ক্রাইমর্বাতা রিপোট:নিজস্ব প্রতিনিধি: আমার দাদা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিন কামার বায়সা গ্রামের সোহরাব আলি সরদার ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি মারা যাবার কিছুদিন পর আমার বাবা কওসার আলিও মারা যান। অথচ আমার দাদার নামে সরকার যে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দিচ্ছেন তা থেকে আমাকে ও আমার পরিবারকে বঞ্চিত করে আসছেন আমার চাচা আরিজুল ইসলাম। তিনি এই টাকা উত্তোলন করে নিজেই খেয়ে ফেলছেন। অথচ আমাদের প্রাপ্য অংশ দিচ্ছেন না।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন দক্ষিন কামার বায়সার জাহাঙ্গির আলম। এ সময় তার বৃদ্ধা মা জরিনা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন তার দাদার মৃত্যুর কয়েক মাস পর তার বাবা মারা যান। এই সুযোগে তার চাচা আরিজুল ইসলাম কাগজপত্র তৈরি করে নেন এবং তার দাদার নামের মুক্তিযোদ্ধার ভাতার টাকা উত্তোলন করতে থাকেন। এখন এই টাকার ভাগ পাচ্ছেন চাচা মিজানুর রহমান, চাচা আনারুল ইসলাম, ফুফু জামেলা বেগম ও চাচা আরিজুল ইসলাম। অথচ আমার অংশ দিচ্ছেন না তারা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। তিনি সদর ইউএনওর ওপর দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুই হয়নি। একই সাথে সমাজসেবা অধিদপ্তরে দরখাস্থ দিলে তারাও কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
জাহাঙ্গির বলেন তারা দুই ভাই এক বোন। তিনি নিজে পঙ্গু। কাজ করতে পারেন না। তার মাও অসুস্থ। অথচ আমার চাচা আরিজুল ইসলাম বলেন তোর দাদার ওয়ারেশ তোর বাবা মারা গেছেন। তাই তোরা কিছুই পাবি না।
তিনি বলেন চাচারা অবৈধ টাকার প্রভাবে এবং গায়ের জোরে আমার পিতার ভাগের সম্পত্তিটুকুও জোরপূর্বক বঞ্চিত করে দখল করে রেখেছে। পিতার ভাগের সম্পত্তি আমাদের দিচ্ছে না। আমরা অসহায় হওয়ায় ওই চাচাদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছি।
এব্যাপারে জাহাঙ্গির আলম ও তার মা জরিনা যাতে পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধার ও দাদার ওয়ারেশ হিসাবে মুক্তিযোদ্ধার ভাতার টাকা পাওয়ার দাবীতে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
Check Also
সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন এর আয়োজনে বিজয় দিবস পালন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা,পুরুষ্কার বিতারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। …