ক্রাইমবার্তা রিপৌট :যশোর : সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সংশোধিত বাজেটে একনেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পেল যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ডাবল লেনের নির্মাণ কাজ। পরিবেশবাদী ও যশোবাসীর দাবির মুখে ঐতিহ্যবাহি পুরনো গাছগুলো রেখেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। ৩২৮ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ২৬৮ কোটি ব্যয়ে এই কাজ সম্পন্ন করার চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে একনেক। যশোরের দড়াটানা থেকে বেনাপোল রোডের ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রথম প্যাকেজ ও ২০ কিলোমিটার থেকে বেনাপোল পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার দ্বিতীয় প্যাকেজে করার টাগের্ট নেয়া হয়েছে। সড়কটি ২৪ ফুট থেকে বাড়িয়ে ৩৪ ফুট চওড়া হবে।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক মানের স্থলবন্দর, আমদানি-রফতানি অন্য সব বন্দর থেকে কয়েকগুণ বেশি। দেশের অর্থনীতির জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক গত কয়েক বছর বেহাল হয়ে পড়ে। সরকার গত বছরের ২১ মার্চ ৩শ’২৮ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়। আর সড়কের দু’পাশের গাছ কেটে সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে গাছ কাটার পক্ষে-বিপক্ষে মতামত তৈরি হয় যশোরে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার কথা উল্লেখ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করা হয়। ১৮ জানুয়ারি উচ্চ আদালত ৬ মাসের জন্য গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা দেন। আর যশোর-বেনাপোল রোড সম্প্রসারণ কাজ ঝুলে যায়। এরপর বিষয়টির সন্তোষজনক সমাধান ও নির্মাণ দ্রুত করতে সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় উপ কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। ওই টিমের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় ৪ কিংবা ৬ লেন নয় গাছ রেখেই হবে ২ লেন। রাস্তার ৩১২টি গাছ রেখেই যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক প্রশস্ত করা হবে।
সে মোতাবেক সড়ক ও জনপথ বিভাগ টেন্ডার আহবানের অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়। বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে নথিতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে যশোরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্র জানিয়েছে। আগামি অক্টোবরের মাঝামাঝি নাগাদ আলোচিত এ সড়কের ডাবল লেনের কাজ শুরু হচ্ছে বলে যশোর সড়ক বিভাগ নিশ্চিত করেছে।
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী বিশ্বাস শরীফুল ইসলাম জানান, লেন কমে আসায় একনেকের বৈঠকে প্রকল্পটি ৩২৮ কোটি থেকে কমিয়ে ২৬৮ কোটি টাকা অনুমোদন দেয়া
সে মোতাবেক সড়ক ও জনপথ বিভাগ টেন্ডার আহবানের অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়। বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে নথিতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে যশোরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্র জানিয়েছে। আগামি অক্টোবরের মাঝামাঝি নাগাদ আলোচিত এ সড়কের ডাবল লেনের কাজ শুরু হচ্ছে বলে যশোর সড়ক বিভাগ নিশ্চিত করেছে।
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী বিশ্বাস শরীফুল ইসলাম জানান, লেন কমে আসায় একনেকের বৈঠকে প্রকল্পটি ৩২৮ কোটি থেকে কমিয়ে ২৬৮ কোটি টাকা অনুমোদন দেয়া
হয়েছে।
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম মোয়াজ্জেম হোসেন জানিয়েছেন, যশোর-বেনাপোল সড়কটি ডাবল লেনে উন্নীত হচ্ছে। এখন যা আছে তার থেকে ১০ ফুট বেশি চওড়া হবে। মাঝখানে কোন ডিভাইডার থাকবে না, থাকবে রোড মার্কিং। দুটি প্যাকেজে ৩৮ কিলোমিটার জুড়ে এ উন্নয়ন কাজ করা হবে। মোট ২৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি ২৪ ফুট থেকে ৩৪ ফুটে উন্নীত হবে। দু’পাশেই বৃদ্ধি করা হবে ৫ ফুট করে। আর সড়কটি খুড়ে সাড়ে ৪ থেকে ৫ ফুট গর্ত করে ভীত তৈরি করা হবে। এ গর্তে প্রথমে বালি ফিলিং, এরপর খোয়া ও পাথর মিশ্রিত বালি ফিলিং ও পরে ৩ থেকে ৫ ইঞ্চি বিটুমিন সারফেজ (পিচ ও পাথরের আস্তরণ) করা হবে। কাজটি শেষ করা হবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে।
তিনি জানান, গাছ থাকার কারণে সড়কটির কোন কোন অংশে চওড়া কমবেশি হচ্ছে। যেখানে গাছ নেই, সেখানে সর্বোচ্চ ৩৪ ফুট ও যেখানে গাছ রয়েছে সেখানে সাধ্য অনুযায়ী চওড়া করা হবে। এ কারণে সমান্তরাল চওড়া করা সম্ভব হবে না। ২ লেন হলেও সড়কটি হাইওয়ে স্ট্যান্ডার্ড মানের করা হবে বলে উল্লেখ করেন নির্বাহী প্রকৌশলী।
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম মোয়াজ্জেম হোসেন জানিয়েছেন, যশোর-বেনাপোল সড়কটি ডাবল লেনে উন্নীত হচ্ছে। এখন যা আছে তার থেকে ১০ ফুট বেশি চওড়া হবে। মাঝখানে কোন ডিভাইডার থাকবে না, থাকবে রোড মার্কিং। দুটি প্যাকেজে ৩৮ কিলোমিটার জুড়ে এ উন্নয়ন কাজ করা হবে। মোট ২৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি ২৪ ফুট থেকে ৩৪ ফুটে উন্নীত হবে। দু’পাশেই বৃদ্ধি করা হবে ৫ ফুট করে। আর সড়কটি খুড়ে সাড়ে ৪ থেকে ৫ ফুট গর্ত করে ভীত তৈরি করা হবে। এ গর্তে প্রথমে বালি ফিলিং, এরপর খোয়া ও পাথর মিশ্রিত বালি ফিলিং ও পরে ৩ থেকে ৫ ইঞ্চি বিটুমিন সারফেজ (পিচ ও পাথরের আস্তরণ) করা হবে। কাজটি শেষ করা হবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে।
তিনি জানান, গাছ থাকার কারণে সড়কটির কোন কোন অংশে চওড়া কমবেশি হচ্ছে। যেখানে গাছ নেই, সেখানে সর্বোচ্চ ৩৪ ফুট ও যেখানে গাছ রয়েছে সেখানে সাধ্য অনুযায়ী চওড়া করা হবে। এ কারণে সমান্তরাল চওড়া করা সম্ভব হবে না। ২ লেন হলেও সড়কটি হাইওয়ে স্ট্যান্ডার্ড মানের করা হবে বলে উল্লেখ করেন নির্বাহী প্রকৌশলী।