সাতক্ষীরা প্রতিনিধি।সাতক্ষীরার তালায় এক লম্পট কর্তৃক বিয়ের আশ্বাসে সপ্তম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীর সাথে দৈহিক সম্পর্কের পর বিয়ে না করে উল্টো ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদেরক বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তালা উপজেলার মুড়াকলিয়া গ্রামের ফিরোজ সরদারের স্ত্রী নারগীস খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জীবিকার তাগিদে মেয়েকে (টুম্পা খাতুন-১৩) আমার বৃদ্ধা মাতা শরবানুরএর জিম্মায় রেখে স্বামীর সাথে ভারতে কাজ করতে যাই। আমার মা ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করে। ভিক্ষা করতে মাঝে মধ্যে তিনি অনেক দূরে যান। মেয়ে তার নানীর কাছে থেকে পার্শ্ববর্তী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। কিন্তু আমার মেয়ে উপর কু-নজর পড়ে একই এলাকার আসির উদ্দীন গাজীর লম্পট ছেলে শাহিন গাজীর। লম্পট শাহিন দীর্ঘদিন ধরে আমার মেয়েকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। কিন্তু তার কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখাতে থাকে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে শাহিন ঘরে ঢুকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার মেয়ের মাথায় হাত রেখে প্রতিজ্ঞাপূর্বক তার সাথে দৈহিক মেলামেশা করে। রাতে শাহিন বাড়িতে না যওয়ায় খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে তার চাচী শিখা খাতুন জানতে পারে শাহিন আমার মেয়ের ঘরে রয়েছে। পরে শাহিনের বাড়ির লোকজনের উপস্থিতিতে গ্রামবাসী ঘরের দরজা ভেঙ্গে শাহিন ও মেয়েকে বের করে। এসময় সময় লম্পট শাহিন ও তার বাড়ির লোকজন সকলের সামনে আমার মেয়েকে সামাজিকভাবে বিয়ের আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী শাহিনকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু গত ২৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাকালে শাহিন তার পূর্বের প্রতিজ্ঞা ভঙ্গপূর্বক আমার মেয়েকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে যৎসামান্য অর্থের বিনিময়ে মিমাংসার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু আমরা রাজি না হলে শাহিন আমার মেয়ের সাথে দৈহিক মেলামেশার বিষয়টি স্বীকার করে প্রকাশ্যে আমাদের মারপিটসহ বিভিন্নভাবে হয়রানির হুমকি প্রদর্শন করে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি ভারত থেকে দেশে ফিরে এঘটনায় লম্পট শাহিনের বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলে খবর পেয়ে শাহিন ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনার স্বাক্ষীদের নামে হত্যা, গুম, নাশকতাসহ বিভিন্ন হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা করার হুমকি প্রদর্শন করে। এতে স্বাক্ষীগণ ভীতুহয়ে পড়েছে। এছাড়া শাহিনের পরিবার প্রভাবশালী ও অর্থসম্পদের মালিক হওয়ার কারণে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এঘটনায় থানায় মামলা না নেয়ায় তিনি আদালতে মামলা দায়ের করবেন।
তিনি লম্পট শাহিন ও তার মদদদাতা পিতা আসির উদ্দীন ও চাচী শিখা খাতুনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
০১.১০.১৮