যশোরে প্রতিপক্ষ দুর্বৃত্তের হাতে যুবলীগ কর্মী সোহাগ খুন

ক্রাইমবার্তা রিপৌট  :যশোর : যশোরে প্রতিপক্ষ দুর্বৃত্তদের হাতে যুবলীগ কর্মী পুরাতনকসবা কাজীপাড়ার শরিফুল ইসলাম সোহাগ (২৮) খুন হয়েছেন। তিনি মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। আধিপত্য ও ভাগাভাগির দ্বন্দ্ব এবং অভ্যন্তরীন গোলযোগে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত ও গলা কেটে হত্যা করেছে।
এ ঘটনায় এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষে এজাহার দেয়া হয়নি, কিংবা পুলিশ কাউকে আটক করেনি। তবে নিহতের ভাই ঘটনায় জড়িতদের নাম প্রকাশ করেছে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ২৮ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২টার দিকে যুবলীগ কর্মী সোহাগ শহর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির অদুরে পৌঁছালে কাজীপাড়া এলাকার চিহ্নিত একটি দুর্বৃত্ত চক্র তার গতিরোধ করে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা সোহাগের পেটে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত শুরু করে। এসময় সোহাগ চিৎকার দিয়ে বাড়ির দিকে দৌঁড় দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে। সন্ত্রাসীরাও সোহাগের পিছু নেয়। এরপর বাড়ির সামনের রাস্তার পাশের কলপাড়ে সোহাগকে গলা কেটে রেখে পালিয়ে যায়। সোহাগের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে হাসপাতালে নিয়ে যায়। জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার কাজল মল্লিক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন। কাজল মল্লিক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই সোহাগের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত সোহাগের বড় ভাই ফেরদৌস হোসেন সমরাজ জানান, সোহাগ তার ঠিকাদারী কাজের সাইড দেখাশোনা করত। সে ভালভাবে চলাফেরা করত বলেই প্রতিহিংসার শিকার হয়েছে। কাজীপাড়ার টপ সন্ত্রাসী ৮/১০ জন গতিরোধ করে সোহাগের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। তারাই সোহাগকে হত্যা করেছে।যশোরে প্রতিপক্ষ দুর্বৃত্তের হাতে যুবলীগ কর্মী সোহাগ খুন এদিকে স্থানীয় অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, এই সোহাগও নানা অঘটনে জড়িত ছিল। এলাকায় আধিপত্য ও ভাগভাগি নিয়ে ওই অপরাধী চক্রের  সাথে তার সম্পর্কের টানাপড়েন চলছিল।

তবে জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন জানিয়েছেন, সোহাগ যুবলীগ কর্মী ছিল। যুবলীগে কোনো গ্রুপিং লবিং নেই। কাজেই দলীয় কোনো দ্বন্দ্ব কারো সাথে তার ছিলো না। সে একজন ভাল যুবক হিসেবে পরিচিত ছিল। স্বার্থান্বেসী কোনো মহল ও অপরাধী চক্র এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তিনি দ্রুত ঘটনায় জড়িতদের আটক ও শাস্তি দাবি করেন।
এ হত্যার সংবাদে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করাসহ হাসপাতালে যায়। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ অনেকটা নিশ্চিত হতে পেরেছে। খুনীদের আটকে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে বলে থানার একটি সূত্র জানিয়েছে।
যশোর কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ অপূর্ব হাসান জানিয়েছেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িতদের খোঁজা হচ্ছে। পুলিশি আটক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুতই জড়িতরা আটক হবে। এ ব্যাপারে এখনও লিখিত এজাহার পাওয়া যায়নি। তবে কেন এই হত্যাকান্ড এবং হত্যাকান্ডে কারা জড়িত থাকতে পারে এমন তথ্য এখন পুলিশের হাতে।

সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : মবিনুল ইসলাম মবিন

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আঞ্জুমানারা
পোস্ট অফিসপাড়া, যশোর, বাংলাদেশ।
ফোনঃ ০৪২১ ৬৬৬৪৪, ৬১৮৫৫, ৬২১৪১ বিজ্ঞাপন : ০৪২১ ৬২১৪২ ফ্যাক্স : ০৪২১ ৬৫৫১১, ই-মেইল : gramerka@gmail.com, editor@gramerkagoj.com
Design and Developed by i2soft

 

Check Also

ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়

দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।