ভোয়ার সাথে সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করার মতো সুন্দর পরিবেশ বাংলাদেশে আছে ‘আমি মনে করি না কোনো অবৈধ বাংলাদেশী ভারতে আশ্রয় নিয়েছে’

ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভয়েস অব আমেরিকার (ভোয়া) সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বর্তমানে নির্বাচন করার মতো সুন্দর একটা পরিবেশ বাংলাদেশে আছে এবং নির্বাচন কমিশন এই ইলেকশন করতে পারবে। ভয়েস অব আমেরিকার সাংবাদিক সরকার কবির উদ্দিন প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে এই সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। নিচে সাক্ষাৎকারের প্রধান প্রধান অংশ তুলে ধরা হলো।
সরকার কবির উদ্দিন : বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে নিয়ে আপনি পর্যন্ত, বলতে কি তারও আগে ’৪৭-পরবর্তী কাল থেকে আওয়ামী লীগ ভোটের রাজনীতি করেছে। এর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে গণতন্ত্র যে গণতন্ত্র প্রতিফলিত হয় রাজনীতির দর্শনে, আর্থসামাজিক দর্পণে, এ দর্শন মনন আমরা শুনেছি এখানে, এবারেও পৌঁছানোর পরদিনই আপনি ভোট চাইলেন সমর্থক শুভানুধ্যায়ীদের কাছ থেকে। কেমন সাড়া পাবেন বলে মনে হয়?
শেখ হাসিনা : আমি তো মনে করি যে, আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছিল বাংলাদেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের জন্য এবং অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য। আর জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগ কিন্তু জনগণের সেবা করেছে এবং জনগণের মৌলিক অধিকারগুলো অর্জন করা, সংরক্ষণ করা এবং এর মাধ্যমে আর্থসামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে আওয়ামী লীগের কাজ। আওয়ামী লীগ বলতে গেলে আজকের বাংলাদেশের মানুষের যতটুকু অর্জন যেমন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আপনারা যদি দেখেন যে, বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার অর্জন থেকে শুরু করে ছয় দফা, এরপর ’৭০-এর নির্বাচন, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়, সবই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বাংলার জনগণকে সুসংগঠিত করে এবং দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবেই অর্জন করেছে। সেক্ষেত্রে দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার, সব থেকে বড় কথা হচ্ছে যে, মানুষ তার পছন্দমতো সরকার গঠন করবে। এই পছন্দমতো সরকার গঠন করার একটাই হচ্ছে সুযোগ যে, সে তার ভোটের মাধ্যমে তার মতামতটা প্রকাশ করবে এবং ভোটের মাধ্যমে সে সরকার গঠন করবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পর বঙ্গবন্ধু প্রথম যে সংবিধানটা দিলেন সেই সংবিধান দিয়ে কিন্তু ’৭৩ সালে তিনি নির্বাচন দিলেন আর সে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিলো। রেভ্যুলুশনের পর বা যুদ্ধের পর এত দ্রুত একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাওয়া বা নির্বাচন দেয়া কখনো হয়নি ইতিহাসে, বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। আর এই ধারাবাহিকতা যদি চলতে পারত তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যেই বিশ্বে একটা উন্নত দেশ হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারত। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য হচ্ছে সেটা হয়নি। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। তিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন, ক্ষমতায় ছিলেন, শুধু ক্ষমতার জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে তাই না, গোটা পরিবারকে হত্যা করা হলো। এরপর জাতির চার নেতাকে হত্যা করা হলো। এই হত্যার উদ্দেশ্যটাই হলো স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করা। আর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জনগণের যে মৌলিক অধিকার অর্জন হয়েছিল ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, দেশের মানুষ বেঁচে থাকার একটা সুন্দর সুযোগ পাচ্ছিল সেই জিনিসটাকে ধ্বংস করে দেয়া হলো। যে মেজর ডিকটেটররা ক্ষমতা দখল করেছিল তারা কিন্তু ভোটকে সুরক্ষিত করা বা জনগণকে ভোটের মাধ্যমে তাদের পছন্দমতো সরকার গঠন করার সেই সুযোগ দেয়নি। খুব স্বাভাবিকভাবে এটা জানা যায় যে, একটা মিলিটারি ডিকটেটর যখন রাতারাতি নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় আসেন তখন তো তিনি রাজনীতিবিদদের বকাঝকা দিয়েই আসেন। এরপর নিজে রাজনীতিবিদ হয়ে যান। উর্দি খুলে কাপড় চেঞ্জ করে রাজনীতিবিদ হন। তারপর দল গঠন করে আর সেই দল দিয়ে তারা চেষ্টা করেন ভোট রিগিং করে টু থার্ড মেজরিটি নিয়ে পার্লামেন্ট গঠনের। উদ্দেশ্যটা কী, উদ্দেশ্য একটাই তা হলো তাদের যে অবৈধ ক্ষমতা দখল এবং মার্শাল ল অর্ডিন্যান্স দিয়ে যে আইন টাইন করে, যে নির্দেশ দেয়, সেগুলোকে লেজিটিমাইজ করা। সেটা করতে গেলে টু থার্ড মেজরিটি লাগবে। সংবিধান সংশোধন তারা করে। এভাবে বাংলাদেশের জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করা হয়। যেহেতু অবৈধ ক্ষমতা দখল, সেটাকে বৈধতা দেয়ার জন্য নির্বাচনের প্রহসনের মাধ্যমে টু থার্ড মেজরিটি নিয়ে ভোটের খেলা খেলে অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করে। ওই জায়গা থেকে বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনা, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা, এটাই ছিল আমার মূল লক্ষ্য। আর সে জন্য দীর্ঘদিন যে আন্দোলন-সংগ্রাম তাতে আমার স্লোগানই ছিল আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো। এই স্লোগানের মধ্য দিয়ে মানুষকে ভোটের অধিকারবিষয়ে সচেতন করা হয়েছে। আমরা সেটা সফলভাবে করতে পেরেছি। এখন যে ভোট হয় সেখানে কিন্তু মানুষের মধ্যে সাংঘাতিক একটা উৎসাহ থাকে। লাইন দিয়ে তারা ভোটকেন্দ্রে যায় এবং যে প্রার্থীকে তাদের পছন্দ তাকে তারা ভোট দেয়। এই অধিকার তারা পেয়েছে। আর আমার সরকারের আমলে, গত পাঁচ বছর যে আমি ক্ষমতায়, এর মধ্যে প্রায় ৬ হাজার ইলেকশন হলো। স্থানীয় সরকার, সিটি নির্বাচন, উপনির্বাচন পৌরনির্বাচনÑ এতে আমরা দেখেছি মানুষের মধ্যে সাংঘাতিক একটা উৎসব। মানুষ ভোট দিতে চায়, ভোট দেয় এবং সে খুব গর্ববোধ করে যে, সে একটা ভোট দিতে পেরেছে এবং পছন্দের লোকটাকে ভোট দিতে পেরেছে। সেই ক্ষেত্রে আপনার প্রশ্নের উত্তরে আমি বলবÑ এখন মানুষের মধ্যে উৎসাহ আছে, আগামী নির্বাচন হবে, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে এবং তারা ভোট দিবে এবং ভোট দিয়ে তাদের মনমতো সরকার গঠন করবে।
সরকার কবির উদ্দিন : বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে আপনার সময় পর্যন্ত ভোটের রাজনীতির কথা বার বার শুনেছি। আপনি নিজে একাধিকবার ক্ষমতায় থেকেছেনÑআছেন, বিরোধী দলেও থেকেছেন, আপনি আজ যদি বিরোধী দলে থাকতেন তাহলে আজকের নির্বাচন-পূর্ব বাংলাদেশের রাজনীতির পরিস্থিতি আপনি কিভাবে দেখতেন। নির্বাচন কমিশনকে কেমন ধারার মনে হতো। আপনার দৃষ্টিতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড মনে হতো কি?
শেখ হাসিনা : বর্তমানে যে অবস্থাটা আছে, আপনি জানেন যে, এর আগে নির্বাচন কমিশন সরকারের ইচ্ছামতো করত। যাকে পছন্দ তাকে নিয়োগ দিত। এখন কিন্তু নির্বাচন কমিশন নির্বাচিত হয় একটা সার্র্চ কমিটির মাধ্যমে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করে দেন। সেখানে সব দল থেকে নাম পাঠানো হয়। সেই নামের মাধ্যমে যখন সার্চ কমিটি বসে তখন সেখান থেকে তারা নাম পছন্দ করে নির্বাচন কমিশন গঠন করে। নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে এই স্বচ্ছতা আমরা আনতে সক্ষম হয়েছি। এখন যতগুলো ইলেকশন হলো, আমি যেগুলোর কথা বললাম সেগুলো যদি আপনি যাচাই করেন মূল্যায়ন করেন, দেখেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে স্বীকার করতেই হবে যে বর্তমানে নির্বাচন করার মতো সুন্দর একটা পরিবেশ আছে এবং এই নির্বাচন কমিশন ইলেকশন করতে পারবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে আপনি কী বোঝেন বা কী বলতে চাচ্ছেন তা আমি জানি না তবে আমি বলতে চাচ্ছি জনগণ যখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিচ্ছে। যেমন এই কিছুদিন আগে তিনটা সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়ে গেল। এর মধ্যে দুটোয় আওয়ামী লীগ, একটায় বিএনপি জিতেছে। আপনি তো দেখলেন মাত্র আড়াই হাজার ভোটেই মনে হয় হেরে গেল আমাদের প্রার্থী। এত কম ভোটে যে আমাদের প্রার্থী হারল, কই সেখানে ভোট পরিবর্তন করা বা কোনো রকম হাত দেয়া হয়নি, আমরা তো কিছু বলিনি। ঠিক আছে জনগণ ভোট দেয়নি তো দেয়নি। আমার প্রার্থীও সেইভাবে নিয়েছে। এটা কি প্রমাণ করে না যে, এখন ইলেকশন করার মতো যথেষ্ট সুন্দর একটা পরিবেশ আছে।
সরকার কবির উদ্দিন : আমরা নিশ্চয়ই আশা করব যে, সে রকম একটা পরিবেশ থাকে।
শেখ হাসিনা : সেটাই থাকবে। আপনাকে এটা মনে রাখতে হবে আমার রাজনীতি কিসের জন্য। আমি কার রাজনীতি করি। আমি ক্ষমতায় থেকে কী কাজ করছি। আমি কি আমার ভাগ্য গড়ার জন্য কাজ করেছি? বলেন, আমি নিজের ভাগ্য গড়ছি, না আমার ছেলেমেয়ের ভাগ্য গড়ছি। আমি আমার দেশের মানুষের ভাগ্য গড়ছি। আমি মনে করি ক্ষমতা আমার কাছে একটা দায়িত্ব। একটা কর্তব্য দেশের মানুষের প্রতি। যে কথা আমি বারবার বলি, সবসময় বলি যে, আমার বাবা এই দেশের মানুষের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি তার জীবনটা দিয়ে গেছেন এই মানুষের জন্য। আমরা সন্তান হিসেবে পিতাকে কতটুকু পেয়েছি বলেন, তিনি থাকতেন জেলে। আব্বা মানুষের কথা বলেছেন, একটা বক্তৃতা, একটা মালা, অমনি জেলখানা। এই যে তার সারা জীবনে এত বড় সেক্রিফাইস, যার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলাম। আমার এখন একটাই কাজ, একটাই লক্ষ্য যে, স্বাধীনতার পরপর একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ, একটা প্রদেশ, তাকে রাষ্ট্র করা, একটা যুদ্ধের ভয়াবহতা কাটিয়ে তোলা এবং সেই দেশটাকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, তিনি তো মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে একটা বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা দিয়ে গিয়েছিলেন। এইটুকু তিনি করতে পেরেছিলেন তার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো আমাদের এই দেশের মানুষগুলোর মধ্যে কিছু কিছু বেঈমান মোনাফেক। তার বিরুদ্ধে আজেবাজে কথা বলা, অপপ্রচার করা শুরু করল, যখন অপপ্রচার করেও দেখল যে, জনগণের মন থেকে তাকে সরানো যাচ্ছে না, তার জনপ্রিয়তা এতটুকু কমানো যাচ্ছে না। তখন তারা চরম আঘাত করল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করল। এই হত্যাকাণ্ডের পর, স্বাভাবিকভাবে আমি আর রেহানা বিদেশে ছিলাম, বেঁচে গেছি। তখন থেকে আমাদের দুই বোনের মধ্যে একটা জিনিস কাজ করত। শুধু মনে হতো যে, অন্যায়ভাবে যে হত্যাকাণ্ডটা হলো তার বিচার যখন করা হবে আবার সেই সাথে সাথে যে দেশটাকে তিনি উন্নত করতে চেয়েছিলেন যখনই সুযোগ পাবো সেই দেশের মানুষের উন্নয়নটা এমনভাবে করব যেটা আমার বাবা চেয়েছিলেন। সেটা যদি করতে পারি তখন মনে হবে ওটাই হচ্ছে সব থেকে বড় প্রতিশোধ নেয়া যে, ওই খুনিরা বাংলাদেশকে স্বাধীনভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে দিতে চায়নি। স্বাধীন বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে চলুক তা চায়নি। স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ একা সম্মান নিয়ে, আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে বাঁচবে সেটা তারা চায়নি। চায়নি বলেই বঙ্গবন্ধুকে এভাবে হত্যা করল। আমরা সেই জায়গাটা ফিরিয়ে আনতে চাই। মানুষের ভেতরে সেই আত্মমর্যাদাবোধ, আত্মসম্মানবোধ থাকবে। আমরা মর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে চলব। যে বাংলাদেশকে এক সময়, বাংলাদেশ শুনলেই জিজ্ঞেস করত, ও তোমাদের ওখানে খরা হয়, বন্যা হয়, ঝড় হয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, দুর্ভিক্ষ ইত্যাদি ইত্যাদি। সেই বাংলাদেশ নিয়ে মানুষজন এখন গর্বের সাথে কথা বলে। আমি খুব বিনীতভাবে বলতে চাইÑ প্রথম ছিলাম পাঁচ বছর এবার এই ১০ বছর চলছে। আমিতো সফলভাবে বাংলাদেশকে সেই জায়গায় নিয়ে এসেছি। বাংলাদেশের মানুষকে সেই মর্যাদাটা ফিরিয়ে দিতে পেরেছি। এইটুকুই আমি মনে করি আমার বাবার যে অসমাপ্ত কাজ সেটাকে সমাপ্তির পথে কিছুটা তো এগিয়ে নিতে পেরেছি।
সরকার কবির উদ্দিন : অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অর্জনের পাশাপাশি অর্থপাচার, ঋণখেলাপি, ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ, গুম খুনÑ এ নিয়েও বিস্তর অভিযোগ শোনা যায় নানা মহলে। কিন্তু তারপরও যেমনটি বললাম জিডিপি গ্রোথ, কর্মসংস্থান, বৈদেশিক মুদ্রা মজুদ স্ফীতি সব মিলিয়ে দেশের মর্যাদা বিদেশে খুব নিরাশাব্যঞ্জক নয়। এগুলোর জন্য কাকে সাধুবাদ দেবেন আপনিÑ সরকার না প্রাইভেট সেক্টরকে।
শেখ হাসিনা : সামরিক শাসকরাই দেশের ঋণখেলাপি কালচার শুরু করেছে। আমরা ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করব। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত দেশ করব। সেই লক্ষ্য নিয়ে ইতোমধ্যে পরিকল্পনাও আমরা তৈরি করেছি।
সরকার কবির উদ্দিন : নাগরিক হিসেবে নিবন্ধিত নন, এমন বাংলাদেশীদের নিয়ে, অবৈধ বাংলাদেশী হিসেবে চিহ্নিতদের সম্পর্কে ভারতের বর্তমান সরকারের হুঙ্কার আপনাকে কতটা চিন্তান্বিত করে বা আদৌ চিন্তান্বিত করে কি না।
শেখ হাসিনা : এটা মনে হয় তাদের পলিটিকস। এটা তাদের নিজস্ব পলিটিকস তারা করছে। আমি তো মনে করি না, কোনো অবৈধ বাংলাদেশী সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী, যথেষ্ট মজবুত। তারা কেন সেখানে গিয়ে অবৈধ হবে। আমি তাদের সাথে কিছুটা কথা বলেছি। তাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, তাদের ফেরত পাঠানোর চিন্তা তাদের নেই।
সরকার কবির উদ্দিন : যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক নিয়ে আপনি কতখানি তুষ্ট। সন্ত্রাস প্রতিরোধসহ আর কোন কোন ক্ষেত্রে আপনার সহযোগিতা কাম্য।
শেখ হাসিনা : যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের বর্তমানে সম্পর্ক ভালো।

Check Also

সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন

ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা:   ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।