পাটকেলঘাটা(সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা: সাতক্ষীরা জেলার সব থেকে বড় ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র পাটকেলঘাটা। এখানে বড় বড় বিপনী-বিতান, ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৪শ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ৪টি ব্যাংক, বিভিন্ন প্রকার এনজিও, কয়েকটি বীমা কোম্পানী তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। নানা ধরনের কাজে প্রতিদিন প্রায় হাজার হাজার লোকের পদচারণায় মুখর থাকে পাটকেলঘাটা বাজারের বিভিন্ন প্রান্তর। কিন্তু বিপুল পরিমাণ এই জনসংখ্যার জন্য নেই কোন শৌচাগারের ব্যবস্থা। আর শৌচাগারের অভাবে অনেকটা বাধ্য হয়েই বাজারের বিভিন্ন নির্জন গলি, দোকানের পিছনের ফাঁকা খালি জায়গা, কপোতাক্ষের পাড়ে প্রাকৃতিক কাজ সারছেন তারা। এর ফলে সৃষ্ট দূগর্ন্ধে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। আর জায়গা সংকটের অজুহাতে দেখাচ্ছেন সংশ্লষ্টি কর্তৃপক্ষ। পাটকেলঘাটা বাজারের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক সংলগ্ন দোকান হওয়ায় মাঝে মধ্যেই পরিবহনের যাত্রীর টয়লেটের খোঁজে আসেন। পরে তাদের পার্শ্ববর্তী বাড়ী, ক্লিনিক, মাদ্রাসায় তৈরীকৃত টয়লেট ব্যবহার গুলো করতে পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু এসকল টয়লেট তালাবদ্ধ থাকায় বেশ বিপাকে পড়তে হয় তাদের। তবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন মহিলারা। উপায়ন্ত না দেখে অনেকেই প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে লোকালয় মুক্ত একটু দুরের জায়গায় প্রাকৃতিক কাজ সারছেন। তবে গণশৌচাগার থাকলে যাত্রী সাধারণসহ স্থানীয়দের খুব উপকার হতো। পাটকেলঘাটা বাজারের পাট ব্যবসায়ী আলাউদ্দীন সরদার বলেন, পাটকেলঘাটায় গণশৌচাগার না থাকার কারণে সাধারণ জনগণ যত্রতত্র প্রয়োজন মেটায়। যার ফলে স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রায়ই বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। সরকারী ব্যবস্থাপনায় পয়নিষ্কাশনের পদক্ষেপ নিলে এধরনের সংকট নিরসন হবে বলে আমার বিশ্বাস। পরিবেশের ভারসাম্যও যথাযথভাবে সুরক্ষিত থাকবে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্তব্য ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে এলাকার সচেতন মহল।