রাজপথে থাকার পাল্টাপাল্টি ঘোষণায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন

ক্রাইমর্বাতা রিপোট: ইকবাল : রাজপথে থাকার পাল্টাপাল্টি ঘোষণায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিরোধী জোটকে মামলা-হামলা আর গ্রেফতারের মধ্যদিয়ে ব্যস্ত রাখলেও বিএনপির রোববারের সোহরাওয়ার্দীর জনসভার পর সেই চিত্র পাল্টে যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, সরকার যতই বিরোধীদের দমনের জন্য নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করুক না কেন তাতে আর কাজ হবে না। সেটির প্রমাণ রোববারের সমাবেশেই প্রমাণিত হয়েছে। সমাবেশের আগে ও পরে যেভাবে দমন পীড়নের পাশাপাশি গ্রেফতার অভিযান চালানো হয়েছে তাতে ভীত হয়নি বিরোধী নেতাকর্মীরা। আইনশৃঙখলা বাহিনীর রক্ষচক্ষুর পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হামলাকে উপেক্ষা করে যেভাবে নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দিয়েছে তাতে আশাবাদী হয়ে উঠছে ২০ দলীয় জোটসহ জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্তরা। সাধারণ মানুষ বলছে, এখন শুধু কর্মসূচির অপেক্ষা। অবশেষে সেই কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপি আগামী ৩ ও ৪ অক্টোবর জেলা ও বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ডাক দিয়েছে। কর্মসূচি দিয়েছে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়াও। ৭ অক্টোবর সংগঠনটি মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। এদিকে বসে নেই ক্ষমতাসীন আয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররাও। বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ডাক দিয়েছে তারা। সপ্তাহব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আ’লীগ। বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান সংকট সমাধানে বিরোধী জোটের আহবানকে সরকারি দল কর্তৃক বারবার আগ্রাহ্য করার কারণেই রাজপথ উত্তপ্ত হচ্ছে।
বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতার সাথে আলাপকালে জানা গেছে, তারা ক্ষমতাসীনদের আর সময় দিতে চান না। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ থেকেই। দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ৮ দফা দাবিতে দু’দিনের বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। দাবি আদায়ে রাজপথে নামার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেন, তফসিলের আগেই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। জনসভায় বিএনপি নেতারা জানান, খালেদা জিয়া ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। দলীয় চেয়ারপার্সনের মুক্তিসহ দাবি আদায়ের একটাই পথ, রাজপথ। সামনের দিনে আর অনুমতি নিয়ে সভা-সমাবেশ করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আশা করি, আগামী দিনের কর্মসূচিতে সরকারের বোধোদয় হবে। তা না হলে এরপর ধাপে ধাপে আরো কর্মসূচি দেয়া হবে। আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা এবং এই সরকারের পতন ঘটানো হবে। জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া দেশে কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না, জনগণ হতে দেবে না। তাই খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। আগামী দিনে আন্দোলন ও নির্বাচনের জন্যই আমাদের রাজপথে নামতে হবে। এই সরকারের সময় শেষ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, সরকার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। তারা জানে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের সম্ভাবনা নেই। এ নিয়ে তারাই ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামী লীগ আমাদের কর্মসূচি প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। কেন আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি প্রতিহত করতে চায়। আমরাও ঘরে বসে থাকব না। আমরাও তাদের প্রতিহত করব। তিনি বলেন, আজ (রোববার) ২২ শর্ত মেনে জনসভা করছি। কিন্তু, আগামী দিনে সমাবেশের জন্য আর অনুমতির জন্য অপেক্ষা করব না। পুলিশকে শুধু অবহিত করব। আর গায়েবি মামলার মাশুলও একদিন এই সরকারকে দিতে হবে। আইনি প্রক্রিয়ায় বেগম জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়। খালেদা জিয়ার মুক্তি একটাই পথ, রাজপথ। দেশে এখন জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে। সবাই একদিন রাজপথে নামলে এ সরকারের পতন হবেই। স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, আজ থেকে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হলো। এটা শেষ হবে সরকারের পতনের মধ্যদিয়ে। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, আপনারা রাস্তায় নামুন। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবেই, হবে। মির্জা আব্বাস বলেন, জাতীয় ঐক্য হলে ভালো, না হলে ক্ষতি নেই। বিএনপিকেই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
সূত্র মতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কড়া নাড়ছে ঘরের দরজার। আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে দেশে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সরকারি সুযোগ সুবিধা নিয়ে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এককভাবে। দলটির সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়ে দোয়া কামনা করছেন। তবে দেশে ২০ দলীয় জোটসহ আরও রাজনৈতিক দল থাকলেও নির্বাচনী মাঠে তাদের উপস্থিতি তেমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ফলে নির্বাচনী মাঠে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো দলের কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা ভোটকে কেন্দ্র করে সারাদেশেই কোনো না কোনো কর্মসূচি পালন করছে। বিএনপি রোববার তাদের সমাবেশে আন্দোলনের জন্য কর্মসূচি ঘোষণা করলেও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা বা নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। যে কারণে বিএনপির নেতাকর্মী বা তাদের শরিকরা নির্বাচনী মাঠে নেই বললেই চলে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ উত্তরবঙ্গে ট্রেন যাত্রা করেছে। এ সময় ১৭টি পয়েন্টে তারা নির্বাচনী সমাবেশ করেছে। সরকারি সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রচারণায় আগে থেকেই এগিয়ে আছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলের নেতারাও সংশ্লিষ্ট এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে। কিন্তু দেশের আরেকটি বৃহৎ দল বিএনপি নির্বাচনের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত না দেয়ায় বিএনপি অথবা বিএনপির জোটের শরিকরা এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। ফলে তারা মাঠেও যেতে পারছে না। জনগণকে তারা ভোটের ব্যাপারে কিছু বলতেও পারছে না। বিএনপির নেতাকর্মীরা অনেকেই বলছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির পাশাপাশি নির্বাচনকালীন সরকারের উপরই নির্ভর করছে নির্বাচনে অংশ নেয়া না নেয়ার সিদ্ধান্ত।
জানা গেছে, সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে এলেও  খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ অন্যঅন্য দাবি আদায়ের উপরই গুরুত্ব দিচ্ছে ২০ দলীয় জোটসহ জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়া। সবাই একটি বিষয়ের উপর একমত হয়েছেন যে, তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। সেনা মোতায়েন করতে হবে। সকল রাজবন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও আটক নেতদাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। এসব দাবিগুলো নিয়ে সবাই একট্টা।
সূত্র মতে, বিএনপি ৮ দফা দাবি আদায়ে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আগামীকাল বুধবার সারাদেশে জেলা শহরে সমাবেশ করবে দলটি। এছাড়া পরের দিন বৃহস্পতিবার বিভাগীয় শহরেও সমাবেশের ডাক দেয় দলটি। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সরকারি দলের বাধা উপেক্ষা করে এসব কর্মসূচিতেও জনস্রোত নামবে। সরকার যদি বাধা দেয় তাহলে সেজন্য তাদের করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে। প্রায় একই দাবিতে ৭ অক্টোবর মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়া। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডি জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন প্লাটফর্মের সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তাফা আমীন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে অনুষ্ঠিত নাগরিক সমাবেশ থেকে সরকারকে গত ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবি জানায়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ সরকার গঠনের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সম্মেলনে জানানো হয়, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া দেশের মালিক জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে এবং সংবিধানে বিধৃত নাগরিক অধিকারের আওতায় অহিংস পদ্ধতিতে গণজাগরণ সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারকে দাবি পূরণে বাধ্য করবে।
জাতীয় ঐক্য ও বিএনপির মাঠে নামার ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন কৌশলে এগোচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মী বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াত শিবির নেতাকর্মীদের মামলা ও গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে ব্যস্ত রাখা, সরকারের অধীন দলগুলোকে নির্বাচনমুখী করা ও যে কোন উপায়ে রাজনৈতিক মাঠে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা। আওয়ামী লীগের ও জোটের কর্মসূচি অনুযায়ী, ৯ অক্টোবর রাজশাহী, ১০ অক্টোবর নাটোর ও ১৩ অক্টোবর খুলনায় সমাবেশ করবে ১৪ দলীয় জোট। এছাড়া পুরো অক্টোবরে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড দিয়ে রাজনৈতিক মাঠে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রাখতে চায় ক্ষমতাসীনরা।  এছাড়া আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গতকাল থেকে টানা ৭ দিনব্যাপী গণসংযোগ শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দুপুর ১২টায় এ গণসংযোগ হয়।
বিএনপির কর্মসূচির বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপি আবার নাশকতা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে ও পরে জ্বালাও- পোড়াও করেছে বিএনপি ও তার সাম্প্রদায়িক দোসররা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে সহিংসতা, নাশকতা করলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সকল অপতৎপরতার বিরুদ্ধে জনগণ রুখে দাঁড়াবে। আবার সহিংসতা করলে জনগণ দাঁতভাঙা জবাব দিবে। বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সরকারের পক্ষে আপনাদের দাবিদাওয়া মানা সম্ভব নয়।
বিএনপির রাজপথ দখলের হুমকির জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগে রাজপথ দখল করতে আসুক, তারপর দেখব। রাজপথ দখলে আসলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের সমুচিত জবাব দেবে। কাদের বলেন, আমাদের কর্মসূচি হচ্ছে নিরীহ, জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মসূচি। আমরা জনগণের কাছে যাব, উত্তেজনা ছড়াব না।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপির জনসভায় সরকার ভীত হয়েছে। তাই ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছে। তারপরও তারা সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের বাধা দিয়েছে। গ্রেফতার করেছে।  আমি সরকারকে বলবো আপনাদের যদি সাহস থাকে ৭ দিনের সময় দিয়ে দেখুন, ঢাকা অচল হয়ে যাবে।সংগ্রাম।

Check Also

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের কর্মশালায় সাংবাদিকদের দাওয়াত নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ 

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় হাওর না থাকলেও হাওরের ১০০ বছর এবং আমাদের করণীয়” বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।