ক্রাইমবার্তা ডেস্ক রিপৌট: যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বেশ গোপনীয়তার মধ্যেই উন্মোচন করা হল বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার ‘ব্রোকেন ড্রিম : রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ বইয়ের মোড়ক।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল প্রেসক্লাবে আলোচিত ওই বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেবল আমন্ত্রিত অতিথিরা। অতিথির সংখ্যাও ছিল হাতেগোনা। এ ছাড়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম।
এদিকে বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের খবর পেয়ে বৃহত্তর ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের নেতারা অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হলেও আমন্ত্রণপত্র না থাকায় তারা সেখানে প্রবেশ করতে পারেননি।
ফলে ওয়াশিংটন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সাদেক খান, সহসভাপতি আনোয়ার হোসাইন, জুয়েল বড়ুয়া ও যুগ্ম সম্পাদক হারুনুর রশীদ, ভার্জেনিয়া স্টেট ও মেরিল্যান্ড স্ট্রেট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনুষ্ঠানের বাইরেই অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটন প্রেসক্লাবে তার বই ‘এ ব্রোকেন ড্রিম’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার বিষয়ে সিনহা বলেন, ‘এদেশে আমার কোনও স্ট্যাটাস নেই। আমি একজন শরণার্থী। আমি এখানে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছি কিন্তু এখনও এর কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’
সিনহা দাবি করেন, ‘তিনি লন্ডনের হাউস অব কমনস, জেনেভা এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকেও দাওয়াত পেয়েছেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত না হওয়ার কারণে তিনি সেখানে যেতে পারছেন না।’
অনুষ্ঠানে সাবেক বিচারপতি জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপদ বোধ করছেন না। তিনি বলেন, ‘আমি এত ভীত থাকি যে, আমি ২৪ ঘণ্টা বাসাতেই থাকি।’
তিনি দাবি করেন, ‘সরকারি একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রে আমার বাসা সব সময় মনিটরিং করে এবং যারা আমার বাসায় যায় তাদের ছবি তোলা হয়।’
বর্তমান সরকারের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এই সরকার ভারতের সমর্থন পায়।
শুধু তাই না, ২০১৪-এর নির্বাচনের পরে ভারত যুক্তরাষ্ট্র এবং কয়েকটি ইউরোপিয়ান দেশকে বুঝিয়েছিল এই সরকারকে সমর্থন দেওয়ার জন্য।’