মাদ্রাসা করার সুপারিশ: সাতক্ষীরা ডিসি

ক্রাইমবাতা রিপোট,  সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেছেন, যদি প্রত্যেকটা উপজেলায় একটা সরকারি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।