সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা যে মামলা করেছেন, তার তদন্ত করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (০৩ অক্টোবর) সকালে আদালতের মাধ্যমে মামলার এফআইআর কপি দুদকে পৌঁছেছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। দুদক কার্যালয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আদালতের মধ্যমে মামলাটি পেয়েছি। তদন্ত করা হবে। তবে এখনও তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়নি।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘ আমরা ইতোমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি। তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেবো। তারা বিচার বিশ্লেষণ করবেন। আইনের বাইরে যাওয়া যাবে না। তদন্ত কর্মকর্তা কী করবেন তা আমি বলতে পারবো না। আমি তো অভিযোগ বিচার বিশ্লেষণ এখনও করতে পারিনি।’
নাজমুল হুদার কাছে এস কে সিনহা ঘুষ চেয়েছেন কিন্তু সেই ঘুষের কোনও লেনদেন হয়নি, তাহলে আইনে তা তদন্তের এখতিয়ার দুদকের আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘আদালত থেকে এফআইআর কপি আমরা পেয়েছি। তদন্ত আমাদের করতে হবে।আইনে কিছু না থাকলে এটি আসতো না।’
গণমাধ্যমকে ব্রিফ করছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদগণমাধ্যমকে ব্রিফ করছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ
এসকে সিনহা দেশের বাইরে আছেন, এমতাবস্থায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হলে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের দেশে সব ব্যবস্থায় আইনে রয়েছে। আমার জানা মতে জিজ্ঞাসাবাদ করা অনেক পরের বিষয়। তদন্ত কর্মকর্তা যদি মনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন, তাহলে তাকে যথারীতি জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। সেটা কীভাবে করবেন তদন্ত কর্মকর্তারা তা নির্ধারণ করবেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদ করা ম্যান্ডেটরি না।’
উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শাহবাগ থানায় সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে একটি মামলা করেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, এসকে সিনহার বিরুদ্ধে উৎকোচ (ঘুষ) গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন নাজমুল হুদা। মামলায় এস কে সিনহার গ্রামের বাড়ির ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের খাস কামরা, (বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ি, ওয়ার্ড নম্বর ২০ (নতুন), পুরাতন ৬৩, শাহবাগ থানা)। এতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২০ জুলাই নাজমুল হুদার কাছ থেকে তিন কোটি ২৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। দুই মামলায় একটিতে দুই কোটি এবং অন্যটিতে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করার অভিযোগ আনা হয়।