ক্রাইমবার্তা রির্পোটঃ খুলনা অফিস : খুলনা মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, গায়েবী মামলার ছড়াছড়িতে সারাদেশে বিরাজ করছে এক আতঙ্কের পরিবেশ। মামলার ব্যাপক বিস্তারে সরকার যেন জনগণের ওপর প্রেতাত্মাসূলভ আচরণ করছে। মূলত: এদেশে মানুষের জীবনমান উন্নয়নের বরকত নেই, আছে শুধু মিথ্যা মামলার বরকত। সাবেক প্রধান বিচারপতিকে বন্দুকের নলের মুখে দেশত্যাগে বাধ্য করার পর সম্প্রতি প্রকাশিত গ্রন্থে এসকে সিনহার প্রতি সরকারের আচরণের যে ঘটনাগুলো বেরিয়ে আসছে তাতে দেশ-বিদেশে সমালোচনার ঝড় বইছে। নিজের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্যই সাবেক প্রধান বিচারপতিকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছেন। আর এটি করতে গিয়ে বিশ^দরবারে শেখ হাসিনা কলঙ্কিত হয়েছেন। এই ঘটনা বিচার বিভাগের ওপর ব্যক্তি শেখ হাসিনার ভয়ঙ্কর আক্রমণ। বিচার বিভাগের ওপর আধিপত্য বিস্তারই এই আক্রমণের মূল লক্ষ্য। সর্বশেষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যমের গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস দিতে যাচ্ছেন। গণতন্ত্রের মুখোশটুকু ছুঁড়ে ফেলে গণতন্ত্রের শেষ চিহ্ন মুছে দিয়েছেন।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় খুলনা মহানগর ও জেলার বিভিন্ন থানায় পুলিশ কর্তৃক মিথ্যা কাল্পনিক বানোয়াট ‘গায়েবী মামলা’ দায়েরের প্রতিবাদ, মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেফতার অভিযান বন্ধ ও গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবীতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ সব কথা বলেন।
অবিলম্বে গায়েবী মামলা প্রত্যাহার, গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানিয়ে সমাবেশে আরো বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে বুঝতে পেরেছে তাই তারা পুলিশের ওপর ভর করেছে। আবারো ক্ষমতায় যেতে তারা নির্বাচনি মাঠ ফাঁকা করতে পুলিশ দিয়ে অপতৎপরতা চালাছে। দেশে বিদেশে পরিত্যাক্ত সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। গুরুতর অসুস্থ জাতীয় নেতা তরিকুল ইসলামসহ বেগম খালেদা জিয়ার মামলা পরিচালনাকারী সিনিয়র আইনজীবীসহ দেশে প্রায় ৪হাজার গায়েবী মামলায় লক্ষাধীক নেতাকর্মীদের আসামী করা হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, এডভোকেট এস আর ফারুক, রেহেনা ঈসা, স ম আব্দুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, মো. ফখরুল আলম, এডভোকেট ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, মেহেদী হাসান দিপু, মহিবুজ্জামান কচি, শফিকুল আলম তুহিন, শাহিনুল ইসলাম পাখি, আজিজুল হাসান দুলু, সাদিকুর রহমান আব্দুর রহিম বক্স দুদু, মুজিবুর রহমান, অ্যাড. গোলাম মাওলা, মো. শাহজাহান, জালু মিয়া, সাদিকুর রহমান সবুজ, ইকবাল হোসেন খোকন, সেখ সাদী, সাজ্জাদ হোসেন পরাগ, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, কে এম হুমায়ুন কবির, একরামুল কবির মিল্টন, একরামুল হক হেলাল, হাসানুর রশিদ মিরাজ, আশফাকুর রহমান কাকন, সামসুজ্জামান চঞ্চল, সাঈদ হাসান লাভলু, মাহবুব হাসান পিয়ারু, নাজমুল হুদা সাগর, শরিফুল ইসলাম বাবু, হেলাল আহম্মেদ সুমন, ফারুক হোসেন হিল্টন, নাজির উদ্দীন নান্নু, ইমাম হোসেন, জামিরুল ইসলাম, অ্যাড. মোহাম্মাদ আলী বাবু, বদরুল আনাম, মাহবুব হোসেন, আফসার মাষ্টার, মীর কবির হোসেন, হাসান উল্লাহ বুলবুল, কালাম শিকদার, হাফিজুর রহমান মনি, হাবিব বিশ্বাস, ওহেদুজ্জামান দিপু, সমসের আলী মিন্টু, তরিকুল্লাহ খান, শরিফুল আনাম, তরিকুল ইসলাম, আবু সাঈদ শেখ, শফিকুল ইসলাম শাহিন, রবিউল ইসলাম রবি, মহিউদ্দীন টারজান, নাসির খান, মোস্তফা কামাল, আসলাম হোসেন, বাচ্চু মীর, আ. জব্বার, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, নিঘাত সীমা, শাহাবুদ্দিন মন্টু, সরদার ইউনুচ আলী, তৌহিদুল ইসলাম খোকন, লিটন খান, ইমতিয়াজ আলম বাবু, মিজানুর রহমান খোকন, বাবু মোড়ল, এডভোকেট মফিজুর রহমান, কাজী মাহমুদ আলী, আনিসুর রহমান আরজু, জি এম রফিকুল ইসলাম, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, গাউস হোসেন, নীরু কাজী, মাজেদা বেগম, রোকেয়া ফারুক, আনজিরা খাতুন, মেহেদী হাসান সোহাগ, মোহাম্মাদ আলী, মুছা খান, মনিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, জাকারিয়া লিটন, সেখ সাদী প্রমুখ।
Check Also
সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন
ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা: ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …