৩ ও ৪ অক্টোবর জেলা এবং বিভাগীয় শহরে সমাবেশ-স্মারকলিপি প্রদান
ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট: : পথে পথে বাধা দেয়ার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের আটকের মধ্য দিয়ে গতকাল রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করেছে বিএনপি। পুলিশ ও সরকারি দলের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সমাবেশস্থল পরিণত হয় মহাসমাবেশে। বিশাল এই সমাবেশ থেকেই জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ৮ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এই কর্মসূচি হচ্ছে আগামী ৩ অক্টোবর জেলা শহরে সমাবেশ ও জেলা প্রশাসকের কাছে এবং পরদিন ৪ অক্টোবর বিভাগীয় শহরে সমাবেশ ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান। জনসভায় সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ সময় দলীয় চেয়ারপার্সনের নিঃশর্ত মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারের পদত্যাগ ও আলোচনার মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবিসহ ৮টি দাবি তুলে ধরেন। কর্মসূচি ঘোষণা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, সরকার যদি দাবি মেনে না নেয় তাহলে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের দাবি মানতে বাধ্য করা হবে। খালেদা জিয়ার ডাকে দেশবাসী এবং সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার ভীষণ ভয় পাচ্ছে। তারা এখন পদে পদে ষড়যন্ত্রের ভূত দেখতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, আমরা ৭ দফা যে দাবি দিলাম। এ দাবিতে এই কর্মসূচি দিচ্ছি। এরপরে পর্যায়ক্রমে আমরা আন্দোলনকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে যাবো। দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিসহ বেশ কয়েকটি দাবি বাস্তবায়নে বিএনপি এই সমাবেশের ডাক দেয়। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে রাখা হয় বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। তিনি কারাগারে আটক থাকায় তার আসনটি ফাঁকা রেখেই সমাবেশ শেষ করা হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী ঐ্যানি ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদের পরিচালনায় জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শওকত মাহমুদ, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, ফজলুর রহমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম-মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুদার দুলু, আসাদুল হাবিব দুলু, মাহবুবে রহমান শামীম, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
এছাড়া বক্তব্য দেন মহানগরের কাজী আবুল বাশার, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, যুব দলের সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, ছাত্র দলের রাজীব আহসান। অনুষ্ঠানে বিএনপির চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আহমেদ আজম খান, মাহমুদুল হাসান, ভিপি জয়নাল আবেদীন, অধ্যাপক সাহিদা রফিক, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, লুৎফুর রহমান খান আজাদ, সানাউল্লাহ মিয়া, নাজিমউদ্দিন আলমসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছিলেন।
বেলা ১২টায় সমাবেশ শুরু হলে দুপুর দুইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে সভা শুরু হয়। সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল সকাল ১০টা থেকেই জনসভাস্থলে ছোট-ছোট মিছিল নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেন। বেলা তিনটার মধ্যেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাঠ ও তার চারপাশে নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে তিল পরিমাণ ঠাই ছিলো না। জনসভাটি জনসমুদ্রে রূপ নেয়। উদ্যান পেরিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের মূল ফটকের সামনে, মৎসভবন থেকে শাহবাগ সড়কেও জনস্রোত দেখা যায়।
মঞ্চের টানানো ব্যানারে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবির পাশেই বড় অক্ষরে লেখা আছে- ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন’। ব্যানারে খালেদা জিয়াকে প্রধান অতিথি, খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রধান বক্তা ও সভাপতি হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম লেখা ছিলো। জনসভা থেকে প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, প্রতীক হিসেবে দেশনেত্রীর নাম প্রধান অতিথি হিসেবে লেখা হয়েছে। তিনি এখন কারাবন্দী। আমরা তার মুক্তি চাই।
সমাবেশে অংশ নেয়া যুব দল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের অনেকের মাথায় ছিলো লাল-সবুজের টুপি। জনসভায় নেতা-কর্মীরা ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’, ‘খালেদা জিয়া এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার সাথে’, ‘শেখ হাসিনার গদিতে আগুন জ্বালাও এক সাথে’ ইত্যাদি শ্লোগান দেয়। মাদার অব ডেমোক্রেসি খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থাকা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে একাদশ সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে আগামীতে ক্ষমতায় গেলে বিএনপি সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে তা তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আমরা যদি জনগণের ভোটে সরকার গঠন করতে পারি তাহলে রাষ্ট্রের সর্বস্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে একটি ন্যায় ভিত্তিক কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠন করা হবে। এসব লক্ষ্যের মধ্যে দলীয়করণের ধারার পরিবর্তে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, রাষ্ট্রক্ষমতার গ্রহণযোগ্য ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা নিশ্চিত করা, সশস্ত্র বাহিনীর আরো আধুনিকায়ন, শক্তিশালী ও কার্যকর করা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, দুর্নীতি দমন কমিশনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে শক্তিশালী করা, প্রতিহিংসার রাজনীতির অবসানে জাতীয় ঐক্যমত সৃষ্টি, কোনো জঙ্গি গোষ্টিকে বাংলাদেশের ভুখ- ব্যবহার করতে না দেয়া, সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয় এই পররাষ্ট্র নীতিতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ ভয় পেয়েছে, মারাত্মকভাবে ভয় পেয়েছে। এজন্য তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে ভুয়া ও গায়েবি মামলা দিচ্ছে। ফখরুল বলেন, যেসব মামলা দেয়া হচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নেই। তিনি সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, এসব মিথ্যা মামলা দায়েরের জন্য একদিন আপনাদেরও জবাব দিতে হবে।
জনসভায় সরকারের উদ্দেশে বিএনপির পক্ষ থেকে ৮ দফা দাবি ও ১২ দফা লক্ষ্য (অঙ্গীকার) ঘোষণার আগে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দুর্নীতি-লুটপাট করে আজ অর্থনীতিকে শেষ করে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই সরকারকে বিএনপির ভয়ে ধরেছে। তারা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আতঙ্কে ভুগছে।
‘সরকার রেহাই পাবে না’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, কয়লাকে ধূলা বানিয়ে দিয়েছেন, সোনাকে তামা বানিয়েছে, ব্যাংক থেকে টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক খালি করে দিয়েছে। তারপরও হাস মেটে না। ৫ বছর ১০ বছর করলো তারপরও আরো করতে চায়। এই সরকার কোথাও রেহাই পাবে না। যেহারে চুরি করেছে, লুট করেছে, বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাতে কারো কোনো রেহাই নেই।
গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ‘গায়েবি’ মামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু ১ সেপ্টম্বর থেকে আজ পর্যন্ত ৪ হাজার ৯৪টি মামলা দেয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪ হাজার ৩১৯ জনকে এবং আসামী করা হয়েছে ২ লক্ষ ৭২ হাজার ৭৩০ জনকে। এই যে গায়েবি মামলা যার কোনো অস্তিত্ব নাই। পুরোপুরি ভৌতিক মামলা। একবারও চিন্তা করছেন না আমাদের সরকার ও পুলিশ কর্মকর্তাগণ। এই সব মামলা যে দিচ্ছেন ভবিষ্যতে কী হবে? যখন তদন্ত হবে যখন দেখা যাবে এই মামলাগুলোর কোনো ভিত্তি নাই। তখন সকলকেই জবাবদিহি করতে হবে, তখন সকলকেই কাঠ গড়ায় দাঁড়াতে হবে।
স্বপ্ন দেখে বিএনপি বিএনপি বলে চিৎকার করে উঠে। এরা স্বপ্ন দেখে বেগম খালেদা জিয়া খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, তারেক রহমান বলে চিৎকার করে উঠে। এদেশের মানুষ বাংলাদেশকে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে মুক্ত করে আনবেই ইনশাল্লাহ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনারা ব্যবসায়ী ভাইদেরকে জিজ্ঞাসা করবেন তারা অস্থির হয়ে গেছে কর দিতে দিতে, চাঁদা দিতে দিতে। তারা আর বাঁচতে পারছে না। এই করের টাকা দিয়ে তারা(সরকার) আজকে লুটের টাকা তৈরি করছে। পদ্মা সেতুর ব্যয় ১০ হাজার কোটি টাকার জায়গায় ৩০ হাজার কোটি টাকা, প্রত্যেকটা মেগা প্রজেক্টে তিন-গুন করে দিচ্ছে আর সব লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। বলতে চাই এই লুটপাট বন্ধ করুন। কোটা সংস্কারের সঠিক বাস্তবায়ন ও নিরাপদ সড়কের আন্দোলনকারীদের মুক্তি দেয়ার দাবি করে নিরাপদ বাংলাদেশ তৈরি করার দাবিও জানান বিএনপি মহাসচিব।
জাতীয় ঐক্যের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, কারাগারে যাওয়ার আগে দেশনেত্রী যে ঐক্যের কথা বলে গেছেন আজকে সারাদেশে সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, সারাদেশে গণতান্ত্রিক শক্তি ও নাগরিক শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। দেশনেত্রীর যে জাতীয় ঐক্যের কথা বলে গেছেন আজকে আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
প্রধান বক্তা হিসেবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে দেশনেত্রীর দেয়া দাবিতে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, অনেক রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয় ঐক্যমত সৃষ্টি হয়েছে যে, এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। আর এই অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন করতে হলে বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে ছাড়া কোনো অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন হতে পারে না, জনগণ তা হতে দেবে না ইনশাল্লাহ। এখনো সময় আছে জনগণের দাবি মানুন, পদত্যাগ করুন, সংসদ ভেঙে দিন। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দলীয় মনোভাবাপন্ন মানসিকতা পরিহার করে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের অনুরোধও জানান সাবেক এই মন্ত্রী।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘অবৈধ সরকার’ রাষ্ট্রের তিনটি ‘স্তম্ভ’ (আইন, নির্বাহী ও বিচার বিভাগ) ধ্বংস করে দিয়েছে। এই সরকার ফ্যাসিস্ট সরকার। দুর্নীতি আর লুটপাট করে দেশের অর্থনীতি পঙ্গ করে দিয়েছে। খালেদা জিয়ার আহ্বানে বিভিন্ন দলমত আজ ঐক্যবদ্ধ মন্তব্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, খালেদা জিয়া ছাড়া এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ভয়ের কোনো কারণ নেই। খালেদা জিয়া প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না। বিএনপি কখনো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নির্যাতন করে না। সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। বরং আওয়ামী লীগই সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করেছে। কীভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন প্রধান বিচারপতিকে (সুরেন্দ্র কুমার সিনহা) নির্যাতন করে দেশ থেকে তাড়িয়েছে, সেটা দেশবাসী দেখেছে।
সদ্য পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সাত দিনের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করবে। এই আইনের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমের সম্পাদক ও সাংবাদিকদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, গণমাধ্যমের ভাই-বোনেরা আজকে সময় এসেছে আপনাদের জেগে উঠবার। ঐক্যভাবে আপনারা এটাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করুন। সরকারকে বাধ্য করুন এই আইন বাতিল করার জন্য। ডিজিটাল আইনের ৩২ ধারার কথা তুলে ধরে সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, এই ধারায় সরকারের দুর্নীতি ও অপকর্মের কোনো নথিভিত্তিক খবর বের করেন আপনাদেরকে ১৪ বছরের সাজা দেয়া হবে এবং ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হবে। ৩২ ধারা আরো ভয়ংকর। এই আইনে পুলিশকে সীমাহীন ক্ষমতা দেয়া হয়েছে যেটা রক্ষীবাহিনীকেও দেয়া হয় নাই। পুলিশ যেকোনো অফিসে, যেকোনো বাড়িতে যেকোনো সময়ে প্রবেশ করতে পারবে বিনা ওয়ারেন্টে, বিনা আদেশে, বিনা হুকুমে। এটা কী মানা যায়। আপনাদের কম্পিউটার, ইন্টারনেট সামগ্রী জব্দ করে নিয়ে যাবে। কোনো জব্দ তালিকা আপনাদেরকে দেবে না। এটা আপনারা মানতে পারেন? তিনি বলেন, এই আইনটা করা হয়েছে নির্বাচনের আগে যাতে করে সংবাদপত্রগুলো এই সরকারের অপকর্ম ছাপাতে না পারে। কিন্তু দেশের মানুষ মুখ বন্ধ করতে পারবেন না। সংবাদপত্রকে বন্ধ করে রাখতে পারবেন না। আমি বিশ্বাস করি সংবাদপত্র সরকারের অপকর্মে দ্বিধাবোধ করবেন না।
মওদুদ বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে যদি বাধা দেওয়া হয়, তাহলে এবার আমরাও ছাড় দেবো না। আওয়ামী লীগ নেতারা মাঠ দখলের কথা বলছেন, এখানে মাঠ দখলের প্রশ্ন কেন? যদি মাঠ দখলের কথা বলেন, আমরাও এবার দখল করবো। আর ফাঁকা মাঠে গোল হবে না। এই দিবাস্বপ্ন দেখলে ভুল করবেন। বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, আগামীতে আর জনসভার অনুমতি নেবো না, প্রশাসনকে মৌখিকভাবে অবহিত করেই জনসভা হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে সাত দিনের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করবে জানিয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, এই আইন এতো ভয়ংকর যে, এই আইনে পুলিশকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, ১৯৭৫ সালে বাকশালের সময় রক্ষীবাহিনীকেও এতো ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। রাজপথেই কথা হবে হুঁশিয়ারি দিয়ে মওদুদ বলেন, এই সরকারের পতনের সময় এসে গেছে। আর বেশি দিন নাই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, জাতীয় ঐক্য গড়ার চেষ্টা চলছে। ঐক্য না হলে বিএনপি একাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন করে যাবে। মির্জা আব্বাস বলেন, জাতীয় ঐক্য গড়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু সরকার নানাভাবে চেষ্টা করছে যেন ঐক্য না হয়। যদি জাতীয় ঐক্য হয় তাহলে ভালো, আর না হলে বিএনপি একাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন চালিয়ে যাবে। কারেও ওপর নির্ভর করে বিএনপি বসে থাকবে না।
আজকের (রোববার) জনসভা থেকে যে কর্মসূচি দেওয়া হবে তা সরকার পতনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। তিনি বলেন, সময় থাকতে সতর্ক হোন। বিএনপি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি মেনে নিন।
‘অগণতান্ত্রিক সরকারকে’ বিদায় করতে গণতন্ত্রকামী সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালেই গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। পুনরায় ২০১৪ সালে ‘ভোটারবিহীন নির্বাচনের’ মাধ্যমে গণতন্ত্রকে পুরোপুরি হত্যা করেছে। এজন্য তাদের চরম মূল্য দিতে হবে। এই ‘অগণতান্ত্রিক সরকারকে’ বিদায় করতে গণতন্ত্রকামী সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য কওে বলেন, আপনি বলেছেন বিএনপিকে অচল করে দেবেন, আমি বলবো, আপনারা চীনা বাদাম খাওয়ারও সময় পাবেন না। এমনভাবে বিদায় করা হবে। ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেছেন, তারা মাঠ দখল করবেন, আওয়ামী লীগ কোনদিন শুনাবে আজিমপুর গোরস্থানও দখল করে নেবে। এই অবৈধ সরকারকে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে।
রাজপথ দখল করতে দলের নেতাকর্মীদের শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আনতে হলে রাজপথ দখল করতে হবে। এদেশের মানুষ এই সরকারের ওপর অতিষ্ঠ। বিশ্বের কোনো দেশই এই অবৈধ সরকারকে নৈতিক সমর্থন দেয়নি। এসময় তিনি দলের নেতাকর্মীদের রাজপথ দখল করতে শপথ নেওয়ার আহবান জানান।
আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামছুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আপনার নেতা (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) যখন মৃত্যুবরণ করেছিলেন আপনি কি তার জানাযা পড়েছিলেন? দুদু বলেন, নাসিম সাহেব দু’দিন আগে আপনি বলেছেন, ১ তারিখ থেকে ঢাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশ দখল করে নেবেন। আপনি অনেক বড় বড় কথা বলেন। টুঙ্গিপাড়ায় যখন শেখ মুজিবকে কবরস্থ করা হয়েছিল তখন আপনি তাঁর কবরে কি একমুঠো মাটিও দিয়েছিলেন?’ তিনি বলেন, আজকে সেপ্টেম্বর মাস শেষ হচ্ছে। আগামীকাল থেকে অক্টোবর শুরু। অক্টোবর মাসের প্রথম দিন থেকে হবে বেগম খালেদা জিয়ার মাস, তারেক রহমানের মাস। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে যাবো। বিএনপি তৈরি আছে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তার আগে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তারেক রহমানকে সসম্মানে দেশে ফেরত নিয়ে আসতে হবে। আর শেখ হাসিনা আপনাকে পদত্যাগ করতে হবে। আপনি (শেখ হাসিনা) থাকবেন সিংহাসনে বসে আর আমরা চোরের মতো, প্রজার মতো নির্বাচন করতে যাবো? হাসিনা তুমি এটা মনে করো না।’ এসময় তিনি বলেন, আজকের সমাবেশে আসার পথে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা দেয়া হয়েছে, আক্রমণ করা হয়েছে, কাউকে কাউকে আহতও করা হয়েছে।
পুলিশের বাড়তি নজরদারি: নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিতের শর্তে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করেছে বিএনপি। এতে সমাবেশস্থলের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পুলিশের সরাসরি হস্তক্ষেপ না থাকলেও রয়েছে তৎপরতা। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সমাবেশস্থল ও এর আশেপাশের এলাকায় সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ। রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই সমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ দায়িত্ব পালন করেছেন। জরুরি পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে সমাবেশস্থলের বাইরে প্রস্তুত রাখা ছিল পুলিশের সাজোয়া যান, প্রিজন ভ্যান, জলকামান। সমাবেশস্থলে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিতে বিএনপির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক ও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আর্চওয়ে, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। পুলিশের স্থাপিত কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা য়েছে। পুলিশ বলছে, সমাবেশ ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিতে তারা তৎপর ছিল দিনভর। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদেরও প্রস্তুতি ছিল।
ডিএমপি’র রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই পুরো এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সমাবেশস্থলে ডিএমপির পক্ষ থেকে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেখান থেকে পুরো এলাকায় নজরদারি করা হয়।
নেতাকর্মীদের বাধা দেয়ার অভিযোগ: দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার’ গঠনসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় আসতে নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন দলের নেতারা। দুপুর ১২টার দিকে দলীয় সংগীত বাজিয়ে জনসভার কার্যক্রম শুরু করা হয়। তবে মূল কার্যক্রম শুরু হয় দুপুর ২টায়। প্রাথমিক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা বক্তৃতায় বলেন, জনসভায় যেন নেতাকর্মীরা আসতে না পারেন, সেজন্য ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ- প্রশাসন নেতাকর্মীদের বাধা দিয়েছে। নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। তারা এ ধরনের তৎপরতার নিন্দা জানিয়ে পুলিশ- প্রশাসনকে ‘নিরপেক্ষভাবে’ কাজ করার আহ্বান জানান।
বিএনপির জনসভায় আসা নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতারের অভিযোগ তুলেছে দলটির কর্মী-সমর্থকরা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা থেকে বের হয়ে আসা নেতাকর্মীদের ‘অভিনব’ কায়দায় আটক করে গাড়িতে তুলছে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি দায়িত্বরত পুলিশের কোনো কর্মকর্তা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল সাড়ে তিনটার পর মৎস্য ভবনের সামনে দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা শিল্পকলা একাডেমি হয়ে সেগুনবাগিচার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় পুলিশ দুই দফায় কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করেছে বলে অভিযোগ তাদের। খিলগাঁও থানার ছাত্রদল কর্মী শাহাদাত হোসেন বলেন, তারা কয়েকজন জনসভাস্থল থেকে বের হয়ে শিল্পকলা একাডেমির পাশ দিয়ে বিজয়নগরের দিকে যাচ্ছিলেন। এমন সময় শিল্পকলা একাডেমির পূর্ব পাশে হাঠাৎই জনা ৩০ পুলিশ সদস্যকে ২০/২৫ জনকে ধরে গাড়িতে তুলেতে দেখি। এ আটক অভিযান দেখে আমরা শিল্পকলার দক্ষিণ গেটে দাঁড়িয়ে যাই। পরে আটকদের আসামি ভ্যানে তুলে পুলিশ চলে যায়।
শান্তিনগর ওয়ার্ডের বিএনপির নেতা হারুন অর রশীদ বলেন, খুবই কায়দায় করে পুলিশ আটক অভিযান চালাচ্ছে। তারা রাস্তা দিয়ে দল ধরে যাওয়া বিএনপি কর্মীদের দিকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন এবং জানতে চাচ্ছেন জনসভায় লোকসমাগম কেমন হয়েছে বা জনসভা শেষ কিনা! যারাই এ বিষয়ে জবাব দিচ্ছেন পুলিশ তাদেরই ধরে গাড়িতে তুলছেন।
এছাড়া বিএনপির জনসভা চলাকালীন রাজধানীর আরো কয়েকটি এলাকা থেকে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। জনসভাস্থল শাহবাগের কাছ থেকে আটক করা হয় কয়েকজন যুবককে। আজ আনুষ্ঠানিক সাংবাদিক সম্মেলনে গ্রেফতারের পরিসংখ্যান এবং নামের তালিকা জানানো হবে।
চলেছে সাংস্কৃতিক পর্ব: খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার’ গঠনসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনার। দুপুর ১২টার দিকে দলীয় সংগীত বাজিয়ে জনসভার কার্যক্রম শুরুর পরই শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) কর্মীরা দেশাত্মবোধক বিভিন্ন গানের পাশাপাশি ‘অন্যায়-অবিচার’ বিরোধী সংগীতও গাইছেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতেও গান পরিবেশন করছেন বিএনপির সাংস্কৃতিক পর্যায়ের কর্মীরা। সংগীতশিল্পী ও জাসাস নেতা মনির খানকে গান গাওয়ার সময় সংস্থার সভাপতি হেলাল খানকেও কণ্ঠ মেলাতে দেখা যায়। এছাড়া গানের ফাঁকে ফাঁকে সরকার পতনের দাবিতে কবিতাও আবৃত্তি করা হয়েছে বিএনপির জনসভায়।
Check Also
আশাশুনিতে কর্মী সম্মেলনে আওয়ামী লীগকে জামায়াত নেতার কঠোর হুঁশিয়ারি বার্তা
স্টাফ রিপোর্টার:আশাশুনিতে ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নিজস্ব কার্যালয় আলামিন …